ছোটো গল্প
FREE SHIPPING IN INDIA
ছোটো গল্প
যখন তাঁর ইহকালের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছিল, গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামের কিনারায় যেখানে তারা মরুভূমির বিস্তারকে আটকে দিতে পেরেছিল তাদের বিপুল মেহনতের বিনিময়ে, সেখানে এসে একটা কাঠের উঁচু খুঁটি পুঁতে দিলেন। বললেন, “এই মিনার যতদিন যত্নে থাকবে, বসতি ভালো থাকবে। তোমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই স্বপ্ন-মিনারকে রক্ষা কোরো কিন্তু।”
মৌসুমী রায়
ধু ধু করে মরুভূমি। চরাচর শূন্য নির্জন বালির প্রান্তরে শুধু বাতাসে বালি সরে যাবার একটানা আওয়াজ, কোনও প্রাণস্পন্দন নেই। হাওয়া যেদিকে বয়, বালি উড়ে চলে সেইদিকে। আবার উলটোদিকে হাওয়া বইলে সেই বালি উপড়ে চলে আসে অন্যদিকে। নিরন্তর এই বাতাস ও বালির খেলাতে যেন ছোটো ছোটো স্বপ্ন তৈরি হতে থাকে, ধরে রাখে বালি সমুদ্রের স্মৃতি।
চারদিকে যেদিকে তাকাও বালির বিশাল সমুদ্র। ঢেউয়ের পরে ঢেউ। বড়ো বড়ো বালির পাহাড়। মাঝে মাঝে গিরিখাত। হয়তো কোনোদিন কোনও নদী ছিল, অথবা প্রাজ্ঞ কোনও মানুষ খাল কেটে চাষের জল এনেছিল; ছিল সবুজ গাছপালা, ফসলভরা চাষের জমি, ছোটো গ্রাম বা জনপদ।
হ্যাঁ, এখানে একদিন ছিল এক সমৃদ্ধ জনপদ। প্রায় একশো বছর ধরে টিকে ছিল বললে কম হবে, ভালোভাবেই সুরক্ষিত ছিল কয়েকশো মানুষের সেই বসতি। এক শাসকও ছিল। শুরুতে কোনও বিচক্ষণ মানুষকে সবাই নেতা বানিয়েছিল। যেমনটি হয়, তিনি সবাইকে নিয়ে চলতে জানতেন। বুদ্ধিমান, দূরদর্শী মানুষটি, এই বিশাল মরুভূমির মধ্যে সবধরনের প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে কীভাবে বেঁচে থাকতে হয় সেই কৌমস্মৃতির সঙ্গে তাঁর সহজাত দক্ষতা মিলিয়ে তিনি দূরের বরফ-গলা নদী থেকে খাল কাটিয়ে জল এনেছিলেন। পড়শিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বেলচা দিয়ে বালির খাদ খুঁড়েছিলেন। যেদিন মাটির কুঁড়েঘরের পাশ দিয়ে প্রথম কাদামাখা জল বয়ে এল, বলিষ্ঠ হাতের ছোট্টখাট্টো মানুষটি তাঁর ক্ষুদে ক্ষুদে চোখ দিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন—এখানে চাষের জমি হবে, যব চাষ হবে, বার্লি আর ওট ফলবে, একটি দুটি করে নতুন পরিবার এসে কুঁড়েঘর বানাবে, ঘরে ঘরে পরিশ্রমী পুরুষ আর নারী, স্বাস্থ্যবান শিশু আর গবাদি পশুর দল, খাবারের কষ্ট থাকবে না। খালের দু-পাশে সার বেঁধে হবে গাছের সারি, ফলন্ত গাছ, উপবন—জ্বালানি কাঠ আর ফলের অফুরন্ত জোগান দেবে। মানুষ, পশু আর গাছ—পরস্পরের ভালোবাসার সঙ্গে জড়িয়ে তৈরি হবে বসতি।
যখন তাঁর ইহকালের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছিল, গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামের কিনারায় যেখানে তারা মরুভূমির বিস্তারকে আটকে দিতে পেরেছিল তাদের বিপুল মেহনতের বিনিময়ে, সেখানে এসে একটা কাঠের উঁচু খুঁটি পুঁতে দিলেন। বললেন, “এই মিনার যতদিন যত্নে থাকবে, বসতি ভালো থাকবে। তোমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই স্বপ্ন-মিনারকে রক্ষা কোরো কিন্তু।”
এক প্রজন্ম পরে স্বপ্ন এগিয়ে যায়। বিচক্ষণ মানুষটির বংশধর আরও বুদ্ধিমান আর শক্তিশালী। তার স্বপ্ন আরও ফসল হবে, আরও কাঠ, দুধ, চর্বি, পশুলোম, ফল আর জলের জোগান—আরও মানুষ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আরও সমৃদ্ধি...
