15% OFF * FREE SHIPPING
শুভাঞ্জন ব্যানার্জ্জী (১৫)
চায়ে চুমুক দিয়ে হিরণ্ময়জেঠু বললেন, “বল, কীসের গল্প শুনবি।”
আমি বললাম, “ভূতের গল্প।”
হেসে উঠলেন জেঠু। “সবসময়ই তো ভূতের গল্প শুনিস। আজ একটু অন্যরকম গল্প বলি শোন।” বলে কিছুক্ষণ চোখ বুজে রইলেন। তারপর বললেন, “ফ্রেডরিক সাহেবের কথা তোদের বলেছি কখনও?”
“না তো।” বললাম আমরা সমস্বরে।
“বেশ, তবে বলি শোন।” এই বলে চায়ে শেষ চুমুক দিয়ে হিরণ্ময়জেঠু বলতে শুরু করলেন।
গল্প শুরু করার আগে হিরণ্ময়জেঠুর পরিচয়টা একটু দিয়ে রাখি। হিরণ্ময়জেঠু আমার নিজের জেঠু নন। বাবার দূরসম্পর্কের দাদা। যদিও তাঁকে দেখলে আমার জেঠু নয়, দাদু বলেই মনে হবে। তার সাক্ষ্য দেয় তাঁর মাথা-ভরতি সাদা চুল এবং মুখের স্পষ্ট হয়ে ওঠা বলিরেখাগুলো। শরীরের বয়স বাড়লেও মনের বয়স এখনও কম। তা না হলে কি আর আমাদের সঙ্গে মিশতে পারতেন? আমরাও হিরণ্ময়জেঠুকে খুব ভালোবাসি। আমরা মানে আমি, অদ্রিজা, সৈকত আর অর্ণব। হিরণ্ময়জেঠু নিজের এ-যাবৎ প্রচুর জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং তাঁর ঝুলিতে জমা হয়েছে রোমহর্ষক সব অভিজ্ঞতা। শিকারও করেছেন প্রচুর। ফলে, তিনি এলেই তাঁকে ঘিরে ধরি আমরা। মা বলেন, ‘উনি তো সবে এলেন, এখনই চেপে ধরিস না ওঁকে। আগে একটু ভালোভাবে বসতে দে।’ মায়ের কথা শুনে হিরণ্ময়জেঠু হাসেন। বলেন, ‘না, না। ওদের সঙ্গেই আমার সময় ভালো কাটে।’
এমনই আমাদের হিরণ্ময়জেঠু।
গল্প শুরু করলেন হিরণ্ময়জেঠু।—
তোরা হয়তো জানিস না, আমি অন্যরকমের পদ রান্না করতে জানতাম। নিজের প্রশংসা করে বলছি না, তবে যে-ক’জন আমার হাতের রান্না খেয়েছেন প্রত্যেকেই বলেছেন, আমি নাকি অপূর্ব রান্না করি। তা জানি না তাঁরা আমার মন রাখার জন্য বলেছেন, না সত্যি। তা যাই হোক, এতগুলো কথা বলার একটাই কারণ, ফ্রেডরিক সাহেবের সঙ্গে আমার আলাপ হয় এই রান্নার সূত্রেই।
কর্মসূত্রে তখন আমি উত্তরবঙ্গে পোস্টেড। শীত পড়েছে জাঁকিয়ে। আমার কোয়ার্টারে আমি একাই থাকতাম। সেদিন রাতে অন্যদিনের তুলনায় ঠান্ডাটা একটু বেশিই পড়েছিল। বাইরে হাওয়া বইছে প্রচণ্ড। আমি তাড়াতাড়ি খাওয়া সেরে নিয়েছি। খাওয়াদাওয়া তাড়াতাড়ি সেরে নিলেও অত তাড়াতাড়ি শোওয়ার অভ্যাস আমার ছিল না। ফলে, খেয়েদেয়ে উঠে এককাপ কফি নিয়ে দোতলার জানালার ধারে বসলাম। হাতে একটা পেপারব্যাক নভেল। কফি খেতে খেতে পড়ছি, এমন সময় চোখে পড়ল, আমার বাড়ির দরজার কাছে কে একজন এসে দাঁড়িয়েছেন। আমি তাড়াতাড়ি নীচে গিয়ে দরজা খুলে দিলাম। এক বৃদ্ধ। তবে এ-দেশীয় নন, তা তাঁর মুখের চামড়া আর পোশাকেই মালুম হচ্ছিল। ঠান্ডায় কাঁপছিলেন মানুষটা। কাঁপুনির কারণে ঠিক করে কথা বলতে পারছিলেন না। আমি তাঁকে ভিতরে নিয়ে এলাম। কিছুক্ষণ পর কাঁপুনি কমলে কফি করে হাতে দিলাম। ভদ্রলোক ধাতস্থ হলেন। বললেন, “তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ইয়ং ম্যান। অন্ধকারে রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিলাম।”
