প্রবন্ধ
15% OFF * FREE SHIPPING
প্রবন্ধ
ইশি বুঝেছিলেন, যুদ্ধে জয়লাভ করতে হলে জাপানকে জৈব অস্ত্রে বলীয়ান হতে হবে। তাই তিনি তলে তলে জৈব অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করতে লাগলেন। কিন্তু এর জন্য তো দরকার বিশাল পরিকাঠামো আর সেই সঙ্গে অর্থের সংস্থান। সম্রাট হিরোহিতোকে তিনি বোঝালেন, জৈব অস্ত্রে বলীয়ান না হতে পারলে জাপানের পক্ষে সে হবে এক ভয়ানক বিপদ।
ইন্দ্রজিৎ ঘোষ
নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের কথা আমরা শুনেছি, যেখানে শত শত লক্ষ লক্ষ মানুষকে শুধুমাত্র ইহুদি হওয়ার কারণে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বযুদ্ধ চলাকালিন বহুক্ষেত্রেই এরকম অনেক নৃশংস কার্যকলাপ চালানো হয়েছে যার ফলাফল আরও ভয়াবহ, জনসমক্ষে তাদের প্রচার বিশেষ হয়নি। এমনই এক অপারেশন হল জাপানের ইউনিট-৭৩১ প্রকল্প। একজন মানুষও এখান থেকে বেঁচে ফেরেননি। সবাই মারা গেছেন অনেক কষ্ট সহ্য করে। এ-মৃত্যু শুধু হত্যার জন্য নয়, এ হল জীবন্ত মানুষকে এমন কিছু অভিজ্ঞতার সম্মুখীন করার ফল যা সরকারিভাবে এখনও স্বীকার করা হয়নি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরই বোঝা গেছিল শান্তি বেশিদিন স্থায়ী হবে না। সব দেশই তখন নিজেদের মতো করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবার তখন মাথাব্যথা কার কত বড়ো সেনাদল, কার কাছে কত উপনিবেশ, কত উন্নত অস্ত্রশস্ত্র। পারমাণবিক বোমা পূর্ববর্তী সে-যুগে এক বড়ো অস্ত্র ছিল জৈব অস্ত্রশস্ত্র। রাশিয়া জৈব অস্ত্রশস্ত্রে শক্তিশালী হয়ে উঠছে, আর জাপানের তৎকালীন সম্রাট হিরোহিতোর কপালে ভাঁজ তত বাড়ছে।
সম্রাটের সৈন্যদলে তখন মুখ্য মেডিকেল আধিকারিক ছিলেন শিরো ইশি। জন্ম ১৮৯২ সালে এক ধনী জমিদার পরিবারে। বড়োলোকের নাক উঁচু ছেলে, সমাজের নীচুতলার মানুষদের সে মানুষ বলেই গণ্য করে না। কিন্তু ভয়ানক বুদ্ধিমান, সেই সঙ্গে আছে অসাধারণ স্মৃতিশক্তি, যাকে বলে ফটোগ্রাফিক মেমরি। প্রবল জাতীয়তাবাদী ইশি জীবনের প্রথম থেকেই চিকিৎসাবিজ্ঞানে আকৃষ্ট ছিলেন এবং ইম্পেরিয়াল জাপানি আর্মিতে ডাক্তার হিসেবে নিজের কেরিয়ার গঠনে মনোনিবেশ করেন। মাত্র ২৮ বছর বয়সে কিয়োটো ইম্পেরিয়াল ইউনিভার্সিটি থেকে ডাক্তারি পাশ করে ইশি জাপান মিলিটারি সার্ভিসে যোগ দেন। যোগদানের ছয় মাসের মধ্যে সার্জন-ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট পদে উত্তীর্ণ হন। এরপর একই ইউনিভার্সিটি থেকে সাত বছর পরে মাইক্রোবায়োলজিতে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। এর পরের দুই বছর ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন জীববিজ্ঞান ল্যাবরেটরিগুলি পরিদর্শন করে মাইক্রোবায়োলজি গবেষণায় তৎকালীন অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হয়ে দেশে ফিরে আসেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জৈব অস্ত্রের ব্যবহার কীভাবে হয়েছিল সে-সম্বন্ধে তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিল। দেশে ফেরার পর তিনি টোকিও আর্মি মেডিকেল স্কুলে ইমিউনোলজির প্রফেসর হিসেবে নিযুক্ত হন ও একই সঙ্গে মেজর পদ লাভ করেন। ইতিমধ্যে ১৯২৫ সালে জেনেভা প্রোটোকলে জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গিয়েছে। এই প্রোটোকলের খসড়া তৈরিতে জাপান অংশগ্রহণ করলেও তা সেই সময় জাপান পার্লামেন্টে অনুমোদিত হয়নি। ইশি বুঝেছিলেন, যুদ্ধে জয়লাভ করতে হলে জাপানকে জৈব অস্ত্রে বলীয়ান হতে হবে। তাই তিনি তলে তলে জৈব অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করতে লাগলেন। কিন্তু এর জন্য তো দরকার বিশাল পরিকাঠামো আর সেই সঙ্গে অর্থের সংস্থান। সম্রাট হিরোহিতোকে তিনি বোঝালেন, জৈব অস্ত্রে বলীয়ান না হতে পারলে জাপানের পক্ষে সে হবে এক ভয়ানক বিপদ। সম্রাট রাজি হলেন, অঢেল আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন। তার একটা প্রধান কারণ হয়তো সম্রাট নিজেও জীববিজ্ঞানে একজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। রাজপ্রাসাদে তাঁর একটি ছোটো গবেষণাগারও ছিল।
১৯৩১ সাল। জাপান তখন চিনের মাঞ্চুরিয়া অঞ্চল দখল করেছে। সেখানে এক প্রত্যন্ত অঞ্চল হারবিনে (Harbin) এই জৈব অস্ত্রের সম্পূর্ণ পরিকাঠামো তৈরি হবে ঠিক হল। ইশি নিজে উড়ে এলেন, প্রথম থেকেই পুত্রসম স্নেহে গড়ে তুলতে লাগলেন এই পরিকাঠামো। আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘কোয়াংটুং সেনার মহামারী প্রতিরোধ এবং জল পরিশোধন বিভাগ’। ১৯৩৮ সালে পুরো ৬০০০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে দেড়শোটার মতো বিল্ডিং নিয়ে তৈরি হল ইউনিট ৭৩১-এর ব্যবস্থাপনা। দেওয়ালগুলো এত মজবুত ছিল যে পরে বোমা মেরেও ধ্বংস করা যায়নি।
শুরু হয়ে গেল সমস্ত কাজকর্ম। জাপান থেকে কাতারে কাতারে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনে জড়ো করা হল। পরীক্ষা চালানোর জন্য নমুনার অভাব হল না, আশপাশ থেকে চিনা মাঞ্চুরীয় গ্রামবাসীদের ধরে আনা হল। যুদ্ধবন্দি রুশ, কোরিয়ান ও মঙ্গোলিয়দেরও ব্যবহার করা হতে লাগল। প্রায় ৩০০০ যুদ্ধবন্দি ও নিরীহ মানুষকে জৈব অস্ত্র পরীক্ষার গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
অ্যানথ্রাক্স আর বিউবনিক প্লেগ—এই দুই রোগের উপর প্রথমে কাজ শুরু হল। মানুষকে সরাসরি এইসব রোগের প্যাথোজেন বা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত করা হল, তারপর নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হল, তাদের শরীরে বাহ্যিক পরিবর্তন কী কী হচ্ছে সেগুলো লক্ষ করা হল। কিন্তু শরীরের ভেতর যে পরিবর্তনগুলো হচ্ছে তা তো জানা দরকার। মানুষগুলো রোগে ভুগে মারা যাওয়ার আগে শরীরের ব্যবচ্ছেদ না করলে মধ্যবর্তী পর্যায়ে কীভাবে নানা পরিবর্তন হচ্ছে তা তো বোঝা যাবে না। অতএব জীবন্ত অবস্থাতেই ব্যবচ্ছেদ করা হতে লাগল। কোনোরকম অ্যানেস্থেশিয়া না করে সরাসরি তাদের শরীর কেটে ভেতরের অঙ্গগুলোকে বার করে এনে তাদের পরিবর্তন দেখা হল ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সেগুলোর ছবি এঁকে রাখা হল।
লেগে থাকার ফল মিলল। কিছুদিনের মধ্যেই আবিষ্কার হল বিউবনিক প্লেগের এমন এক ভাইরাস স্ট্রেন যা বিউবনিক প্লেগের থেকে ৬০ গুণ বেশি শক্তিশালী। এরপর স্মলপক্স, কলেরা, টাইফয়েড, বোটুলিজম (botulism) ইত্যাদি আরও নানান রোগের জীবাণু নিয়ে গবেষণা চালানো হল। শিশু, কিশোর, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা—কেউই এই ভয়ংকর পরীক্ষানিরীক্ষা থেকে রেহাই পেল না।
মজার কথা হল, আশেপাশের সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার করা হয়েছিল যে এই বিল্ডিংটা একটা কাঠ কাটার মিল। আবার জাপানি কর্মচারীরা মজা করে পরীক্ষাধীন মানুষদের গুঁড়ি বলে ডাকত। মানুষ মারা গেলে তারা বলত ক’টা গুঁড়ি কাটা পড়ল।
যুদ্ধের মধ্যে সৈনদেরকে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে যুদ্ধ করতে হয়। এর ফলে তাদের হাইপোথার্মিয়া হয়ে যায়। এই হাইপোথার্মিয়া প্রতিরোধে কী করা যায় তা পরীক্ষা চালাবার জন্যও একদল বিজ্ঞানী কাজ করতে থাকেন। অনেক মানুষকে হাত-পা বেঁধে প্রচণ্ড ঠান্ডায় ফেলে রাখা হত যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা ফ্রস্টবাইটে আক্রান্ত হয়। তারপর সেই অবস্থায় তাদের হাতের চামড়ায় ছুরি চালিয়ে দেখা হত যে তাতে সাড় আছে কি না। আবার ওই প্রচণ্ড ঠান্ডা হাতকে বিভিন্ন উষ্ণতার জলে ডুবিয়ে রেখে দেওয়া হত ফলাফল কী হয় দেখবার জন্য। কখনো-বা মানুষের হাতের পুরো চামড়াটাই ছিঁড়ে উঠে যেত এইসব বীভৎস পরীক্ষানিরীক্ষার ফলে।
এর মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে। ফলে আবিষ্কৃত নানা জৈব অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে প্রয়োগের সময় এসেছে। যুদ্ধে বোমা প্রয়োগ করতে গেলে শুধু বোমাটা বানালেই চলে না, সেটার বাহক লাগে। জৈব অস্ত্রের ক্ষেত্রে দেখতে হয় যাতে বোমার বিস্ফোরণ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ইশি এ-কাজেও ছিলেন বুদ্ধিমান। তিনি প্রথমে চেষ্টা করলেন প্লেনের নীচে ধাতব ঝাঁঝরির মতন কিছু লাগিয়ে বৃষ্টির মতন এইসব রোগের জীবাণুদের ছড়িয়ে দেওয়া যায় কি না। কিন্তু এতে ভালো কাজ হল না। শেষে পোর্সিলিন বা চিনামাটির খোল বানিয়ে তাতে রোগের প্যাথোজেন পুরে দেওয়া হতে লাগল। কাজ হল অসাধারণ। শয়ে শয়ে গ্রামবাসী যাদের ডাক্তার দেখানোর কোনও সুযোগ নেই, তারা সম্পূর্ণ বিনা চিকিৎসায় মারা গেল।
একজন ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, তার ভাই এই জীবাণু গঠিত রোগে আক্রান্ত হয়। তখন কেবলমাত্র বেঁচে থাকার জন্য তার ভাইকে একটা ছোটো ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। স্রেফ অসহ্য যন্ত্রণায় কষ্ট পেয়ে, না খেতে পেয়ে ছেলেটি মারা যায়। সাধারণ মানুষের কাছে এ-রোগ ছিল সম্পূর্ণ অচেনা। এই জৈব অস্ত্র এমনই মারাত্মক যে সামান্যতম ভুলে যিনি এই অস্ত্র প্রয়োগ করছেন তাঁর জীবনও বিপন্ন হয়েছে। এই পুরো সময়ে প্রায় ১৬০০ জন জাপানি মারা যায় জৈব অস্ত্রের অসতর্ক ব্যবহারের ফলে। কিন্তু চিনা মানুষ মারা গেছে প্রায় ২৫০,০০০।
শিরো ইশি কিন্তু হেলাফেলার লোক ছিলেন না। তাঁর তৈরি জৈব অস্ত্র দিয়ে তিনি আমেরিকার ওপর আক্রমণ চালাবার পরিকল্পনা করলেন। তার জন্য তিনি কয়েকটি প্রোটোটাইপ বেলুন আমেরিকার দিকে উড়িয়ে দেন। একটি বেলুন উড়তে উড়তে প্রশান্ত মহাসাগর পেরিয়ে একেবারে আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে পৌঁছে গেছিল। সত্যিকারের জৈব অস্ত্র দিয়ে আক্রমণের দিন স্থির হয় ২২শে সেপ্টেম্বর ১৯৪৫, কিন্তু তার পাঁচ সপ্তাহ আগে জাপানের সম্রাট হিরোহিতো নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করলেন। কারণ, ততদিনে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহর আমেরিকার পরমাণু বোমার আঘাতে তছনছ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় জাপানের আত্মসমর্পণ করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও পরিসমাপ্তি ঘটল।
জাপান আত্মসমর্পণ করার সঙ্গে-সঙ্গেই ইউনিট ৭৩১-এর কার্যকলাপের সমস্ত তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু হয়। তখন প্রায় ৫০০ জন চিনা বন্দি ইউনিট ৭৩১ বিল্ডিংয়ে বেঁচে রয়েছেন। প্রথমেই তাদের মেরে ফেলা হল। তারপর ডিনামাইট দিয়ে সমস্ত বিল্ডিং উড়িয়ে কাগজপত্র পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সময় বেশি ছিল না, মাত্র পাঁচদিনের মধ্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হলেও বেশিরভাগ তথ্যপ্রমাণ অটুট থেকে যায়। তার কারণ বিল্ডিংয়ের মোটা দেওয়াল, ডিনামাইটের আঘাতেও যা প্রায় অক্ষত ছিল।
শিরো ইশি কিন্তু মাথা গরম করার মতো মানুষ ছিলেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর যখন সমস্ত জাপানি যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার চলছে তখন ইউনিট ৭৩১-এর একজন আধিকারিককেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়নি। কেন? কারণ, ওস্তাদের মার শেষ রাতে।
পর্দার আড়ালে তখন অন্য খেলা চলছে। শিরো আমেরিকার রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে চুক্তি করলেন যে তাঁর ইউনিট ৭৩১-এর সমস্ত গবেষণামূলক তথ্য আমেরিকার হাতে তুলে দেবেন, আর তার বদলে ইউনিট ৭৩১-এর সকল কর্মচারীদের বিচার থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। আজকালকার দিনেও কোনও ওষুধ বা রোগ নিয়ে সরাসরি মানুষের উপর গবেষণায় অনেকরকম বাধানিষেধ আছে। এই ধরনের গবেষণা সাধারণত ইঁদুর, গিনিপিগ বা ড্রসোফিলা মাছির উপর করা হয়। কিন্তু এ যে মানুষের উপর প্রয়োগ করা গবেষণার ফল। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর গুরুত্ব অপরিসীম। অতএব সকলে ছাড়া পেয়ে গেলেন। মজার ব্যাপার এই যে, ওই প্রকল্পে কর্মরত সমস্ত অফিসারদের পরে জাপানে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ও সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তরে উচ্চপদে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল। ইশি, যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত ইউনিট ৭৩১, তিনি একদিনও জেল না খেটে বাকি জীবন নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন। ১৯৫৯ সালে ৬৭ বছর বয়সে গলার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষে যুদ্ধ অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে একমাত্র জাপানের সম্রাট হিরোহিতো শাস্তির হাত থেকে বেঁচে যান।
জাপানি সৈন্যবাহিনী কর্তৃক এই নৃশংস গণহত্যা জার্মানির নাৎসি বাহিনীর ইহুদি নিধনের তুলনায় কোনও অংশে কম ছিল না। অথচ এই নৃশংস অত্যাচারের জন্য শিরো ইশি বা তার সহযোগীদের কাউকে আন্তর্জাতিক আদালতে শাস্তির মুখে পড়তে হল না। এমনকি জাপান সরকার আজ পর্যন্ত এই ঘটনার দায়স্বীকার বা তার জন্য দুঃখপ্রকাশ কোনোটাই করেনি।
তথ্যসূত্র—
Gregory Dean Byrd, ‘General Ishii Shiro: His Legacy is That of Genius and Madman’, East Tennessee State University (2005).
হারবিনে ইউনিট ৭৩১ বিল্ডিং (বাঁদিকে)। ডক্টর ইশি শিরো (ডানদিকে)।
প্রলয় সেন ▪ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪ রঞ্জন দাশগুপ্ত ▪ শাশ্বত কর
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ রম্যাণী গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ তাপস মৌলিক ▪ অভিষেক ঘোষ ▪ প্রদীপ কুমার দাস ▪ সুস্মিতা কুণ্ডু ▪ সবিতা বিশ্বাস ▪ বিশ্বদীপ সেনশর্মা ▪ দীপক দাস ▪ অমিয় আদক ▪ কল্যাণ সেনগুপ্ত
বদ্রীনাথ পাল ▪ দীনেশ সরকার ▪ রূপসা ব্যানার্জী ▪ শঙ্খশুভ্র পাত্র ▪ সৌরভ চাকী ▪ শক্তিপদ পণ্ডিত ▪ শিবানী কুণ্ডু খাঁ ▪ সুব্রত দাস ▪ বসন্ত পরামানিক ▪ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪ অমিত চট্টোপাধ্যায় ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ তাপস বাগ ▪ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪ টুম্পা মিত্র সরকার
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ যূথিকা আচার্য ▪ মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ কেয়া চ্যাটার্জী ▪ ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ▪ সুদীপ ঘোষাল ▪ অনিন্দ্য পাল ▪ ড. উৎপল অধিকারী
অরিন্দম ঘোষ ▪ সৌম্যপ্রতীক মুখোপাধ্যায় ▪ রাজীবকুমার সাহা
সনৎ কুমার ব্যানার্জ্জী ▪ মলয় সরকার
অলংকরণ
প্রদীপ গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ অঙ্কিতা মণ্ডল ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ সুকান্ত মণ্ডল ▪ পুণ্ডরীক গুপ্ত ▪ প্রবাহনীল দাস ▪ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী ▪ রাজন্যা ব্যানার্জী ▪ সমৃদ্ধি ব্যানার্জী ▪ ঐশিক মণ্ডল ▪ বিজয় বোস ▪ দীপক কুণ্ডু