ছোটো গল্প
15% OFF * FREE SHIPPING
ছোটো গল্প
মৌসুমী রায়
রুপুদের বাড়ির পেছনটা আস্তে আস্তে অভয়ারণ্য হয়ে গেল।
কল্যাণীতে এক বড়ো রাস্তার ধারে রুপুদের দোতলা বাড়ি। একতলায় ভাড়াটেরা থাকে আর দোতলায় রুপুরা মা-মেয়ে থাকে। রুপু যখন দশ বছরের, তখন একদিন বাবা আর আপিস থেকে বাড়ি ফিরলেন না। তারপর থেকে রুপুর জগতটা আকাশ থেকে একটা হালকা সুতোয় করে ঝুলতে লাগল।
বাবা গাছপালা খুব ভালোবাসতেন। অনেক গাছ লাগিয়েছিলেন, খুব যত্ন করতেনও। আপিস ফেরত রুপুকে নিয়েই লেগে পড়তেন গাছের আদরযত্নতে। তাই ওদের বাড়ির পেছনের বাগানে দুটো আমগাছ, নিমগাছ, বেলগাছ, নারকেল গাছ, কাঁঠাল গাছ আর বাড়ির সামনে পেছনে মিলিয়ে অনেক ফুলের গাছ ছিল। রুপু বড়ো হতে থাকল, গাছেরাও বৃক্ষ হয়ে গেল। ও পেছনটা ঝাঁটপাট দিত, শুকনো সময়ে জল দিত, বাগানের যত্নআত্তি করত আর...
গীতাপিসির কথা—
আমি এই বাড়িতে কেয়ারটেকার হয়ে আছি বছর সাতেক। যখন আসি রুপুও ছোটো, বাগানও তেমন গহিন হয়ে ওঠেনি। ছোট্ট মিষ্টি স্বভাবের মেয়েটা ছুটে ছুটে আসত, ‘পিসি, পিসি’ বলে ডাকত; দু-বাড়ির সীমানায় নীচু পাঁচিল টপকে সোজা এসে বসত আমাদের খাটে, কত গল্প করত কলকল করে। সেই মেয়ে চোখের সামনে বড়ো হয়ে গেল, চোখে চশমা উঠল, মুখে ভারিক্কি ভাব এসে গেল। তারপরে কখন কে জানে কোথাকার বাতাস এসে লাগল তার মনে, রুপু কেমন যেন হয়ে যেতে থাকল। বছরভর বাগানে আর ঝাঁট পড়ে না, গাছেদের ডাল ছাঁটা হয় না। নিমগাছ আর আমগাছ আমাদের বাড়ির দিকে যেন গুঁড়ি মেরে এগিয়ে এল; তাদের ডালপালা ও পাতায় আমাদের ছাত ভরে গেল, সামনের রাস্তা ঢেকে গেল। আমি গাছপালা খুব ভালোবাসি। এ-বাড়িতেও আমার বাগান আছে, কিন্তু রুপুদের বাড়ির জঙ্গল দেখে আমার ভয় লাগে, পাতা পড়ে পড়ে রাস্তা পেছল হয়ে যায়—আমাদের হাঁটতে চলতে সমস্যা হয়। নারকেল গাছটাও ঝুঁকে আছে আমাদের রাস্তার ওপরে—তার কাণ্ড পুরো ফোঁপরা হয়ে গেছে, কবে না বাড়ির ওপরে এসে ভেঙে পড়ে!
রুপুর মা—
আমি মরি আমার জ্বালায়, তার মধ্যে এই প্রতিবেশীদের নিয়ে আর পারি না। স্বামী সেই কবে দুর্ঘটনায় চলে গেলেন, এই দোতলা বাড়ি আর পেছনের বাগান—এ কি আমার সাধ্য যে যত্ন করি? কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না, মনে হয় এরা সবাই মিলে আমার মতন অসহায় বিধবাকে ঠকানোর জন্য বসে আছে। মেয়েটাকে তাই কারোর সঙ্গে মিশতে দিই না। কোন দিক থেকে যে বিপদ আসে কে জানে। মেয়েটাও আগে বাগানের খুব যত্ন নিত, সবার সঙ্গে হাসিমুখে গল্প করত—কিন্তু আমি সেসব পছন্দ করি না। ভয়ের চোটে ওকে কোনও চাকরিবাকরি করতে পাঠালাম না, বিয়ের ব্যবস্থা করতেও ভয় পেলাম, দেখতে দেখতে মেয়েটাও কেমন বদলে গেল! এদিকে পেছনের বাগান বেড়েই চলেছে, কে আর তার খেয়াল রাখে? আর পেছনের বাড়ি আর পাশের বাড়ি থেকে খালি খালি নালিশ করে—‘গাছের ডাল ছেঁটে ফেলুন, আমাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে।’ কী করে বলি ওসব গাছ আমার স্বামীর নিজের হাতে পোঁতা, তাঁর ছেলেপিলের মতো ছিল সব; নিজে এদের বাড়বাড়ন্ত দেখে যেতে পারেননি—কোন সুখে আমি গাছেদের ছাঁটব? অত অসুবিধা যখন, তখন নিজেরাই ছেঁটে নে না? শেষমেশ পেছনের বাড়ির বুড়ো বোসকর্তার সঙ্গে এমন ঝগড়া হল যে রাগ-টাগ করে আমি পেছনের মস্ত আমগাছটা কেটেই ফেললাম। মেয়েটা সেদিন অনেক কান্নাকাটি করল, কিন্তু এসব ঝামেলা আমার মতন অসহায় বিধবা মানুষ কী করে একা একা সামলাব? পাশের বাড়ির রায়গিন্নি আবার মুখে মুখে খুব বলে, ‘গাছপালা আমি খুব ভালোবাসি, গাছের ডাল ছাঁটতে একদম ভালো লাগে না, কিন্তু দিদি, আপনার আম, নিম আর বেল গাছের পাতায় তো আমাদের ছাত, প্যাসেজ ভরে থাকে সবসময়—কখন কী যে ঘটে যায়। আপনি বরং লোক ডেকে ডালপালা ছেঁটে ফেলুন।’ এদের ব্যাপারটা ঝগড়া অবধি গড়ায়নি অবশ্য, কয়েকবার পরপর ডাল ছাঁটবার পরে গাছেরা নিজেরাই তিন-চারতলা সমান উঁচু হয়ে গিয়ে প্রকাণ্ড ছাতার মতন হয়ে গেছে, ওদের বাড়ির দিকে আর এগোয়নি।
গীতাপিসির কথা—
গাছেদের এগিয়ে আসাটা বন্ধ হয়েছে অনেকটাই, গাছেরা সব হয়ে গেছে প্রকাণ্ড বৃক্ষ, কিন্তু পাতা পড়ে। পাতারা এখন সারা পাড়া জুড়েই পড়ে মনে হয়। কিন্তু রুপুদের পেছনের বাগানটা জঙ্গল হয়ে গেছে। কত আগাছা যে গজিয়েছে, শ্যাওলা, অজানা লতা, মাটির ওপরে সেই কাটা আমগাছের ডালপালা, ঝরাপাতার স্তূপ—পুরোটাই ঘন ছায়া ঢাকা, ভেতরে পা দেবার জো আর নেই। হরেকরকমের পাখি, কাঠবেড়ালির স্বর্গ তো বটেই; এখন দেখি বাদুড়, প্যাঁচা, মস্ত বড়ো দাঁড়াশ সাপ, গোসাপ এদের সবার ঘোরাফেরার জায়গা—বাসাও হয়তো আছে। সেদিন দেখি বকেরাও বাসা বাঁধতে লেগেছে। দিনভর পাখিদের হরেক আওয়াজ, কাঠঠোকরার খটাখট আর রাতের বেলা জোনাকির মেলা। রুপুরা কেউ পেছনে কখনও পা দেয় না, ভাড়াটেরাও পেছনের জানালা খোলে না, পাড়ার কুকুর বেড়ালগুলোও সে গভীর জঙ্গলে পারতপক্ষে ঢোকে না। আমার ভয় লাগে সাপে, নইলে—
কিন্তু সেদিন যা হল—