এই ভদ্রলোকের নামই ফ্রেডরিক সাহেব। এইভাবেই তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ। শুনলাম, ভদ্রলোক রাতের খাবার ও খেতে পারেননি। ঘরে কিছু চিকেন, পাউরুটি আর সবজি ছিল। চটপট স্যান্ডউইচ বানিয়ে দিলাম তাঁকে। ভদ্রলোক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন বার বার। তারপর আমার হাতের আরও এককাপ কফি খেয়ে নিজের ঠিকানা দিয়ে বিদায় নিলেন। যাওয়ার আগে বার বার বলে গেলেন, তাঁর বাড়ি যেন অবশ্যই একদিন যাই। নাকি বন্দুকের দারুণ কালেকশন আছে তাঁর, আমি গেলে দেখাবেন।
এরপর বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। একদিন বিকেলে সাহেবের বাড়ি গেলাম। বন্দুকের কালেকশন দেখলাম। শুনলাম, তাঁর পূর্বপুরুষরা নাকি শিকারি ছিলেন। ভদ্রলোকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে লাগল। মাঝে মাঝে আমি ওঁর বাড়ি যাই। উনিও আসেন। ডিসেম্বরের শেষে একদিন এসে বললেন, “চলো ইয়ং-ম্যান, তোমাকে একটা জায়গায় নিয়ে যাব।”
আমি বললাম, “কোথায়?”
উনি জায়গাটার নাম বললেন।
তোদের সে-জায়গার নাম বলছি না। শুধু গল্পটা শোন। তবে এটুকু জেনে রাখ, জায়গাটা উত্তরবঙ্গের মধ্যেই। গ্রাম্য এলাকা। তাঁবু গেড়ে থাকতে হল আমাদের। প্রথমে ভেবেছিলাম নিছক ভ্রমণের উদ্দেশ্যেই সাহেব এসেছেন এখানে। পরে বুঝলাম, তা নয়। এখানে নাকি আশ্চর্য এক প্রাণীর দেখা মিলেছে। অদ্ভুত ব্যাপার হল, গ্রামের লোকেরা কেউই এই প্রাণীর স্পষ্ট বর্ণনা দিতে পারছে না। সবাই ভাসা ভাসা, একে অপরের থেকে আলাদা উত্তর দিচ্ছে। আমি কৌতূহলী হয়ে উঠলাম এই প্রাণী সম্বন্ধে। ফ্রেডরিক সাহেব বললেন, কয়েকজন শিকারি নাকি প্রাণীটিকে শিকার করতে গিয়ে খুব আশ্চর্যজনকভাবে উধাও হয়ে গিয়েছে। আমার কৌতূহল বেড়ে গেল। জিজ্ঞাসা করলাম, “সাহেব, আমরা কী সেই প্রাণীর সন্ধানেই এসেছি?”
সাহেব আমার দিকে তাকিয়ে ঠোঁটের কোণে হাসলেন। বললেন, “ইউ আর রাইট, ইয়ং-ম্যান।”
বেশ কিছুদিন কেটে গেল। জঙ্গলের মধ্যে আমরা তাঁবুতে বসবাস করছি। রাতে জেগে থাকি পালা করে। আমাদের খাদ্যও ফুরিয়ে আসছে। অথচ সে-প্রাণীর দেখা নেই। দুজনেই অধৈর্য হয়ে উঠছিলাম। একদিন সাহেব বললেন, “না, মনে হচ্ছে সবই গ্রামবাসীদের কল্পনা। আদতে তেমন কিছু সত্যিই নেই। আমরা অযথাই এখানে পড়ে আছি।”
আমি চিন্তিত মুখে বললাম, “কিন্তু সাহেব, তাহলে শিকারিরা কোথায় গেল?”
