ছড়া
15% OFF * FREE SHIPPING
ছড়া
টুম্পা মিত্র সরকার
দেওয়ালের ফ্রেমে বাঁধানো রয়েছে
ব্যাঘ্রের ছবিখানা,
বড়ো বড়ো করে নীচে লেখা তার
ছুঁয়ে দেখা সেটা মানা।
প্রথমে কিছুটা অবাক হয়েছি
এ-লেখার কী যে মানে,
ফিসফিসিয়ে কে যেন কী বলে
শুনি ভয়ে কানে কানে।
এ-বাঘ তো নয় যে-সে বাঘ
থাকেনি সে জঙ্গলে,
সাতমহলায় দাপিয়ে বেড়াত
নয়া এক কৌশলে।
কী ছিল সে বাঘ? শোন মন দিয়ে
বলছি নামটা তার,
চোদ্দপুরুষ ভয় পেত যাকে—
বিক্রম সরকার!
তিনি আমাদের প্রপিতামহ
দাপুটে ছিলেন অতি,
বাঘের মতন স্বভাবে নিজের
রাখতেন মতিগতি।
হঠাৎ একদা কোত্থেকে এক
বাঘের পোশাক কিনে
গায়ে পরে সেটা অবিকল যেন
বাঘ হল দিনে দিনে!
বাঘের মতন হালুম সে ডাক
নখ, থাবা বড়ো বড়ো,
বাইরের কোনও লোক এলে ভয়ে
হয়ে যেত জড়োসড়ো!
মৃত্যুর কালে গিয়েছেন বলে
শেষ কথাটুকু এই—
মুখোশপরা থাকবে এ ছবি
সযত্নে দেয়ালেই।
এখনও প্রতিটি রাত্রি এলেই
ছবির ভিতর থেকে,
প্রচণ্ড স্বরে গর্জন করে
বাঘটি হালুম ডেকে!
ছবির এ-বাঘ তবু জীবন্ত
ফ্রেম থাকে ঝাড়ামোছা,
যত্নে সাজানো ধূপ-চন্দনে
রজনীগন্ধা গোছা।
ছবি: রাজন্যা ব্যানার্জী
লেখিকার অন্যান্য লেখা
প্রলয় সেন ▪ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪ রঞ্জন দাশগুপ্ত ▪ শাশ্বত কর
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ রম্যাণী গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ তাপস মৌলিক ▪ অভিষেক ঘোষ ▪ প্রদীপ কুমার দাস ▪ সুস্মিতা কুণ্ডু ▪ সবিতা বিশ্বাস ▪ বিশ্বদীপ সেনশর্মা ▪ দীপক দাস ▪ অমিয় আদক ▪ কল্যাণ সেনগুপ্ত
বদ্রীনাথ পাল ▪ দীনেশ সরকার ▪ রূপসা ব্যানার্জী ▪ শঙ্খশুভ্র পাত্র ▪ সৌরভ চাকী ▪ শক্তিপদ পণ্ডিত ▪ শিবানী কুণ্ডু খাঁ ▪ সুব্রত দাস ▪ বসন্ত পরামানিক ▪ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪ অমিত চট্টোপাধ্যায় ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ তাপস বাগ ▪ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪ টুম্পা মিত্র সরকার
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ যূথিকা আচার্য ▪ মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ কেয়া চ্যাটার্জী ▪ ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ▪ সুদীপ ঘোষাল ▪ অনিন্দ্য পাল ▪ ড. উৎপল অধিকারী
অরিন্দম ঘোষ ▪ সৌম্যপ্রতীক মুখোপাধ্যায় ▪ রাজীবকুমার সাহা
সনৎ কুমার ব্যানার্জ্জী ▪ মলয় সরকার
অলংকরণ
প্রদীপ গোস্বামী ▪ মৌসুমী রায় ▪ অঙ্কিতা মণ্ডল ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ রাখি পুরকায়স্থ ▪ সুকান্ত মণ্ডল ▪ পুণ্ডরীক গুপ্ত ▪ প্রবাহনীল দাস ▪ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী ▪ রাজন্যা ব্যানার্জী ▪ সমৃদ্ধি ব্যানার্জী ▪ ঐশিক মণ্ডল ▪ বিজয় বোস ▪ দীপক কুণ্ডু
জনা দশেকের একটা মিষ্টিখোরের দল। না, সেই অর্থে ফুড ব্লগার নন তাঁরা। তাঁদের নেশা দিন-পেশা সামলে যত হারিয়ে যাওয়া বা প্রাচীন মিষ্টির রসাস্বাদন করা। রাজ্যের আনাচেকানাচে তাঁদের অবাধ বিচরণ। তেমন খবর এলে প্রতিবেশী রাজ্যেও হানা দেন সেখানকার প্রাচীন মিষ্টির সন্ধানে। যোগ্য কারিগর পেলে অনুরোধ-উপরোধ করে হারিয়ে যাওয়া মিষ্টি আবার তৈরি করিয়ে কিনে আনেন। চিনে জোঁকের মতো লেগে থেকে সংগ্রহ করেন সেসব মিষ্টির পাকপ্রণালী, ইতিহাস ও মিথ। প্রচলিত মিষ্টির ভিয়েন ঘরেও উঁকি দেন তাঁরা।
পেশায় জার্নালিস্ট দীপক দাস এই দলের অন্যতম সদস্য। এই বইয়ে তেমনই প্রাচীন ও হারিয়ে যাওয়া মিষ্টির উৎপত্তির ইতিহাস, মিথ ও পাকপ্রণালীর গল্প বলেছেন তিনি।