এভাবেই জনপদ বেড়ে ওঠে।
শাসক যতই শক্তিশালী হতে থাকে, তার সুন্দর রাজপ্রাসাদ তৈরি হয়, সেখানে সুখভোগের অনেক কিছুই গুঞ্জরিত হয়। কর বসে, আমলা তৈরি হয়, বিশাল মন্দির হয়, তার পুরোহিত হয়, ব্যাবসা-বাণিজ্যের অনেক উন্নতি হয়। মরুভূমির মাঝে সেই জনপদের নামডাক ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে—সেই সুদূর ভারতবর্ষ, পারস্যদেশ আর চিনদেশের প্রান্তে। সারা বছর উট-ঘোড়ার সার্থবাহ আর দেশ-বিদেশের মানুষে গমগম করে জনপদ। কত ধরনের জিনিসপত্রের আমদানি আর রফতানি, কত ভোগ্য পণ্য, কত শিল্পকলা, কত দুষ্প্রাপ্য জিনিসের ছড়াছড়ি!
জনপদের বাসিন্দাদের মধ্যে অনেক স্তর এখন। কেউ কেউ বছরভর চাষ করে, পশু চরায়, কারিগরের কাজ করে। তারা মজুর শ্রেণির। তাদের মনিব বড়োলোক, অনেক জমির বা অনেক পশুর মালিক অথবা তার কারখানা রয়েছে। কেউ-বা বড়ো ব্যবসায়ী, তার অধীনে অনেক কর্মচারী। কেউ-বা রাজকর্মচারী, কেউ-বা বড়ো মন্দিরের পুরোহিত বা পন্ডিত। সবাই বড়ো বড়ো পাঁচিলঘেরা বাগানওয়ালা বাড়িতে বাস করে, জনপদের প্রান্তে উপবনে ভ্রমণ করে ভৃত্য-পারিষদ সঙ্গে নিয়ে।
সবার ওপরে রয়েছেন রাজা বা প্রধান শাসক। তাঁর নিশান লাগানো বিশাল প্রাসাদ, জাঁকজমকের জীবনযাত্রা, লোক-লশকরে গমগম করে চারদিক। শাসক ক্রমশ শক্তিশালী হন, তাঁর অত্যাচার আর অহংকারের পরিধিও বেড়ে যায়
মরুভূমির প্রান্তরে স্বপ্ন মিনার এখনও একা জেগে থাকে। তার শক্তপোক্ত কাঠামো এখনও ভেঙে পড়েনি। কিন্তু তার কথা সবাই ভুলে গেছে।
এমন একদিন এসে গেল যখন যে প্রধান শাসক আর প্রধান পুরোহিত একই লোক হয়ে গেল। আর বেড়ে গেল তাঁর ক্ষমতা আর অহংকার। তিনিই যেন স্বয়ং ঈশ্বর! তাঁর আশেপাশে শুধু তাঁর মতন ক্ষমতালোভী আর দুর্নীতিবাজ লোকেদের ভিড়। বড়োলোকেরা আরও বড়োলোক, গরিব লোকেরা আরও গরিব।
এর আগেই কায়েম হয়েছিল দাস-প্রথা। দাসেদের ওপরে অত্যাচারের সীমা-পরিসীমা ছিল না।
আর তেমনই এক সময়ে জনপদের প্রান্তে এসে উপস্থিত হল এক ফকির। ছোট্টখাট্টো চেহারা, বলিষ্ঠ দুটি হাত, ক্ষুদে ক্ষুদে চোখ, সাধারণ পোশাক। দেখে মনে হয় সে যেন কবেকার এক পুরোনো স্বপ্ন বেয়ে চলে এসেছে এই ধনসম্পদে ভরা স্পর্ধিত জনপদের প্রান্তে।
নগরে ঢুকতে গিয়ে সে ইতস্তত করে। সেখানে সেদিন বিশাল জটলা। বেশ কিছু ছেঁড়াখোঁড়া পোশাক পরা বুভুক্ষু মানুষকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। তাদের দল বেঁধে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে মরুভূমির মধ্যে, যেখানে বেঁচে থাকা যায় না। দলের মধ্যে রয়েছে মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ। ফকির এক সেপাইর কাছে জানতে চায় যে এদের কেন এমন নিষ্ঠুর সাজা দেয়া হচ্ছে। সেপাই জানায় যে এরা প্রায় সবাই দাস, সঙ্গে স্থানীয় কিছু গরিব লোকও জুটেছে। এরা পেটভরা খাবারের দাবি করেছিল, তাই রাজার হুকুমে এই কঠিন শাস্তি হয়েছে। এক শক্তসমর্থ জোয়ানকে দেখায় সেপাই। সে এদের নেতা। তার পায়ে শেকল। তাকে নাকি সবার সামনে ফাঁসি দেয়া হবে!
ফকির পথ চলে আর অবাক হয়ে দেখতে থাকে, বিপুল সম্পদের পেছনে এত অন্ধকার? এই মরুভূমি জয় করে যে সজীব সুস্থ জীবনের পত্তন হয়েছিল, কালের পরিহাসে সে এক পাপে ভরা সোনার খাঁচা হয়ে গেছে শেষ অবধি। ফকির পথ চলে আর অসহায় অত্যাচারিত মানুষজনকে আশ্বস্ত করে। বলে, “ভয় পেয়ো না।”
প্রাসাদের সামনে গিয়ে বলে, “অত্যাচারীর দল, হুঁশিয়ার হও! এভাবে আর চলতে পারে না। চোখ মেলে দেখো, ভালো স্বপ্নেরা এখনও রয়েছে চারপাশে, তাদের খুঁজে নাও।”
মন্দিরের সামনে গিয়ে বলে, “দেবতার মূর্তি আর আচার-বিচারের মধ্যে ঈশ্বর থাকে না। তাকে প্রাণের মধ্যে পেতে হয়। স্বপ্ন দেখতে শেখো ধর্ম-ব্যবসায়ীর দল।”
ফকিরের গলা ক্রমশ উঁচু হয়ে ছড়িয়ে যেতে থাকে, যেন সারা নগরের প্রতিটি মানুষের কানে কথাগুলো বাজতে থাকে, রাজা-প্রজা সবাই শোনে। কেউ আশ্বস্ত হয়, কেউ তাচ্ছিল্য করে, কেউ রাগে গরগর করে।
রাজার হুকুমে ফকিরকে ধরে নিয়ে আসা হয় দরবার কক্ষে। শত রক্তচক্ষুর সামনে রাজা তাকে ধমক দিয়ে বলেন, “তুই কে রে?”
“আমি স্বপ্নের এক ফেরিওয়ালা। এই বিশাল মরুভূমির মধ্যে স্বপ্ন নিয়ে ঘুরি। তুমি কি আমার কাছ থেকে স্বপ্ন নেবে, সব আনন্দ সবাইকে ভাগ করে দেবার স্বপ্ন?”
ফকিরের হাসি হাসি মুখ দেখে সবার গা জ্বালা করে ওঠে।
ফকির বলে চলে, “কেন এত অত্যাচার? যাদের মেহনতে খাবার ফলে, তাদের মুখে খাবার তুলে দিতে চাও না কেন রাজা?”