“হয়তো কোনও বন্য জন্তুর হাতে…”
সাহেবকে মাঝপথেই থামিয়ে দিয়ে বললাম, “হুম। কিন্তু তাহলে তো তাদের দেহাংশ—অন্তত হাড়গোড়ও পাওয়া যাবে। গ্রামে নিশ্চয়ই কাঠুরে আছে? তারা তো কাঠ সংগ্রহ করতে জঙ্গলে যায়। তারা তো নিশ্চয়ই দেখতে পেত।”
“হ্যাঁ, তুমি ঠিকই বলেছ। কিন্তু আমাদের খাবারদাবার তো শেষ প্রায়। আজকের দিনটা চলবে। আর তো এখানে পড়ে থাকা সম্ভব নয়।”
আমিও মাথা নেড়ে সম্মতি জানালাম। ঠিক হল, আজ রাতে পালা করে নয় দুজনেই সারারাত জেগে থাকব। যদি তার দেখা মেলে তাহলে ভালো। তা না হলে ফিরে যেতে হবে। মনটা খারাপ হয়ে গেল। অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম। নতুন কিছু আবিষ্কার করার একটা চাপা উত্তেজনা এতদিন ছিল মনে, সেটা যেন ফস করে নিভে গেল। মনে হল, আজ রাতেও কিছুই আসবে না। তবে এটাও ঠিক, আর এখানে থাকা সম্ভব নয়। সাহেব না-হয় অকৃতদার, রিটায়ার্ড মানুষ। কিন্তু আমি উত্তরবঙ্গে এসেছি অফিসের কাজে। এবার কাজে ফেরার সময় এসেছে। হতোদ্যম মনেই সারাদিন কেটে গেল।
পূর্ণিমার রাত। চারদিক স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নালোকে যেন ভেসে যাচ্ছে। আমি আর ফ্রেডরিক সাহেব আগুন জ্বালিয়ে তাঁবুর বাইরে বসেছি। গল্পগাছা করছি। খুবই সাধারণ কথাবার্তা। ফ্রেডরিক সাহেব মনে হল কথা বললেও ভিতর ভিতর কেমন যেন নিস্তেজ, হতোদ্যম হয়ে পড়েছেন। আমার অবস্থাও তথৈবচ। সেই আশ্চর্য ও রহস্যময় প্রাণীর দেখা পাওয়ার জন্য জঙ্গলে আমরা পাগলের মতো খুঁজেছি। কিচ্ছু পাইনি। কিচ্ছু না। খুবই আশ্চর্যের বিষয়। যে-ক’জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের কারও দেহ, নিদেনপক্ষে টুপি বা পোশাকের কোনও অংশ, বন্দুক কিছুই পাওয়া যায়নি।
আগুনের লকলকে শিখায় একটা কাঠ ফেলে দিয়ে সাহেব বললেন, “আশ্চর্যের বিষয় হিরণ্ময়, যে-প্রাণীই হোক না কেন, সে তো জামাকাপড় সুদ্ধ মানুষটাকে খাবে না! কিছু তো পাওয়ার কথা। অথচ এত খুঁজেও আমরা কিছুই পেলাম না। মানুষগুলো কি তবে হাওয়ায় উড়ে গিয়েছে?”
আমি মাথা নীচু করে বসে রইলাম। এর উত্তর সত্যিই আমার কাছে নেই।
গভীর হতাশায় ছেয়ে আছে মন। কিছুক্ষণ দুজনেই চুপচাপ। কোনও কথা নেই। তখনই ঘটল সেই ঘটনাটা।
উত্তেজিত হয়ে আমি বললাম, “কোন ঘটনা?”
