ছোটো গল্প
15% OFF * FREE SHIPPING
ছোটো গল্প
পরদিন সকালে ভাইয়ের ঘরে ঢুকে দেখি মা বিছানায় কী যেন খুঁজছে। আমি ঢুকতে বলে, “মিমি, ভাইয়ের যে নীল রঙের জামাটা ছিল এখানে সেটা তুই কাল ধরেছিলি?”
আমি মাথা নেড়ে বললাম, “উঁহু।”
মা নীচু গলায় বিড়বিড় করে বলে, “এই নিয়ে তিনবার হল। ওর বালিশের একটা ছোটো ওয়ার গেছে, একট প্যান্টুল আর আজ এই জামাটা। ছোটো বাচ্চার জিনিস কে যে কোথায় ফ্যালে!”
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
তুলি আসলে ওর ডাকনাম। ভালো নাম তুলতুলি। বয়সে আমার চেয়ে বেশ খানিক ছোটো, তবে ওর চারটে পা বলে একটু গর্ব বেশি। দুর্ধর্ষ একটা লেজও আছে। এই বয়সেই ফ্ল্যাটবাড়ির নীচের হরি দারোয়ানজির মতো গোঁফ।
এইসব কারণে তুলি আমাকে মাঝে-মধ্যে অবজ্ঞা করলেও, আমার যা-কিছু জিনিসপত্তর আছে তার ওপর কিন্তু তার লোভ আছে ষোলো আনা। বেজায় হিংসুটি। রাতে শুতে গেলেই আমার মশারির ওপরে লাফ দিয়ে উঠবে। ওটা তার হ্যামক। ফ্যানের ঠিক নীচে আমার নাক-বরাবর গুটুলি মেরে শুয়ে দোল খাবে আর ঘুমোবে। প্রথমদিন তো রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে বেজায় ভয়ই লেগে গিয়েছিল। ফোঁস ফোঁস নিশ্বাস শুনে তাকিয়ে দেখি একজোড়া হলদে চোখ আমায় দেখছে।
ভাবো শুধু একবার। সেই প্রথম একলা শোওয়ার রাতটা! মা সেদিনই সকালে ফিরেছে। ও-ঘরে বেজায় ব্যস্ততা। নার্সদিদি, মা, ভাই, ওষুধের গন্ধ—সব মিলিয়ে বেজায় হইচই। বাবারও ঘুমোবার নাম নেই। ফলে সেদিন, আমি জীবনে প্রথমবার পড়ার ঘরে একলা একলা শুতে এসেছি, আর মাঝরাত্রে ওই কাণ্ড! চোখ খুলে ওই দেখে আমি চিৎকার করে উঠতে বাবা তাড়াতাড়ি এ-ঘরে এসে ঢুকেছে, আর তুলিও মেরেছে লাফ। মশারির চাল ছেড়ে সটান বাবার কোলে। তার সঙ্গে আবার আমার দিকে তাকিয়ে ওঁয়াও-ম্যাঁয়াও বলে হরেক অভিযোগ, যেন যত দোষ সব আমার।
এই বাবাকে নিয়েই হয়েছে যত জ্বালা। তুলি যা-ই করুক, বাবার কাছে গিয়ে পৌঁছুল তো সাতখুন মাপ। এমনকি সেই প্রথমদিন যখন মশারি চেপে আমায় ভয় দেখাল, সেদিনই সকালে যা কাণ্ড বাধাল সে বলার নয়। মা তখন কোথাকার কোন ডিপার্টমেন্টল স্টোর থেকে তিনদিন ধরে বেছেগুছে একটা ভাই নিয়ে সবে বাড়ি ফিরেছে বাবার সঙ্গে। মানছি ভাইটা মোটেই সুবিধের নয়—ন্যাড়ামুণ্ডি, গায়ে এইটুকু ন্যাকড়ার জামা পরানো, একদম গোলাপি, চোখ দুটো বন্ধ আর থেকে থেকে পিঁ পিঁ করে সে কী চিৎকার! কিন্তু তাই বলে তুলি ওরকম কাণ্ড বাধাবে সেটা কি ঠিক? মা তখন সবে ভাইকে কোলে নিয়ে একটা চেয়ারে বসেছে। তুলি মেঝেতে শুয়ে ঝিমোচ্ছিল। হঠাৎ সে কিঁয়াও করে একখানা হাঁক মেরে এসে মায়ের কোলে উঠে পড়ল। তারপর গোঁফওয়ালা মুখটা ভাইয়ের মুখের কাছে নিয়ে গিয়ে গরগর শব্দ করে কীসব বলে যাচ্ছে তার ঠিক নেই। মা তো ঘাবড়ে গিয়ে তাকে বার বার ঠেলে সরাতে চাইছে, কিন্তু সে সরলে তো! শেষে বাবা এসে তাকে কোলে করে সরায়। পিসি-টিসি সবাই মিলে তখন তেড়ে এসেছে। বলে, “এক্ষুনি আপদ বিদেয় কর বাড়ি থেকে।” আর তিনি তখন একদম নিরীহ মুখ করে বাবার গাল চেটে দিচ্ছেন, যেন ভাজামাছটি উলটে খেতে জানেন না।
বাবা হেসে হেসে বলে, “আহা, বাড়িতে নতুন লোক এল, তুলি তাই একটু দেখতে এসেছে। ভেবেছে বড়োসড়ো ইঁদুর। তাতে তোমরা এমন রাগ করো কেন?”
এবারে বুঝলে তো তুলির এত সাহস আসে কোথা থেকে?
সে-সব ঘটনা অবশ্য মাস কয়েকের পুরোনো। মশারির ওপরে তুলির এসে শোওয়াটা এখন আমার অভ্যেস হয়ে গেছে। আর ভয়-টয় লাগে না। তবে দুষ্টুমি যাবে কোথায়? যেই দেখেছে ওই করে আমায় আর জ্বালানো যাবে না অমনি নতুন কায়দা করেছে। সেদিন বসে বসে একটা ছবি আঁকছিলাম। মা তখন ও-ঘর থেকে ডাকল। বলে, “ভাইয়ের কাছে একটুখানি বোস, আমি একবারটি রান্নাঘরে দেখে আসি পিতুমাসি কী রান্না করছে।”
কাজটা আমার ভালোই লাগে। ভাইটা এখন খানিক মানুষ মানুষ হয়ে উঠেছে। এখনও বেজায় ছোটো, কিন্তু মাথায় চুল হয়েছে। ইঁদুর ইঁদুর দেখতে লাগে না আর। যে তাকে দেখতে আসে, সে-ই লাল-নীল সব জামা-পেন্টুল দিয়ে যায়, আর মাও ঘণ্টায় ঘণ্টায় তার জামা পালটে ফেলে। ডাকলে আজকাল মুখ ঘুরিয়ে তাকাচ্ছেও।
আমার অবশ্য তখন মন পড়ে আছে আঁকার পাতাটাতেই। মিনিট দশেক পরে মা ফিরতে আমিও এক দৌড়ে পড়ার ঘরে ফিরে দেখি, বাবার টেবিলে রঙটঙগুলো সব ছড়িয়ে একেবারে দক্ষযজ্ঞ হয়ে রয়েছে। আর আমার ছবি আঁকার কাগজের টুকরোটা—উধাও!
ঠিক তক্ষুনি বাবা এসে ঘরে ঢুকে ওই দেখে এমন জোরে আমার কান মুলতে শুরু করল যে কী বলব। আমি তো হাঁইমাই করে চিৎকার জুড়েছি। যত বলি আমি কিছু জানি না, আমার ছবি কই, সব ওই বদমাশ তুলিটার কাজ, তত আরও জোরে জোরে কান মলে আর বলে, “গুছিয়ে কাজ করতে জানিস না আর অবোলা জীবটাকে দুষছিস?”
ঠিক তখন দেখি খাটের তলা থেকে তুলি বেরিয়ে আসছে। মুখটা হাসি হাসি করে সে উবু হয়ে বসে আমার দুর্দশাটা খানিক দেখল, তারপর ফ্যাঁচফেঁচিয়ে হেসে দুলকি চালে ফের ওই খাটের নীচে ঢুকে গেল। আমার তখন এত রাগ হয়ে গেল যে কী বলব। অথচ কিছু বলবার জো নেই। বাবার ফেভারিট মেম্বার। তার জন্য ক্যাটফুড তো আসেই, তার ওপর আজকাল এমন লোভী হয়ে উঠেছে যে বলবার নয়। যা পাচ্ছে একপলকে সাবাড়। খেয়ে খেয়ে আজকাল এমন মোটা হয়েছে যে নড়তে-চড়তেও তার কষ্ট। অথচ আমি খেতে বসে চার পিসের জায়গায় পাঁচ পিস চিকেন চাইলেই শুনতে হবে—‘মিমি, বেশি খাওয়া ভালো নয়, ওজন বেড়ে যায় ওতে।’ ধুস!
রাত্তির বেলা খেয়েদেয়ে উঠে ভাইয়ের কাছে আমার ডিউটি পড়ে। মা খেতে যায় তখন আর আমি বসে ভাইকে পাহারা দিই। সেদিন তেমনই খেয়েদেয়ে উঠে ভাইয়ের ঘরে এসে ঢুকে বসেছি। ছোট্টো মশারির মধ্যে ভাই ঘুমুচ্ছে। পাশে শুয়ে শুয়ে পিনপিন করে ভাইকে একটা গান শোনাচ্ছিলাম, এমন সময় দেখি তুলি এসে খাটে উঠেছে। উঠেই কেমন একটু অপ্রস্তুত মুখ করে আমার দিকে একবার দেখল সে। তারপর এদিক ওদিক খানিক ঘুরে ব্যাজার মুখ করে নেমে চলে গেল ফের।
ফুরফুরে হাওয়ায় একটু বাদে চোখ দুটো জুড়ে এসেছে আর অমনি টের পেয়েছি, ফের তুলি খাটে উঠে এসে ঘোরাফেরা করছে। আমার তখন এমন ঘুম পেয়েছে যে চোখ খুলে যে একটু দেখব তারও জো নেই। খানিক পরে যেমনি এসেছিল তেমনি আবার বেরিয়ে চলে গেল সে।
পরদিন সকালে ভাইয়ের ঘরে ঢুকে দেখি মা বিছানায় কী যেন খুঁজছে। আমি ঢুকতে বলে, “মিমি, ভাইয়ের যে নীল রঙের জামাটা ছিল এখানে সেটা তুই কাল ধরেছিলি?”
আমি মাথা নেড়ে বললাম, “উঁহু।”
মা নীচু গলায় বিড়বিড় করে বলে, “এই নিয়ে তিনবার হল। ওর বালিশের একটা ছোটো ওয়ার গেছে, একট প্যান্টুল আর আজ এই জামাটা। ছোটো বাচ্চার জিনিস কে যে কোথায় ফ্যালে!”
ততক্ষণে নার্সদিদি এসে গেছে। হাতের ব্যাগটা নামিয়ে রাখতে-রাখতেই বলে, “হ্যাঁ বৌদি, কিছু একটা হচ্ছে বাড়িতে। বাবুয়ার মুখ মোছবার একটা ফুলকাট রুমাল ছিল না, সেইটে দিন দুই আগে গায়েব হয়ে গেল। আমার উলের গোলা একটা হারিয়েছে ব্যাগ থেকে। কে যে নিচ্ছে, কেনই-বা নিচ্ছে কিচ্ছুই বুঝতে পারছি না।”
তক্ষুনি আমার হঠাৎ কালকের কথাটা মনে পড়ে গেল। তুলিটা এসে বিছানায় খুটুরখাটুর করছিল, আমায় জেগে থাকতে দেখে ব্যাজার মুখে পালাল, তারপর আমি ঘুমুতেই আবার এসে হাজির। আমি বললাম, “মা, তুলি চুরি করছে না তো?”
মা মুচকি হেসে বলল, “সে কি রে, বেড়ালে জামা চুরি করে করবেটা কী? ওরা কি জামা পরে?”
কথাটা ঠিকই, কিন্তু আমার সন্দেহ গেল না। তুলি যা দুষ্টু। হয়তো আমায় বকুনি খাওয়াবার মতলবেই এসব কাণ্ড করছে ক’দিন ধরে। জানেই তো এ-বাড়িতে কোনও কিছু গণ্ডগোল হলে সবার আগে আমার দোষ পড়ে।
তাড়াতাড়ি উঠে এসে বারান্দায় বেরিয়ে ডাকলাম, “তুলি?”
এমনিতে ডাকটা দিতে না দিতেই সে যেখানে থাক সুড়সুড়িয়ে বের হয়ে আসবে, কিন্তু আজ সকালে তার আসবার নাম নেই আর। আমার সন্দেহটা আরও গভীর হল। নিশ্চয় আন্দাজ করেছে আমি টের পেয়ে গেছি! তাই গা ঢাকা দিয়েছে কোথাও।
বাবা খবরের কাগজ পড়ছিল। কাছে গিয়ে বললাম, “ও বাবা, একবার তুলিকে ডাকবে?”
বাবার ডাকটা তুলির জন্য মোক্ষম। আমাদের কথা কখনো-কখনো না শুনলেও বাবার ডাককে ও এ অবধি কোনোদিন অমান্য করেনি।
বাবা হাসল।—“কেন রে?”
“তুমি একবার ডাকই না।”
বাবা হাসি হাসি মুখে মিষ্টি করে ডাকল, “তুলি?”
তারপর একটু বাদে খানিক কড়া গলায় ডাকল। নো রেজাল্ট। এইবার দেখি বাবার ভুরু দুটো কুঁচকে উঠছে। এমনটা তো হবার কথা নয়। উঠে গিয়ে স্টোর-রুম থেকে ক্যাটফুডের পুঁটুলি থেকে হাত ঢুকিয়ে একমুঠো দানা তুলে আনল বাবা এবার। ওর প্রাণকাড়া গন্ধ অস্বীকার করবে এমন বেড়াল এখনও জন্মায়নি।
কিন্তু তাতেও ফল হল না। এইবার দেখি বাবার একটু চিন্তা হয়েছে। ভুরু কুঁচকে বলে, “কাল রাতে তো ওকে বাইরে যাবার জন্যে ছাড়িনি! গেল কোথা?” এই বলে বাবা তাড়াতাড়ি স্নান করতে চলে গেল। অফিসের সময় হয়ে গেছে। যেতে যেতে আমায় বলে, “একটু খুঁজে দ্যাখ মিমি মা। একলা একলা কোথাও গিয়ে আবার বিপদে না পড়ে।”
হুঁ! ও পড়বে বিপদে! তেমন বান্দা কিনা! নিশ্চয় ঘরেই কোথাও লুকিয়ে আছে। আমি তাড়াতাড়ি ওর লুকোবার জায়গাগুলো একে একে খুঁজতে শুরু করে দিলাম। আজ এর একটা হেস্তনেস্ত না করে ছাড়ব না আমি।
টবের পেছনে, জলের ট্যাংকের আড়ালে সবজায়গায় খুঁজেপেতে নিয়ে শেষমেশ আমি আমার পড়ার ঘরের খাটটার কাছে এলাম। এইবার আমারও চিন্তা হচ্ছিল। গেল কোথায়? আহা দুষ্টু বটে, কিন্তু কী সুন্দর চোখ ওর! গায়ের লোম মখমলের মতো নরম। মানুষের মতন কথা বোঝে একেবারে!
আস্তে আস্তে নীচু হয়ে খাটের পাশে বসতেই হঠাৎ তুলির গলার শব্দ পাওয়া গেল। খাটের নীচের অন্ধকার থেকে আসছে। কিন্তু, এ আবার কেমন ডাক তুলির? কিঁউ কিঁউ করে সরু বাঁশির মতো গলায় ডাকছে কেন?
তাড়াতাড়ি একটা টর্চ নিয়ে এসে খাটের তলায় জ্বেলে ধরলাম আমি, আর তারপর চমকে উঠে, “ও মা, দেখে যাও! ও বাবা!” এইসব বলে নাচতে নাচতে রওনা দিলাম ঘর ছেড়ে।
হালকা লোহার ফ্রেমের খাট। বাবা এসে সাবধানে সেইটে টেনে সরাতেই দেখা গেল সেখানে তুলি চুপচাপ শুয়ে মিষ্টি চোখে আমাদের দিকে দেখছে আর তার কোলের কাছে তিনটে এ-ই টুকুটুকু বেড়ালছানা—তখনও তাদের চোখ ফোটেনি। বুড়োদের মতন মাথা নেড়ে নেড়ে চলেছে তারা মায়ের কোলের কাছে বসে।
“কাল রাতেই জন্মেছে বোধ হয়। তাই মহারানির দেখা নেই সকাল থেকে। দেখি দেখি।” বলতে বলতে কাছে গিয়ে তার দিকে ভালো করে দেখেই মা হঠাৎ রেগে উঠে বলে, “মুখপুড়ির কাণ্ড দেখেছ? বাবুয়ার জামা, রুমাল…”
তার পাশে উবু হয়ে বসে দেখলাম, সেখানে আমার ছবি আঁকার কাগজ, বাবুয়ার জামা, পেন্টুল, রুমাল নার্সদিদির উলের গোলা—সব এনে জড়ো করে দিব্যি একটা বিছানা পাতা, আর তার ওপর তার বাচ্চাদের শুইয়ে রেখে পাশে মেঝের ওপর শুয়ে আছে তুলি। গর্ব গর্ব চোখ করে তার বাচ্চাদের দেখছে।
হঠাৎ আমার মনে মনে একটু ভয় হল। একেবারে হাতেনাতে চুরি ধরা পড়ে গিয়েছে বেচারার। এখন মা যদি ওকে তাড়িয়ে দেয়? তিনটে বাচ্চা নিয়ে…
ও হরি। মা দেখি বড়ো বড়ো চোখ করে তার দিকে দেখতে দেখতে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, আর বলছে, “আহা মা তো! ছেলেমেয়েদের আরাম দেবার জন্যে চুরি করতেও বাধেনি। খিদে পেয়েছে নাকি রে, তুলি?”
