ছোটো গল্প
15% OFF * FREE SHIPPING
ছোটো গল্প
প্রতিদিন বিকেলে মাসির চিৎকার শোনা যেত। আমাদের জন্যই। মাসির বাড়িটা আমাদের মাঠের পাশেই। মুশকিল হল বাড়িটা পুবদিকের গোলপোস্টের কিছুটা দূরে। যদি গোলপোস্টের দিকে না হয়ে পাশের দিকে হত তাহলে কিছুটা সুবিধে হত। বল মাসির বাড়ি বেশি যেত না-ই বলা যায়। গোলের দিকে বলেই সমস্যা। ফুটবল মানে তো গোলের খেলা। খেলোয়াড়েরা গোলে শট মারবেই। শট মারা আটকাতে নানা নিয়ম চালু করতে হয়েছে। যেমন, যে উড়ন্ত শট মারবে তাকে এক মিনিট মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে। সেই দলকে বল কুড়িয়ে আনতে হবে।
দীপক দাস
বল গিয়ে পড়ল গোলকানা লালটুর পায়ে। তারপর যা হওয়ার তাই হল। দড়াম করে একটা শট। বল উড়ে গিয়ে পড়ল বাগেদের বাড়ি। এবার কী হবে! কে বল আনতে যাবে? ও-বাড়িতে যে বাঘ থাকে। বাঘ নয়, বাঘিনী।
আমরা একে অপরের দিকে তাকাতে শুরু করেছি সবে—বল আনতে জোরজবরদস্তি কাকে পাঠানো যায়। সাধারণ নিয়ম হল, যে-দল বল মেরেছে তাদের কাউকে যেতে হবে। নিয়মের ফাঁক হল, নরমসরম কাউকে ঠেলেঠুলে বুঝিয়ে পাঠানো। সে যে-দলেরই হোক। বীর বলবয় ঠিক করার আগেই চিৎকারটা ভেসে এল—‘‘খেলা তোদের বার করছি শয়তানের দল। বঁটি দিয়ে দু-ফালা করে দেব বলটা। আয় একবার বাড়িতে বল নিতে।’’
এই চিৎকারটাকেই ভয়। এই জন্য নিয়ম তৈরি। বাগেদের বাড়িতে বল পড়লে বাঘের মুখে পড়তে হয়। ভয়ে কেউ বল কুড়োতে যেতে চায় না। বড়োরা বাড়িটাকে বাগেদের বাড়ি বলে বটে, তবে ছোটোরা বলি, চিৎকার মাসির বাড়ি। পান থেকে চুন খসলেই মাসির চিৎকার শোনা যায়। জোরে হাওয়ায় পাতা পড়ুক বা পাঁচিলের ভিতরে কুকুর ঢুকে পড়ুক, মাসির চিৎকারে পাড়া চমকে ওঠে।
আগে প্রতিদিন বিকেলে মাসির চিৎকার শোনা যেত। আমাদের জন্যই। মাসির বাড়িটা আমাদের মাঠের পাশেই। মুশকিল হল বাড়িটা পুবদিকের গোলপোস্টের কিছুটা দূরে। যদি গোলপোস্টের দিকে না হয়ে পাশের দিকে হত তাহলে কিছুটা সুবিধে হত। বল মাসির বাড়ি বেশি যেত না-ই বলা যায়। গোলের দিকে বলেই সমস্যা। ফুটবল মানে তো গোলের খেলা। খেলোয়াড়েরা গোলে শট মারবেই। শট মারা আটকাতে নানা নিয়ম চালু করতে হয়েছে। যেমন, যে উড়ন্ত শট মারবে তাকে এক মিনিট মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে। সেই দলকে বল কুড়িয়ে আনতে হবে।
আমরা প্রতিদিন বিকেলে গা ঘামানোর পরে দু-দলে ভাগ হয়ে ম্যাচ খেলি। আধঘণ্টার উত্তেজক লড়াই। তার আগে একটা টসের লড়াই হয়। আধঘণ্টার খেলা বলে হাফ-টাইম নেই। তাই দিক বদল হয় না। টসটা করতেই হয়। কিন্তু তাতেও ঝামেলা। পয়সা আকাশে ঠিকমতো ঘোরেনি, আমি টস তুলব—এরকম নানা কথা ওঠে। এদিকে টসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, চিৎকার মাসির বাড়ির বিপরীত দিকের দল প্রথম থেকেই চাপে থাকে। জোরে বল মারতে না পারার, শট মেরে এক মিনিট মাঠের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার, বল কুড়িয়ে আনার চাপ। খেলার উত্তেজনায় এসব মাথায় থাকে না। তার উপরে লালটুর মতো গোলকানা আনাড়ি থাকলে বল উড়বেই। কিন্তু গোলপোস্টের দিকের দলের এসব ভাবার ঝক্কি নেই। তাই টস করে গোলার্ধ ঠিক করে নিতে হয়।
বাঘের ঘরে বল তাহলে কে আনতে যাবে? আমাদের মধ্যে নরমসরম ছেলে হল ভজা। বল মারাদের দলে থাকলে ওকেই বুঝিয়ে-সুঝিয়ে অনুরোধ করে পাঠানো হয়। আজ ভজা বিদ্রোহ করেছে। খেলা শুরুর আগে পরিষ্কার বলে দিয়েছে, ‘রোজ রোজ আমি কেন যাব?’
লালটু বল মেরেই মাঠের বাইরে চলে গিয়েছে। সেখান থেকেই চেঁচিয়ে তার ঘোষণা—“আমি এখন সাসপেন্ড। খেলার কিছুর সঙ্গে যুক্ত থাকা ঠিক নয়।”
কেতো ধুরন্ধর ছেলে। ও পরামর্শ দিল—“সোহনকে পাঠা না? ও তো নতুন। ওকে চিৎকার মাসি কিছু নাও বলতে পারে।”
সোহন দীপুদের আত্মীয়। ওদের বাড়িতে ঘুরতে এসেছে। ও রাজি হয়ে গেল।
সোহন চিৎকার মাসির গেটের কাছে যেতেই আমরা রুদ্ধশ্বাসে কান পেতে রইলুম। ওর মাথাটা ভিতরে ঢুকেছে কি ঢোকেনি মাসির চিৎকার ভেসে এল—“বল নিতে এসেছিস? আয় একবার!” তারপর একটু বিরতি। মাসির গলাটা আবার ছড়িয়ে পড়ল—“তুই কে রে? নতুন মনে হচ্ছে?”
সোহন কী বলল শোনা গেল না। কিন্তু মাসি আর চিৎকারও করল না। আমরা অবাক হলাম।
মিনিট পাঁচেক কেটে গেল। নিজের নামের প্রতি অবিচার করেই গেল চিৎকার মাসি। অধৈর্য হয়ে আমরা চিৎকার শুরু করলাম—“সোহন, বল পেলে?”
কোনও উত্তর এল না। দীপু একবার ডাকল। পুবের যুদ্ধক্ষেত্র একেবারেই নীরব।
আরও মিনিট পাঁচেক পরে বেরোল সোহন। ডানহাতে বলটা ধরা। মাঠে আসতেই ওকে ছেঁকে ধরলাম। কী ব্যাপার? চিৎকার মাসি কিছু বলল না তোমাকে? আমরা হলে তো যতক্ষণ বল খুঁজি ততক্ষণ চেঁচায়! মাসির শরীর ঠিক আছে তো? ও বলল, “চিৎকার মাসি তো খুব ভালো মানুষ। প্রথমে একটু চিৎকার করছিলেন। পরে খুব ভালো ব্যবহার করলেন। কত কথা জিজ্ঞাসা করলেন।”
সোহনের উত্তর শুনে ভড়কে গেলাম আমরা।
আমাদের বিস্ময়ের মধ্যেও সুবিধা দেখতে পেল রাজা। কেতোর মতোই ধুরন্ধর ও। রাজা ঘোষণা কর—“এবার থেকে বল আনতে যাবে সোহন। তাহলে আর ঝগড়াঝাঁটি হবে না।”
সোহন আপত্তি করল না। ভয়ের কোনও কারণ তো ও দেখেনি।
পরদিন থেকে অলিখিত নিয়ম চালু হয়ে গেল। অকুতোভয় অতিথি সোহন বল আনতে যাবে। আমাদের খেলার বাধা কিছুটা সরে গেল। তেকাঠি কানা লালটু তেড়েফুঁড়ে শট নিতে লাগল। অন্যদের মধ্যেও শট নেওয়ার আগে ইতস্তত ভাবটা কমে গেল। ব্যস্তানুপাতিকভাবে সোহনের মাসির বাড়ি যাওয়া বাড়ল। আর আমাদের খেলার সময় কমতে লাগল। কারণ, মাসির বাড়ি ঢুকলে সোহন মিনিট পাঁচেকের আগে বেরোয় না। আমরা ডাকাডাকি করি, কিন্তু সাড়া দেয় না ও। একদিন মনে হল মুখ নাড়তে নাড়তে বেরোচ্ছে। বাবলা জিজ্ঞাসা করল, “কী খাচ্ছ?”
সোহন বলল, “বিস্কুট। মাসি দিল।”
সোহনের কথায় একটা বিষয় লক্ষ করলাম। ও কিন্তু চিৎকার মাসি বলল না। শুধু মাসি। অথচ প্রথম দিন চিৎকার মাসি বলেছিল।
আনন্দ কখনও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আমাদেরও হল না। বেড়ে বেড়ে লম্বা হতে থাকা গরমের ছুটি এক সময় শেষ হয়ে গেল। স্কুল খুলল। বাড়ি ফিরে গেল সোহন। আমাদের খেলা আবার থমকাতে শুরু করল। চিৎকার মাসির বাড়িতে বল আনতে যাওয়া নিয়ে ঠেলাঠেলিও। সোহন চলে যাওয়ার পরদিন আমার পালা পড়েছিল। গেট খুলতেই গর্জন কানে এসেছিল—“তুই এসেছিস যে! সোহন কোথায় গেল?”
বললাম। মাসি ক্ষেপে গিয়ে উত্তর দিল, “তবে আর কী? রোজ বল মেরে আমার দরজা-জানালা ভাঙো।”
ভয়ে ভয়ে বল নিয়ে পালিয়ে এসেছিলাম।
চিৎকার মাসি কিন্তু প্রথম থেকে এরকম ছিল না। আমরা তখন অনেক ছোটো। চিৎকার মাসিরা আমাদের গ্রামে এসেছিল। মেসোর সরকারি চাকরি। ডোমজুড় বিডিও অফিসে বদলি হয় মেসো। অফিসের কোনও সহকর্মীর সূত্রে আমাদের গ্রামে জমির খোঁজ পেয়েছিলেন। জমি কিনে বাড়ি করেন। পাশের বাড়ির শিবানীদিদির মায়ের সঙ্গে খুব ভাব হয়ে গিয়েছিল মাসির। শিবানীদি মাসি বলত। ধীরে ধীরে সকলেরই মাসি হয়ে গেল।
মাসিরা বাড়ি তৈরি শুরু করার সময় থেকেই ক্লাবের বড়োরা আশঙ্কা করেছিল। গোলপোস্টের দিকে বাড়ি। বল পড়লে ঝামেলা হবে। না, ঝামেলা হয়নি। মাসির ছেলে সুবীরদা আমাদের সঙ্গে ফুটবল খেলত। ও নিজে বল নিয়ে আসত। কখনও মাসি বা মেসো বল ছুড়ে দিতেন পাঁচিলের ও-পার থেকে। সুবীরদা এখন বেঙ্গালুরু থাকে। বড়ো সংস্থায় কাজ করে। ও চলে যাওয়ার পরেও বল নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। সমস্যা হল মেসো হারিয়ে যাওয়ার পরে। একদিন কলকাতা গিয়েছিলেন অফিস সংক্রান্ত কোনও কাজে। আর ফিরে এলেন না। সুবীরদা মাকে নিজের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু মাসি রাজি হয়নি। মাসির বিশ্বাস, মেসো একদিন ঠিক ফিরবেন। উনি সাময়িক ভুলে গিয়েছেন। ওঁর ব্যাগের কাগজপত্র দেখে লোকে পৌঁছে দেবে। পাড়ার বড়োরা বুঝিয়েছিল—‘সুবীরের নম্বর তো রয়েছে আমাদের কাছে। মেসো ফিরলে আমরা খবর দেব। তুমি এসে নিয়ে যেও।’
মেসো হারিয়ে যাওয়ার পর থেকেই খিটখিটে হয়ে গেল মাসি। বল বাড়িতে গেলেই চিৎকার করত। আমরাও মাসির আগে চিৎকার শব্দটা জুড়ে দিলাম। বাগেদের বাড়ি নাম পালটে হয়ে গেল চিৎকার মাসির বাড়ি। বছর খানেক ধরে এমনই চলছে। সোহন এসে কিছুদিন মুক্তি দিয়েছিল। এখন আবার আগের অবস্থা।