আমরা চারজনেই হিরণ্ময়জেঠুর গা ঘেঁষে বসে আছি। হিরণ্ময়জেঠু একটু জল খেয়ে আবার বলতে শুরু করলেন—
হঠাৎই একটা বিজাতীয় শব্দে আমরা চমকে উঠলাম। ডাকটা যে ঠিক কেমন, তা বোঝানো কঠিন। হরিণের মতো অনেকটা, তবে পুরোপুরি হরিণের মতো নয়। মনে হবে কোনও প্রাণী বুঝি বিপদে পড়ে পরিত্রাহী আর্তনাদ করছে। কিন্তু আদতে তা নয়। প্রাণীটির কণ্ঠস্বরই সেরকম। আমরা তো প্রথমে হকচকিয়ে গেলাম। হাওয়া বইছিল জঙ্গলের মধ্যে। সে-হাওয়ায় একটু তন্দ্রাভাবও এসেছিল। সেই ডাক শুনে তন্দ্রাভাব কেটে গেল। চমকে উঠলাম দুজনে। কয়েক সেকেন্ড লাগল ধাতস্থ হতে। ধাতস্থ হতেই ছুটলাম ডাক শুনে, সেইদিক অনুসরণ করে। দুর্ভেদ্য জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যত এগিয়ে চলেছি, ততই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সেই অদ্ভুত ডাক।
একটু পরে ঝোপঝাড় ঠেলে একটা জায়াগায় এসে পৌঁছলাম আমরা। যে-দৃশ্য দেখলাম, সেরকম অপার্থিব দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য সকলের হয় না। ভাগ্য সত্যিই আমাদের সহায় ছিল। প্রাণীটি এক অদ্ভুত আকৃতিবিশিষ্ট হরিণ। বিশাল দেহ। গায়ের রঙ তুষারের মতো ধবধব করছে। সেই তুষারশুভ্র লোমের পাশে পাশে নীলাভ দ্যুতি বেরিয়ে আসছে শরীর থেকে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে জঙ্গলের মধ্যে বোধ হয় এক অপার্থিব আলো জ্বলে উঠেছে। আমরা মুগ্ধ বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে।
সে কিন্তু আমাদের লক্ষ করেনি। আমরা পাথরের মূর্তির মতো স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি। নড়াচড়া করতেও যেন ভুলে গিয়েছে। হঠাৎই প্রাণীটি লাফাতে লাফাতে জঙ্গলের ভিতর ঢুকে গেল। সাহেব এগিয়ে গেলেন। আমিও অনুসরণ করলাম তাঁকে। কিছুটা ছোটার পর আবার একসময় চোখে পড়ল প্রাণীটিকে। হঠাৎ কী মনে হওয়ায় ফ্রেডরিক সাহেবের দিকে তাকালাম এবং তাকাতেই চমকে উঠলাম। তাঁর হাতে কখন উঠে এসেছে রাইফেল। চোখে ক্রুর দৃষ্টি। ঠোঁটের কোণে পৈশাচিক হাসি। আমি আতঙ্কিত স্বরে বললাম, “সাহেব, তুমি কী করতে চাও?”
জানি, এ-প্রশ্ন না করলেও হত। কারণ, উত্তর আমার জানা আছে। আমার কথা শুনে ক্রুর হেসে সাহেব বললেন, “ওকে ঘুম পাড়াব। পৃথিবীর সামনে তুলে ধরব।”
“না সাহেব, এরকম কিছু তুমি করবে না। একটা যখন দেখেছি, আরও আছে নিশ্চয়ই। মানুষ ওর কথা জানতে পারলে বাকিরাও আর বাঁচতে পারবে না। মানুষ বড়ো নিষ্ঠুর।”
সাহেব আমার কথায় কর্ণপাত না করে এগিয়ে চললেন। একটা ঘুমের গুলিও চালালেন বাধা দেওয়ার আগেই। প্রাণীটি ছুটতে ছুটতে থমকে দাঁড়াল। গুলি ফসকাল।
আমি আর পারলাম না। ঝাঁপিয়ে পড়লাম সাহেবের উপর। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি চলল। আমি ঠেকাতে পারলাম না সাহেবকে। ক্রোধ, লোভ তাঁর মধ্যে অপার্থিব শক্তির সঞ্চার ঘটিয়েছে। আমাকে বন্দুকের বাঁটের আঘাতে ধরাশায়ী করে উঠে দাঁড়ালেন। তাড়া করলেন সেই প্রাণীকে। আমিও কোনোমতে উঠে দাঁড়িয়ে সাহেবকে আটকানোর উদ্দেশ্যে পিছনে ছুটলাম এবং তখনই সেই ঘটনাটা ঘটল। প্রাণীটি ছুটতে কিছুটা দূরে চলে গেল। সাহেব তাঁর কাছে যাওয়ার জন্য একটু এগোতেই হঠাৎ তাঁর পা ডুবে গেল গাছের পাতা ছড়ানো জঙ্গলের মাটির মধ্যে। তারপর তাঁর বুক। আমি কিছু করার আগেই তাঁর সমস্ত শরীর ডুবে গেল। আমি যতক্ষণে ছুটে গেলাম, ততক্ষণে সাহেবের চিহ্নমাত্র নেই। জায়গাটা পরীক্ষা করলাম। কোথাও কিচ্ছু নেই। তবে সাহেব গেলেন কোথায়?