তুলি অমনি আহ্লাদে একেবারে গলে গিয়ে মার হাতটা চেটে দিয়ে বলল, “ম্রিঁয়া-আ-আ-ওঁ—”
আমি ততক্ষণে একছুটে গিয়ে ক্যাটফুডের পুঁটুলিটা এই ঘরে নিয়ে চলে এসেছি।
ছবি: প্রদীপ গোস্বামী
প্রলয় সেন ▪ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪ রঞ্জন দাশগুপ্ত ▪ শাশ্বত কর
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ রম্যাণী গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ তাপস মৌলিক ▪ অভিষেক ঘোষ ▪ প্রদীপ কুমার দাস ▪ সুস্মিতা কুণ্ডু ▪ সবিতা বিশ্বাস ▪ বিশ্বদীপ সেনশর্মা ▪ দীপক দাস ▪ অমিয় আদক ▪ কল্যাণ সেনগুপ্ত
বদ্রীনাথ পাল ▪ দীনেশ সরকার ▪ রূপসা ব্যানার্জী ▪ শঙ্খশুভ্র পাত্র ▪ সৌরভ চাকী ▪ শক্তিপদ পণ্ডিত ▪ শিবানী কুণ্ডু খাঁ ▪ সুব্রত দাস ▪ বসন্ত পরামানিক ▪ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪ অমিত চট্টোপাধ্যায় ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ তাপস বাগ ▪ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪ টুম্পা মিত্র সরকার
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ যূথিকা আচার্য ▪ মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ কেয়া চ্যাটার্জী ▪ ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ▪ সুদীপ ঘোষাল ▪ অনিন্দ্য পাল ▪ ড. উৎপল অধিকারী
অরিন্দম ঘোষ ▪ সৌম্যপ্রতীক মুখোপাধ্যায় ▪ রাজীবকুমার সাহা
সনৎ কুমার ব্যানার্জ্জী ▪ মলয় সরকার
অলংকরণ
প্রদীপ গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ অঙ্কিতা মণ্ডল ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ সুকান্ত মণ্ডল ▪ পুণ্ডরীক গুপ্ত ▪ প্রবাহনীল দাস ▪ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী ▪ রাজন্যা ব্যানার্জী ▪ সমৃদ্ধি ব্যানার্জী ▪ ঐশিক মণ্ডল ▪ বিজয় বোস ▪ দীপক কুণ্ডু
সদ্য ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার শিকার হতে শুরু করা বাংলা ও উত্তর-ঔপনিবেশিক বাংলা। একই গ্রামজীবন, দুটি ভিন্ন যাপন। সোয়া শতাব্দীর ব্যবধানে দাঁড়ানো দুই বাঙালি গ্রামের আনন্দ, বেদনা, মৃত্যু ও জীবনের দুটি খণ্ড চিত্র। দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের দুটি মরমী কিশোর উপন্যাস।
আমরা ভারতবাসী কাব্য-মহাকাব্য লিখেছি। লিখেছি পুরাণের নামে কিছু অলীক গল্পকথা। কিন্তু ইতিহাস লিখতে শিখিনি। তার প্রয়োজনীয়তাও বোধ করিনি। তাই ঐশ্বর্যময় গরিমা সত্ত্বেও আমরা আমাদের উত্তরসূরিদের জন্য কিছুই রেখে যাইনি। গিরিব্রজসিংহ এমনই এক অকথিত ঐতিহাসিক উপাখ্যান।