মেসো হারিয়ে যাওয়ার পরে নানা গল্পকথা চালু হয়ে গিয়েছিল এলাকায়। কেউ নাকি হারিয়ে যাওয়ার রাতে শেষ ট্রেনে বড়গাছিয়ায় নামতে দেখেছে মেসোকে। খিটখিটে হয়ে যেতে লোকে বলতে শুরু করে, মাসির অত্যাচারেই মেসো বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
আজ বিকেলেও বল পড়েছে মাসির বাড়ি। বাবলা নিজে থেকেই বলল, “আমি যাচ্ছি।”
ও কিন্তু বল মারার দলে নেই। তবুও গেল। আর মাসির গোলাবর্ষণের মুখে পড়ল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে তা থেমেও গেল। বাবলা গম্ভীর মুখ করে বল হাতে বেরোল মাসির বাড়ি থেকে।
একদিন পর দুটো বিষয় লক্ষ করলাম, বল যে-ই মারুক না কেন বাবলা বেশিরভাগ সময় আগ বাড়িয়ে বল আনতে যাচ্ছে। ও একটু ডাকাবুকো ছেলে। কথাতেও পারা যায় না ওর সঙ্গে। ও কি কথার জালে মাসিকে জব্দ করে ফেলে? কিন্তু অন্য বিষয়টাও আমাকে ভাবাল। দু-একদিন বাদে বাদেই খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বাবলা বল কাড়াকাড়ি করে শট মারার চেষ্টা করছে।
একদিন বাড়ি ফেরার সম বাবলাকে ধরলাম। সেদিন আমি আর ও সবশেষে মাঠ ছেড়েছি। বাবলা আমার সন্দেহের কথা শুনে বলল, “তুমি বুঝতে পেরে গিয়েছ?”
বললাম, “অনেকেই হয়তো বুঝেছে। আমি জানতে চাইলাম।”
বাবলা কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর বলল, “সোহনের ঘটনাটা নিয়ে ভাবছিলুম—মাসি আমাদের উপরে কেন ক্ষেপে যায়, আর সোহনের সঙ্গে গল্প করে। একদিন বল আনতে গিয়ে আলতো করে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, মাসি, সুবীরদা ফোন করেছিল? দেখলুম, মাসি যেন একটু থমকে গেল। তারপর নিজেই বলল, ফোন তো করে। সময় পেলেই করে। এই তো কাল রাতে ফোন করেছিল। আজ রাতে করবে হয়তো। সুবীরদার কথা বলার পরে মাসি দেখলাম অনেকটাই নরম হয়ে এল। নিজেই বলটা এনে দিল। তখনই খটকা লাগল। যে-জায়গা থেকে বলটা আনল মাসি, সেখানে যাওয়ার কথাই নয়!”
বাবলাকে থামিয়ে বললাম, “এটা আমিও লক্ষ করেছি। কিন্তু ভাবিনি। মনে হয়েছে, কোনও কিছুতে লেগে ঠিকরে গিয়েছে।”
বাবলা মাথা নাড়ল। বলল, “ঠিকরে যায়নি। মাসি বল লুকিয়ে রাখে। দু-একদিন যাতায়াতের পরে আমার ধারণা ঠিক মনে হল। লুকিয়েই রাখে মাসি। কিন্তু কেন? অনেক ভেবে মনে হল, যাতে আমরা বেশিক্ষণ মাসির কাছাকাছি থাকি।”
“কিন্তু মাসি এরকম করবে কেন?”