বয়স হয়েছে, রাতে একবার বাথরুমে বেরোতে হয়। আমাদের বাথরুমটা আবার ঘরের বাইরে ছোট্ট একফালি বাঁধানো চত্বর পেরিয়ে। আমি ঘুমচোখে ঘরের আগলটা বাইরে থেকে সবে আটকেছি, গায়ের চারপাশ জুড়ে দেখি জোনাকির ঝিলমিলে আলো। সে প্রতিদিনই ঘরের আলো নেভালে জোনাকিরা ঢোকে, কিন্তু আজ যেন আলোর স্রোত বইছে আমাকে ঘিরে। কোত্থেকে এল এত শয়ে শয়ে জোনাকি? হাঁ হয়ে দেখছি, অমনি চোখ পড়েছে রুপুদের বাড়ির দিকে। বাড়িটা কোথায়? সে কী, গেল কোথায় আস্ত বাড়িটা? ভালো করে তাকিয়ে দেখি আবছা চাঁদের আলোয় গাছেদের পাহাড় পুরো জমিটার গায়ে। বাড়িটা নেই, সরসর শব্দে গাছের ডালপালারা দুলছে। বাগানভরা জোনাকির আলো, স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে পাখপাখালি আর ফড়িং উড়ছে ঘুরে ঘুরে, যেন মোচ্ছব লেগেছে! আর এর মধ্যে প্রকাণ্ড এক অজগর সাপ এঁকে-বেঁকে হিলহিল করে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুরো জমিটা জুড়ে। অদ্ভুত এক ঝিমঝিমে সুর খেলে যাচ্ছে রুপুদের জমি আর বাগান জুড়ে—আকাশের গ্রহ-নক্ষত্ররা তার সাক্ষী। আমি অবাক হয়ে দেখেই যাচ্ছি—তারপরে শুনি ভেতর থেকে আমার কর্তা ঘুমের ঘোরে ‘কে? কে?’ বলে চেঁচিয়ে উঠলেন আর সবকিছু এক ফুঁয়ে যেন নিভে গেল। স্পষ্ট দেখলাম, আকাশ থেকে মেঘের মধ্যে থেকে দুলে দুলে রুপুদের বাড়িটা নেমে আসছে অন্ধকার বাগানভরা জমিটার মধ্যে!
পরের দিন ঘুম থেকে জেগে আমি পরিষ্কার বুঝতে পারলাম যে গতরাতে আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম। স্বপ্ন, তবে আশ্চর্য স্বপ্ন।
বোসকর্তার বাড়ির পাহারাদারের কথা—
আমার বাড়ি গয়েশপুরে। এ-বাড়ির বোসকর্তা আর গিন্নি দুজনেই বুড়ো হয়ে গেছিলেন, পরপর চলে গেলেন। ছেলে থাকে কলকাতাতে। খালি বাড়িতে একবার চুরি হয়ে গেল, তারপর বোসকর্তার ছেলে আমাকে এ-বাড়ির রাতের পাহারাদার করে নিয়ে এল। আমি সারাদিন খাটি-ফাটি, রাতে বাড়ি থেকে খেয়ে-দেয়ে এসে এখানে শুয়ে থাকি। প্রথমদিকে একটু অস্বস্তি হত, তবে বাইরে ভেতরে আলো জ্বালিয়ে রাখি, তা ছাড়া সারাদিন খাটাখাটনির পরে ঘুম আমার ভালোই হয়। এখন আর অসুবিধা হয় না, বরং বেশ লাগে। পেছনে কাদের বাড়ি জানি না—বাড়ি তো নয়, জঙ্গল। রাত হলেই সেখান থেকে দলে দলে উড়ে আসে জোনাকির ঝাঁক, ঝিমঝিমে সুর ভেসে আসে; আমার চোখ বুজে আসে, তবে মাঝে মাঝে ঘুমের ঘোরে আমি যে কীসব দেখে ফেলি—স্বপ্ন নাকি সত্যি, তাও বুঝি না। কিন্তু কেমন যেন একটা মায়ায় পড়ে যাই, বেশ লাগে। সে-রাতে যেমন শুনলাম, কে যেন এক আজব সুরে বাঁশি বাজাচ্ছে, নেশা ধরে গেল যেন। এককালে আমার বাবাকে বাঁশি বাজাতে দেখতাম, আমার খুব ভালো লাগত। তাই জানালা দিয়ে বাইরে উঁকি মেরেছি যেই, দেখি পেছনের জঙ্গল পুরো ফাঁকা। তার বদলে সেখানে হালকা মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। আকাশ থেকে মেঘ কী করে মাটিতে নেমে এল, তা ভেবে আমার তো মাথায় হাত! আর মেঘের মধ্যে ভেসে বেড়াচ্ছে ফড়িংয়ের দল, তাদের গা থেকে লালচে হলুদ রঙ বেরোচ্ছে, যেন ছোটো ছোটো বাতি জ্বলছে। সে যে কী দৃশ্য! আরও ভালো করে দেখব বলে যেই বাড়ির পেছনের দরজা খুলে বেরিয়েছি, দেখি সব ভোঁ ভাঁ—শুধু পাঁচিলের ওপর দিয়ে একটা মস্ত সাপের লেজের শেষটুকু মিলিয়ে যেতে দেখলাম। অমনি আমি পালিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। কাউকে আর কিছু বলিনি।
গাছেদের কথা, জীবজন্তুদের কথা, পোকামাকড়ের কথা—
আমরা ছিলাম, আমরা আছি,
বিশ্বজুড়ে আমরা বাঁচি,
স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল জুড়ে
একাল-সেকাল-সময় ফুঁড়ে
কেউ জানে না সেসব কথা,
কেউ জানে না আমরা জানি;
মানুষ এল, মানুষ যাবে,
স্বপ্ন মিলায় যেমনিভাবে
আমরা বাঁচি সময় জুড়ে
আমরা চলি সময় ফুঁড়ে
বিশ্বজুড়েই আমরা আছি,
কেউ জানে না, আমরা জানি।
তবে হ্যাঁ, কেউ কেউ আমাদের আসল পরিচয় একটু একটু জানে, যেমন রুপু; তাই তাদের কাছাকাছি এসে আমরা থাকি, নিজেদের ইচ্ছে মতন সবকিছু সাজিয়ে ফেলি, নিজেদের ইচ্ছে মতন পালটে ফেলি। দু-একজন মাঝে-সাঝে উঁকি মেরে যায়, যেমন পাশের বাড়ির গীতাপিসি আর পেছনের বাড়ির পাহারাদার। তবে ওরা মন থেকে বিশ্বাস করে না, এটাই ঢের।
রাত হয়ে গেছে।
চারদিকে ঝিমঝিমে সুর। ফুটফুটে জ্যোৎস্নায় রুপুদের বাড়িটা একটা ঘুড়ির মতন ফিনফিনে দ্বিমাত্রিক হয়ে গেল, তারপরে আস্তে আস্তে উড়ে গেল আকাশে। চাঁদের দিকে গেল না বৃহস্পতির দিকে, ভবিষ্যতের দিকে গেল না অতীতের দিকে, তা আমরা কী করে বুঝব? রুপু দাঁড়িয়ে ছিল বারান্দায়। তার বাঁহাতে ঠুনঠুন শব্দে বাজছিল অজানা আলোর ঝুমঝুমি। মুচকি হেসে সে তার ডানহাত বাড়িয়েছিল, সেই টানে চুম্বকের মতন উঠে এসেছিল তাদের বাড়ির পেছনের অভয়ারণ্য—তারপরে আর কিছু নেই!
ছবি: মৌসুমী রায়
প্রলয় সেন ▪ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪ রঞ্জন দাশগুপ্ত ▪ শাশ্বত কর
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ রম্যাণী গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ তাপস মৌলিক ▪ অভিষেক ঘোষ ▪ প্রদীপ কুমার দাস ▪ সুস্মিতা কুণ্ডু ▪ সবিতা বিশ্বাস ▪ বিশ্বদীপ সেনশর্মা ▪ দীপক দাস ▪ অমিয় আদক ▪ কল্যাণ সেনগুপ্ত
বদ্রীনাথ পাল ▪ দীনেশ সরকার ▪ রূপসা ব্যানার্জী ▪ শঙ্খশুভ্র পাত্র ▪ সৌরভ চাকী ▪ শক্তিপদ পণ্ডিত ▪ শিবানী কুণ্ডু খাঁ ▪ সুব্রত দাস ▪ বসন্ত পরামানিক ▪ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪ অমিত চট্টোপাধ্যায় ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ তাপস বাগ ▪ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪ টুম্পা মিত্র সরকার
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ যূথিকা আচার্য ▪ মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ কেয়া চ্যাটার্জী ▪ ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ▪ সুদীপ ঘোষাল ▪ অনিন্দ্য পাল ▪ ড. উৎপল অধিকারী
অরিন্দম ঘোষ ▪ সৌম্যপ্রতীক মুখোপাধ্যায় ▪ রাজীবকুমার সাহা
সনৎ কুমার ব্যানার্জ্জী ▪ মলয় সরকার
অলংকরণ
প্রদীপ গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ অঙ্কিতা মণ্ডল ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ সুকান্ত মণ্ডল ▪ পুণ্ডরীক গুপ্ত ▪ প্রবাহনীল দাস ▪ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী ▪ রাজন্যা ব্যানার্জী ▪ সমৃদ্ধি ব্যানার্জী ▪ ঐশিক মণ্ডল ▪ বিজয় বোস ▪ দীপক কুণ্ডু
বহু কলমের গল্পে, প্রবন্ধে, সত্যি ঘটনায়, তথ্যে, গ্রাফিক নভেলে প্রাইমেটদের হাজারো কাণ্ড।
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্যের অসামান্য লেখায় ও আঁকায় কিশোর গল্প সংকলন।