গল্প শেষ করে আমাদের দিকে তাকালেন হিরণ্ময়জেঠু। হাসলেন। বললেন, “ব্যস! গল্প শেষ।”
সৈকত বলল, “সাহেব কোথায় গেলেন?”
“সে-প্রশ্নের উত্তর আমি আজও পাইনি। তবে কী জানিস, কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর না পাওয়াই ভালো। হয়তো-বা প্রকৃতি এভাবেই তাঁর সেই সন্তানকে রক্ষা করতে অদৃশ্য করে দিলেন সাহেবকে। পৃথিবীতে যে আরও কত রহস্য লুকিয়ে রয়েছে!”
হিরণ্ময়জেঠু চোখ বুজে সোফায় গা এলিয়ে দিলেন। আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো ঘিরে বসে আছি তাঁকে। বাইরে তখনও অঝোরে বৃষ্টি পড়ে চলেছে।
ছবি: প্রবাহনীল দাস
প্রলয় সেন ▪ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪ রঞ্জন দাশগুপ্ত ▪ শাশ্বত কর
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ রম্যাণী গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ তাপস মৌলিক ▪ অভিষেক ঘোষ ▪ প্রদীপ কুমার দাস ▪ সুস্মিতা কুণ্ডু ▪ সবিতা বিশ্বাস ▪ বিশ্বদীপ সেনশর্মা ▪ দীপক দাস ▪ অমিয় আদক ▪ কল্যাণ সেনগুপ্ত
বদ্রীনাথ পাল ▪ দীনেশ সরকার ▪ রূপসা ব্যানার্জী ▪ শঙ্খশুভ্র পাত্র ▪ সৌরভ চাকী ▪ শক্তিপদ পণ্ডিত ▪ শিবানী কুণ্ডু খাঁ ▪ সুব্রত দাস ▪ বসন্ত পরামানিক ▪ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪ অমিত চট্টোপাধ্যায় ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ তাপস বাগ ▪ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪ টুম্পা মিত্র সরকার
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ যূথিকা আচার্য ▪ মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ কেয়া চ্যাটার্জী ▪ ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ▪ সুদীপ ঘোষাল ▪ অনিন্দ্য পাল ▪ ড. উৎপল অধিকারী
অরিন্দম ঘোষ ▪ সৌম্যপ্রতীক মুখোপাধ্যায় ▪ রাজীবকুমার সাহা
সনৎ কুমার ব্যানার্জ্জী ▪ মলয় সরকার
অলংকরণ
প্রদীপ গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ অঙ্কিতা মণ্ডল ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ সুকান্ত মণ্ডল ▪ পুণ্ডরীক গুপ্ত ▪ প্রবাহনীল দাস ▪ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী ▪ রাজন্যা ব্যানার্জী ▪ সমৃদ্ধি ব্যানার্জী ▪ ঐশিক মণ্ডল ▪ বিজয় বোস ▪ দীপক কুণ্ডু
বহু কলমের গল্পে, প্রবন্ধে, সত্যি ঘটনায়, তথ্যে, গ্রাফিক নভেলে প্রাইমেটদের হাজারো কাণ্ড।
সুভাষচন্দ্রের অন্তর্ধান কোনও রোমহর্ষক অভিযানের চেয়ে কম নয়। প্রাণ বাজি রেখেছিলেন দুই সহযোদ্ধা—শিশিরকুমার বসু ও ভগৎরাম তলওয়ার। তাঁকে ছদ্মবেশ নিতে হয়েছে আফগান পাঠানের, কখনও সাজতে হয়েছে বোবা-কালা, নিতে হয়েছে ইতালিয় জনগোষ্ঠী সিসিলিদের সঙ্গে শারীরিক গঠনের মিলের আড়াল। কলকাতা ছাড়ার প্রস্তুতির দিনগুলো থেকে শুরু করে কাবুলের শেষ দিন পর্যন্ত সুভাষচন্দ্রের এই দুঃসাহসিক যাত্রার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ।