প্রবন্ধ
15% OFF * FREE SHIPPING
প্রবন্ধ
প্রায় প্রত্যেকটি নক্ষত্রের মতো আমাদের সূর্যেরও একটি নিজস্ব পরিবার আছে। এই পরিবার পুরোপুরি আমাদের মতো না হলেও কিছুটা তো বটেই। এই পরিবার অনেকটাই আমাদেরই যৌথ পরিবারের মতো। এখানে সূর্যের আপাতত মোট আটটি গ্রহ আছে এবং এই প্রত্যেকটি গ্রহের আবার এক বা একাধিক উপগ্রহ আছে। যেমন পৃথিবীর উপগ্রহ সংখ্যা একটি। যার নাম চাঁদ।
মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায়
আমাদের এই বাসভূমির হাজারো নাম। পৃথিবী, মেদিনী, ধরিত্রী, বসুন্ধরা—আরও কত কী। তবে পৃথিবী নামটাই সর্বাপেক্ষা বেশি গ্রহণযোগ্য। ধরিত্রী বা বসুন্ধরা—এই নামগুলো কবিদের কবিতায় বেশি করে প্রতিফলিত হয়। আমরা সবাই জানি আমাদের সবথেকে নিকটবর্তী নক্ষত্র বা তারাটির নাম সূর্য। এরও আবার অজস্র নাম আছে যেমন ভানু, রবি, ভাস্কর, তপন ইত্যাদি।
এইসব তারাদের আমরা জানি নিজস্ব আলো আছে আর বাকি সবাই এই নিকটবর্তী তারাদের আলোতেই আলোকিত হয়। তারাদের নিজস্ব আলো থাকার পেছনে যে কারণ তার জন্য একটি বিশেষ প্রকারের পারমাণবিক প্রক্রিয়া মূলত দায়ী। যার বিজ্ঞানসম্মত নাম নিউক্লিয়ার ফিউশন বা পারমাণবিক সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া। আসলে এইসব নক্ষত্রগুলোর পেটে সৃষ্টির আদি কণা হাইড্রোজেন পরমাণুর পর্যাপ্ত উপস্থিতিই এর জন্য দায়ী। একটি অতি উচ্চ নির্দিষ্ট তাপের উপস্থিতিতে এই হাইড্রোজেন পরমাণুগুলিই নিজেদের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে ভারী মৌল হিলিয়ামের পরমাণু গঠন করে এবং এই প্রক্রিয়ায় প্রচুর পরিমাণে তাপ ও আলো উৎপন্ন হয়। বিক্রিয়াটি একবার শুরু হলে ধারাবাহিকভাবে চলতেই থাকে যতক্ষণ না সমস্ত হাইড্রোজেন পরমাণু নিঃশেষ হয়ে হিলিয়াম পরমাণুতে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমাদের সূর্যের মতো মাঝারি ভরবিশিষ্ট নক্ষত্রগুলির ক্ষেত্রে এরপরে একটি বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে তারাটির বাইরের গ্যাসীয় আবরণটি মহাকাশে বিলীন হয়ে গিয়ে আকারে ছোটো যে অবশিষ্টাংশটি অক্ষত অবস্থায় অটুট থাকবে তাকে বলা হয় শেত বামন দশা। এইসময় থেকে নক্ষত্রটি আর আলো এবং তাপ বিকিরণ করতে পারেনা আভ্যন্তরীণ পারমাণবিক সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার দরুণ।
প্রায় প্রত্যেকটি নক্ষত্রের মতো আমাদের সূর্যেরও একটি নিজস্ব পরিবার আছে। এই পরিবার পুরোপুরি আমাদের মতো না হলেও কিছুটা তো বটেই। এই পরিবার অনেকটাই আমাদেরই যৌথ পরিবারের মতো। এখানে সূর্যের আপাতত মোট আটটি গ্রহ আছে এবং এই প্রত্যেকটি গ্রহের আবার এক বা একাধিক উপগ্রহ আছে। যেমন পৃথিবীর উপগ্রহ সংখ্যা একটি। যার নাম চাঁদ। আর সেটি আমাদের সবথেকে কাছে থাকার জন্য রাতের আকাশে সবথেকে বড়ো দেখায়। বুধই হচ্ছে একমাত্র ব্যতিক্রমী গ্রহ যার কোনও উপগ্রহ নেই। আবার বৃহস্পতির, যেটি আকারে প্রায় তেরোশটি পৃথিবীর সমান, তার আকাশে আপাতত আবিষ্কৃত মোট উপগ্রহের সংখ্যা পঁচানব্বইটি। পূর্বে মোট গ্রহের সংখ্যা ধরা হয়েছিল নয়টি। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে একটি বিশেষ কারণে প্লুটোকে এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এই মহাজাগতিক বস্তু প্লুটোকে বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিয়নের তরফ থেকে বামন গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এই পরিবারে কুইপার বেল্ট এবং ওর্টস ক্লাউড নামক দুটি গ্রহাণুপুঞ্জেরও অস্তিত্ব রয়েছে যারা রিংয়ের আকারে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে বাকি গ্রহদের মতোই সূর্যকে উপবৃত্তাকার পথে প্রদক্ষিণ করে। এই উপবৃত্তাকার পথগুলিকে বলা হয় কক্ষপথ এবং প্রত্যেকটি গ্রহের কক্ষপথ কিন্তু নির্দিষ্ট। এরা নিজেদের কক্ষে পরিভ্রমণকালে কখনোই অন্যের কক্ষপথের সীমানার ভেতরে প্রবেশ করে না। এটাই অলিখিত নিয়ম এই সৌর পরিবারের। বেচারা পুঁচকে গ্রহ প্লুটো এই ভুলটাই করে নবগ্রহের সেই তালিকা থেকে চিরতরে বহিষ্কৃত হয়ে বামন গ্রহের তকমা এঁটে মুখ বুজে সূর্যের চারপাশে সময়ের শৃঙ্খলা মেনে সমানে ঘুরেই চলেছে পরিবারের আর বাকি সবার মতো। কারণ, সে তার পরিভ্রমণ পথে নেপচুনের কক্ষপথকে অতিক্রম করে সূর্যের কাছে চলে যায় কিছু সময়ের জন্য। আর কক্ষপথে এই পরিভ্রমণের সময়কালকেই প্রতিটি গ্রহের নিজস্ব বছর বলা হয়, যেটি আমাদের পৃথিবীর ক্ষেত্রে প্রায় তিনশো পয়ষট্টি দিন। প্রতিটি গ্রহ বা উপগ্রহরই বার্ষিক গতির পাশাপাশি দ্বিতীয় যে গতিটি একই সঙ্গে ঘটে তাকে বলে আহ্নিক গতি। এক্ষেত্রে বস্তুটি তার অক্ষের চারপাশে লাট্টুর মতো ঘুরতে যে সময় নেয় সেটিই তার আহ্নিক গতি। যার জন্য দিন ও রাত হয়। আমাদের গ্রহের ক্ষেত্রে এর পরিমাপ চব্বিশ ঘণ্টার সামান্য কম। আবার প্রতিটি গ্রহই তার মূল কক্ষপথের সঙ্গে সামান্য কোণে বেঁকে থাকে, যার ওপর গ্রহটির আবহাওয়া কেমন হবে সেটি নির্ভর করে। আমাদের গ্রহের ক্ষেত্রে এর পরিমাপ সাড়ে তেইশ ডিগ্রি।
এই আটটি গ্রহের মধ্যে সূর্যের থেকে দূরত্বের নিরিখে প্রথম চারটি গ্রহ পাথুরে আর দূরবর্তী এবং তুলনামূলকভাবে আকারে বড়ো চারটি গ্রহ গ্যাসীয়। এবারে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে, বাহ্যিক গঠনে সৌরজগতের সবচেয়ে সুন্দর গ্রহ কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য হয়তো খুব বেশি সময় নিতে হবে না। অবশ্য এটা নিয়েও তর্ক হতেই পারে। তবে মতামতের ভিত্তিতে শনিকে সৌরজগতের সবচেয়ে সুন্দর গ্রহ বলা যেতেই পারে। কেন? কারণ, এর আছে অনিন্দ্যসুন্দর একাধিক বলয় বা রিং। এই বলয়ের কারণেই শনি গ্রহকে চিনতে কারও অসুবিধা হয় না। এটা শনির গ্রহের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এই বৈশিষ্ট্য যে আরও কিছু গ্রহের আছে, তা কি সবাই জানি? একটি বা দুটি নয়, সৌরজগতের বাইরের দিকের ৪টি গ্যাসীয় গ্রহেরই বলয় আছে। কিন্তু সেগুলো শনির মতো এত উজ্জ্বল নয়। বিজ্ঞানীদের মতে, অতীতে সম্ভবত পৃথিবীরও বলয় ছিল। আবার ভবিষ্যতে বলয় তৈরি হতে পারে মঙ্গল গ্রহেরও।
মূল প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে একটা ছোট্ট বিষয় মনে হয় সকলেরই জানা দরকার। কোনও গ্রহের চারপাশে কেন বলয় তৈরি হয়? তারও আগে জানতে হবে, বলয় আসলে কী? অনেক বস্তু যদি একটা নির্দিষ্ট বড়ো বস্তুকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে, তাহলে সেগুলো দূর থেকে দেখতে বলয় কিংবা রিংয়ের মতো লাগে। যেমন শনি গ্রহ। এর চারপাশে অসংখ্য ছোটো-বড়ো পাথর ও বরফখণ্ড রয়েছে। সেগুলোর আকৃতি টেনিস বল থেকে শুরু করে বিশালাকার ব্যাসের এবড়ো-খেবড়ো বস্তুর মতো। এগুলো সবসময় শনি গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে। অনেকটা পৃথিবীর চাঁদের মতো। তবে সবগুলো কিন্তু উপগ্রহ হিসেবে স্বীকৃত নয়।
একটু আগেই বললাম যে, সৌরজগতে চারটি বৃহদাকার গ্যাসীয় গ্রহেরই বলয় আছে। সেগুলো হল শনি, বৃহস্পতি, ইউরেনাস ও নেপচুন। খেয়াল করলে দেখতে পাব, চারটি গ্রহই গ্যাসীয় এবং তুলনামূলকভাবে বাকিদের থেকে বড়ো।
আসলে সাধারণত গ্রহ যত বড়ো, তার মহাকর্ষ বল তত শক্তিশালী। কারণ, যে-বস্তুর ভর যত বেশি, তার মহাকর্ষ বলও তত বেশি হয়। স্যার আইজাক নিউটনের মাধ্যাকর্ষণের গাণিতিক সূত্র তাই নির্দেশ করে। আর মহাকর্ষ বল বেশি হলে বড়ো বস্তুটির (এখানে গ্রহ) চারপাশে ঘুরতে বাধ্য হয় অন্যান্য ছোটো বস্তু। তাই বড়ো বড়ো গ্রহের চারপাশে উপগ্রহ, বরফ ও পাথরখণ্ড বেশি থাকে। এগুলোকেই দূর থেকে দেখতে বলয়ের মতো লাগে।
এদের চারপাশে উপগ্রহের সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। তবে শনির মতো অন্য গ্রহ তিনটির বলয় কিন্তু সেভাবে দেখা যায় না। কারণ এগুলোর বলয় অনেক পাতলা এবং বলয়ের মাঝে ফাঁকা জায়গা অনেক বেশি। শনির বলয়ের মাঝেও ফাঁকা জায়গা রয়েছে। তবে তুলনামূলক অনেকটাই কম।
এবারে গ্রহগুলোর বলয় সম্পর্কে একটু জানা যাক। শনির বলয় সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। ১৬১০ সালে গ্যালিলিও গ্যালিলি প্রথম শনির বলয় পর্যবেক্ষণ করেন। কিন্তু স্পষ্টভাবে বোঝার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না গ্যালিলিওর টেলিস্কোপটি। তিনি শনির দুটি বড়ো উপগ্রহ থাকার কথাও বলেছিলেন। এরপর ১৬৫৫ সালে ডাচ বিজ্ঞানী ক্রিস্টিয়ান হাইগেনস প্রথম শনির বলয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত করেন। তখনও এ-বলয় সম্পর্কে মানুষের স্পষ্ট ধারণা ছিল না। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন, এই বলয় একক কোনও কঠিন পদার্থে তৈরি। এগুলো যে অনেকগুলো ছোটো-বড়ো পাথর ও বরফের সমষ্টি, তা তাঁরা বুঝতে পারেননি প্রথমে। বিষয়টি পরে ১৬৭৫ সালে আবিষ্কার করেন জিওভান্নি ক্যাসিনি।
প্রথমে শনির একক বলয়ের ধারণা করা হলেও এখন বিজ্ঞানীরা জানেন, শনির চারপাশে আসলে ৭টি বলয় রয়েছে। এছাড়াও কিছু ছোটো বলয়ও আছে। প্রধান বলয়গুলোকে ইংরেজি অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয়। সবচেয়ে কাছ থেকে দূরের বলয়গুলোর নাম যথাক্রমে ডি, সি, বি, এ, এফ, জি এবং ই। বলয় আবিষ্কারের ওপর ভিত্তি করে এমনভাবে সাজানো হয়েছে। এসব বলয়ের মাঝে রয়েছে বিশাল ফাঁকা স্থান। যেমন এ এবং বি বলয়ের মাঝের ফাঁকা স্থানের নাম ক্যাসিনি ডিভিশন। আবার এ এবং এফ বলয়ের মাঝের ফাঁকা স্থানের নাম রোশ। মূল বলয়গুলো শনি গ্রহ থেকে প্রায় ৭৩ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