ক্ষেপে ওঠেন রাজা। বলেন, “এই পাগলটাকে সরিয়ে নে আমার সামনে থেকে! জিভ কেটে, চোখ গেলে ছুড়ে ফেলে দে মরুভূমির মধ্যে ওই দাসগুলোর সঙ্গে।”
রাজার হুকুম শুনে সব পারিষদেরা তৃপ্ত হয়। সেপাইরা সব লাফিয়ে এসে ঘিরে ধরে সেই ছোট্টখাট্টো সাদাসিধে মানুষটাকে। মানুষটা হা হা করে হাসে। আকাশের দিকে হাত তুলে অদ্ভুত এক ভাষায় গান গেয়ে ওঠে। গানের শেষে বলে, “রাজা, তোমার এই রাজ্যপাটের স্বপ্নের আয়ু মাত্র আর সাতদিন। আজই সে আসবে। যাকে জয় করে এই জনপদ, এই সমৃদ্ধি—সে এতদিন আসতে পারেনি। ভালো ভালো স্বপ্নেরা তাকে রুখে দিয়েছিল। আজ তোমাদের অত্যাচার, অনাচার আর অহংকার মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার সব স্বপ্নকে ভেঙেচুরে দিয়েছে। তাই তোমাদের শাস্তি হবে। আর বাকিরাও শোনো। যারা বাঁচতে চাও, তারা স্বপ্ন মিনারকে ধরে থেকো।”
ফকিরের গলা উঁচু হতে হতে আকাশে মিলিয়ে যায়। সবাই হতভম্ব হয়ে দেখে ফকিরও মিলিয়ে গেছে! শুধু দাসেদের নেতা ফাঁসির আসামি শক্তসমর্থ ছেলেটি যাকে এর মধ্যেই ফাঁসি দেবার জন্য তৈরি করা হয়েছে, সে টের পায় যে তার হাত-পায়ের শেকল খুলে গেছে আর হাওয়ার ভাষায় ফিসফিস করে তাকে কে যেন বলে গেছে, “মরুভূমির কিনারে এক মিনার রয়েছে। এক্ষুনি সেখানে চলে যাও। সাতদিন চোখ বন্ধ করে, কানে কাপড় টেনে এই মিনারকে জড়িয়ে ধরে থাকো। সাতদিন পরে এই মিনারকে নিয়ে এ-তল্লাট ছেড়ে চলে যেও। যেখানে নিরাপদে গিয়ে পৌঁছবে, সেখানে এই স্বপ্ন মিনারকে পুঁতে দিও।”
আর অসহায় অত্যাচারিত মানুষের লম্বা ভিড় নগরের দক্ষিণে মরুভূমির দিকে ভয়ে ভয়ে এগোতে এগোতে শুনতে পায়, “আমার নিশানের পিছু পিছু এগিয়ে চলো। ভয় পেও না। আমি তোমাদের আশ্রয় দেব।”
সত্যি সত্যি এক লম্বা নিশান দেখতে পায় তারা। আর এগোতে এগোতে তাদের কেউ কেউ পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখতে পায় নগরীর উত্তরদিকে কালো-ধূসর রঙের প্রকাণ্ড এক দৈত্য এগিয়ে আসছে।
আর নগরীর লোকেরাও দেখতে পায় যে প্রকাণ্ড দৈত্যের মতো এক অতি শক্তিশালী মরুঝড় এগিয়ে এসে আছড়ে পড়তে চলেছে নগরীর ওপরে অতি দ্রুত। উন্মত্ত বালির কুণ্ডলী গোঁ গোঁ শব্দ করে বালির সমুদ্রে বালির ঢেউ আছাড়িপিছাড়ি খেয়ে পাকিয়ে পাকিয়ে ধেয়ে আসছে। গত এক শতাব্দীতে এমন মারাত্মক ঝড় কেউ দেখেনি বা শোনেনি। এত দ্রুত, এত তীব্র যে তার হাত থেকে নিস্তার পাবার উপায় নেই।