বাবলা বলল, “কেউ একা থাকতে পারে? কথা বলার লোক লাগে না? সুবীরদা কাজে ব্যস্ত। ফোন করে মায়ের খোঁজ নেয় ঠিকই, কিন্তু সে আর কতক্ষণ? বাকি সময়টা তো একাই। আশেপাশের বাড়িতে বয়স্ক কেউ নেই যে মাসির সঙ্গে কথা বলবে। শিবানীদিরা থাকলে এই সমস্যা হত না। মা মারা যাওয়ার পরে শিবানীদি বাবাকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে চলে গেল। তাছাড়া আশেপাশে বাড়িঘরই-বা ক’টা? মাঠের এদিকটায় তো বেশি বাড়ি নেই। তাই মাসি আমাদের সঙ্গেই কথা বলতে চায়। সেইজন্য আমি রোজ বল কুড়োনোর ছুতোয় মাসির সঙ্গে কথা বলে আসি।”
বাবলা একটু থামে। তারপর আবার বলে, “আমাদের তো একটু দূরে বাড়ি। বিকেলে খেলা হলে তবেই মাঠে আসা হয়। এবার থেকে ঠিক করেছি, যেদিন কলেজ যাব না সেদিন সকালে মাসির বাড়ি ঢুঁ মেরে যাব। যদি কিছু দরকার লাগে। আমার কাছে দুঃখ করছিল মাসি। বলছিল, লোকজনকে কী বিশ্বাস করব বল? মেসো হারিয়ে যাওয়া নিয়ে আমার সম্বন্ধে কীসব বলে শুনেছিস তো? আমিই নাকি তাড়িয়েছি বাড়ি থেকে। তারপরই কী মনে পড়তে বলে, কেন চিৎকার করি জানিস? যাতে লোকজন বাড়ির কাছে না ঘেঁষে। যারা এসব কথা বলতে পারে তারা বাড়িতে ঢুকতে পারলে সর্বনাশ করে দেবে।”
বাবলা একটু থামে। তারপর বলে, “জানো, সেদিন মাসি কেঁদে ফেলেছিল।”
বাবলার কথা শুনে মনখারাপ হয়ে যায়। মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধ জীব। একা থাকতে পারে না। বাবলা ঠিক কাজ করেছে।
মাঝে একদিন খেলা হয়নি। আমরা নানা কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আজ আবার খেলা হচ্ছে। প্রায় শেষের দিকে খেলা। আমি বল পেলাম বিপক্ষের বক্সের কাছে। তেড়ে শট নিলাম গোলে। বল উড়ে গেল মাসির বাড়িতে। মাঠের লোকজন অবাক। সহ-খেলোয়াড়েরা আমাকে বল পাস করতে চায় না বেশিক্ষণ পায়ে বল রাখি বলে। সেই আমি বল পায়ে পড়তে না পড়তে দড়াম! শুধু বাবলা দেখলাম আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসল। আমি বল আনতে এগোলাম মাসির বাড়ির দিকে।
ছবি: সুজাতা চ্যাটার্জী
প্রলয় সেন ▪ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪ রঞ্জন দাশগুপ্ত ▪ শাশ্বত কর
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ রম্যাণী গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ তাপস মৌলিক ▪ অভিষেক ঘোষ ▪ প্রদীপ কুমার দাস ▪ সুস্মিতা কুণ্ডু ▪ সবিতা বিশ্বাস ▪ বিশ্বদীপ সেনশর্মা ▪ দীপক দাস ▪ অমিয় আদক ▪ কল্যাণ সেনগুপ্ত
বদ্রীনাথ পাল ▪ দীনেশ সরকার ▪ রূপসা ব্যানার্জী ▪ শঙ্খশুভ্র পাত্র ▪ সৌরভ চাকী ▪ শক্তিপদ পণ্ডিত ▪ শিবানী কুণ্ডু খাঁ ▪ সুব্রত দাস ▪ বসন্ত পরামানিক ▪ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪ অমিত চট্টোপাধ্যায় ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ তাপস বাগ ▪ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪ টুম্পা মিত্র সরকার
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ যূথিকা আচার্য ▪ মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ কেয়া চ্যাটার্জী ▪ ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ▪ সুদীপ ঘোষাল ▪ অনিন্দ্য পাল ▪ ড. উৎপল অধিকারী
অরিন্দম ঘোষ ▪ সৌম্যপ্রতীক মুখোপাধ্যায় ▪ রাজীবকুমার সাহা
সনৎ কুমার ব্যানার্জ্জী ▪ মলয় সরকার
অলংকরণ
প্রদীপ গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ অঙ্কিতা মণ্ডল ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ সুকান্ত মণ্ডল ▪ পুণ্ডরীক গুপ্ত ▪ প্রবাহনীল দাস ▪ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী ▪ রাজন্যা ব্যানার্জী ▪ সমৃদ্ধি ব্যানার্জী ▪ ঐশিক মণ্ডল ▪ বিজয় বোস ▪ দীপক কুণ্ডু