শনিগ্রহ
সৌরজগতের সবচেয়ে বড়ো গ্রহ বৃহস্পতি। কিন্তু তারপরেও এর চারপাশের বলয় স্পষ্ট বোঝা যায় না। বৃহস্পতির যে-ছবি আমরা দেখি, তাতেও বলয়ের চিহ্ন অনুপস্থিত। আসলে ১৯৭৯ সালে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ভয়েজার-১ নভোযান বৃহস্পতির চারপাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের ধারণাই ছিল না বৃহস্পতিরও বলয় আছে। কারণ, সেটি এত ক্ষীণ যে পৃথিবীর মাত্র হাতেগোনা কয়েকটা বড়ো টেলিস্কোপ ছাড়া দেখার উপায় নেই। অবশ্য এ-গ্রহের বলয় দেখতে বেশিরভাগ সময় ব্যবহৃত হয় হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। বৃহস্পতির বলয়ে মোট চারটি রিং আছে। প্রধান রিং, হ্যালো রিং, গসামের রিং ও হিমালিয়া রিং। বৃহস্পতির রিংগুলো প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। হ্যালো রিংয়ের পুরুত্ব ১২ হাজার থেকে ৫০০ কিলোমিটার। সে তুলনায় প্রধান রিংয়ের পুরুত্ব অনেক কম। মাত্র ৩০ কিলোমিটার।
ইউরেনাসের রয়েছে ১৩টি সংকীর্ণ রিং। ১৯৭৭ সালে বলয়গুলো প্রথম আবিষ্কৃত হয়। তবে এ-গ্রহের রিংগুলো ছোটো পাথরের টুকরো দিয়ে গঠিত। আসলে ইউরেনাসের রিংগুলো সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনও বিস্তারিত জানেন না। তাই কিছুটা রহস্য এখনও রয়েই গেছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত টেলিস্কোপ আবিষ্কার হলে কিংবা ইউরেনাসের উদ্দেশে কোনও নভোযান পাঠালে এ-রহস্যের সমাধান হতে পারে।
ইউরেনাসের মতো বলয় আছে নেপচুনেরও। মোট ৬টি সরু রিং। ১৯৮৪ সালে এ-গ্রহের রিংগুলো সম্পর্কে প্রথম জানা যায়। এরপর ১৯৮৯ সালে ভয়েজার-২ মিশনের সাহায্যে এ-সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যায়। তবে অন্য গ্রহের রিংগুলোর চাইতে এ-গ্রহের রিংয়ে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি।
মজার বিষয় হল, অতীতে পৃথিবীতেও ছিল একটা ছোট্ট বলয়। প্রায় চারশো পঁয়ত্রিশ কোটি বছর আগে পৃথিবীর গঠনকালে ওই রিং ছিল। থিয়া নামে একটি গ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হয়েছিল বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা। তখনই পৃথিবীর চারপাশে এই দুই গ্রহের অনেক ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। সেগুলো দিয়েই তৈরি হয়েছিল রিং। যদিও সেই রিং শনি গ্রহের মতো স্পষ্ট বা বড়ো ছিল না। পরে পৃথিবীর মহাকর্ষীয় টানে সেই রিং একত্রিত হয়ে তৈরি হয় আজকের চাঁদ।
ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহের চারপাশেও রিং দেখার সম্ভাবনা আছে। মঙ্গলের উপগ্রহ ফোবোস ধীরে ধীরে মঙ্গলের কাছে চলে আসছে। এই উপগ্রহটির কক্ষপথ ক্ষয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। এখন থেকে ৭ কোটি বছর পরে উপগ্রহটি মঙ্গলের এত কাছে চলে আসবে যে মঙ্গলের মধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে ফোবোস। সেই ধ্বংসাবশেষেই তৈরি হবে মঙ্গলের রিং। যেরকমটা পৃথিবীর ক্ষেত্রে ঘটেছিল সুদূর অতীতে।
সবশেষে বলা যায়, বর্তমানে সৌরজগতের চারটি গ্রহের বলয় আছে। অতীতে পৃথিবীর বলয় ছিল এবং সেই বলয় একত্রিত হয়ে তৈরি হয়েছে বর্তমানের চাঁদ। আর ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে ঘটবে ঠিক উলটো ঘটনা। মঙ্গলের চাঁদ ধ্বংস হয়ে তৈরি হবে বলয়। ভবিষ্যতে উন্নত টেলিস্কোপ ও মহাকাশযানের প্রভাবে আমরা হয়তো এই রিংগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারব।
এ তো গেল বাহ্যিক সৌন্দর্যের কথা। কিন্তু আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যের প্রসঙ্গে শুধু এই সৌরজগৎ কেন, এই সমগ্র মিল্কিওয়ে আকাশগঙ্গায় আমাদের এখনও পর্যন্ত অর্জিত জ্ঞানের পরিসরে আমাদের এই বসুন্ধরার আশেপাশে সামনের বেশ কিছু আলোকবর্ষব্যাপী বিস্তৃতিতে কেউ আসবে না। এই একটিই মহাজাগতিক বস্তু লক্ষ-কোটি মহাজাগতিক বস্তুর মাঝে অনেকটা যেন সেই বিশাল অনন্ত মরুভূমির মাঝে একচিলতে একটা মরূদ্যান। যেখানে নীল জলরাশি আর সবুজ বনানীর মাঝে এ যেন কোনও মহান ঐশ্বরিক শিশুর সাজানো একটা জীবন্ত ঝুলনযাত্রা।
প্রলয় সেন ▪ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪ রঞ্জন দাশগুপ্ত ▪ শাশ্বত কর
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ রম্যাণী গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ তাপস মৌলিক ▪ অভিষেক ঘোষ ▪ প্রদীপ কুমার দাস ▪ সুস্মিতা কুণ্ডু ▪ সবিতা বিশ্বাস ▪ বিশ্বদীপ সেনশর্মা ▪ দীপক দাস ▪ অমিয় আদক ▪ কল্যাণ সেনগুপ্ত
বদ্রীনাথ পাল ▪ দীনেশ সরকার ▪ রূপসা ব্যানার্জী ▪ শঙ্খশুভ্র পাত্র ▪ সৌরভ চাকী ▪ শক্তিপদ পণ্ডিত ▪ শিবানী কুণ্ডু খাঁ ▪ সুব্রত দাস ▪ বসন্ত পরামানিক ▪ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪ অমিত চট্টোপাধ্যায় ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ তাপস বাগ ▪ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪ টুম্পা মিত্র সরকার
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ যূথিকা আচার্য ▪ মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ কেয়া চ্যাটার্জী ▪ ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ▪ সুদীপ ঘোষাল ▪ অনিন্দ্য পাল ▪ ড. উৎপল অধিকারী
অরিন্দম ঘোষ ▪ সৌম্যপ্রতীক মুখোপাধ্যায় ▪ রাজীবকুমার সাহা
সনৎ কুমার ব্যানার্জ্জী ▪ মলয় সরকার
অলংকরণ
প্রদীপ গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ অঙ্কিতা মণ্ডল ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ সুকান্ত মণ্ডল ▪ পুণ্ডরীক গুপ্ত ▪ প্রবাহনীল দাস ▪ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী ▪ রাজন্যা ব্যানার্জী ▪ সমৃদ্ধি ব্যানার্জী ▪ ঐশিক মণ্ডল ▪ বিজয় বোস ▪ দীপক কুণ্ডু