সাতদিন ধরে চলেছিল সেই ভয়ানক মরুঝড়। সাতদিন শেষে যখন ঝড় থেমে আকাশ দেখা গেল, তখন সেই সমৃদ্ধ নগরী পুরোটাই বালির পাহাড়ে চাপা পড়েছে। একটি প্রাণীও জীবিত নেই। শুধু সেই যুবকটি স্বপ্ন মিনার থেকে নেমে আসে আর আসে আরও ছয়জন মানুষ, যারা ফকিরের কথা বিশ্বাস করে মিনারে উঠে সাতদিন কাটিয়েছিল। সাতজন মিলে কাঁধে তুলে নেয় স্বপ্ন মিনার আর হাঁটা দেয় মরুভূমির পথে। তারা নিশ্চিন্ত জানে যে কোথাও না কোথাও কোনও নিরাপদ জায়গায় তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে কিছু অসহায় মানুষজন। তারা নতুন করে স্বপ্ন বুনবে সেখানে।
আজও সেই পরিত্যক্ত নগরী পড়ে আছে বিশাল নিঃসঙ্গ মরুভূমির বুকে। হয়তো খোঁড়াখুঁড়ি করলে পেতে পারো পচা কাঠ বা মরা পপলার গাছের শেকড়, অথবা টুকরোটাকরা কিছু জিনিসপত্র। বালির সমুদ্রের তলায় কত যে ধনসম্পদ পড়ে আছে, সে কল্পনাও করতে পারবে না। কিন্তু ওই অভিশপ্ত জায়গায় ভুলেও কেউ যায় না। তার ত্রিসীমানার মধ্যে গেলেই হঠাৎ করে চলে আসে মরুঝড়, আর তার হাত থেকে নিস্তার নেই কারও। ফকির মানুষটির রাগ এখনও যায়নি এত শতাব্দী পার হয়েও।
আর স্বপ্ন মিনার? কোথাও না কোথাও সে সদৃপ্তে জেগে আছে। আশার আলো দেখিয়ে চলেছে স্বপ্ন-সন্ধানীদের।
(তাকলামাকান মরুভূমির এক কিংবদন্তি অবলম্বনে)
কিশোর ঘোষাল ▪ পুষ্পেন মণ্ডল ▪ রঞ্জন দাশগুপ্ত ▪ শাশ্বত কর
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য ▪ মৌসুমী রায় ▪ অদিতি ভট্টাচার্য ▪ অভিষেক ঘোষ ▪ সুস্মিতা কুণ্ডু ▪ সবিতা বিশ্বাস ▪ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪ শংকর লাল সরকার ▪ বাণীব্রত গোস্বামী ▪ সহেলী রায় ▪ অমিয় আদক ▪ সিদ্ধার্থ দাশগুপ্ত ▪ সুতপা সোহহং
বদ্রীনাথ পাল ▪ শ্যামাচরণ কর্মকার ▪ দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী ▪ স্বপন কুমার বিজলী ▪ সুব্রত দাস ▪ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪ মধুমিতা ভট্টাচার্য ▪ কণিকা দাস ▪ সৌমেন দাস ▪ নীলেশ নন্দী
রম্যাণী গোস্বামী ▪ দীপঙ্কর চৌধুরী ▪ বিশ্বদীপ সেনশর্মা ▪ রণিত ভৌমিক
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ অরিন্দম দেবনাথ ▪ গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় ▪ কমলবিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ সুশান্ত কুমার রায় ▪ ড. উৎপল অধিকারী
অলংকরণ
মায়াসখা নন্দী ▪ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ▪ একপর্ণিকা ক্রিয়েটিভস
বহু কলমের গল্পে, প্রবন্ধে, সত্যি ঘটনায়, তথ্যে, গ্রাফিক নভেলে প্রাইমেটদের হাজারো কাণ্ড।
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্যের অসামান্য লেখায় ও আঁকায় কিশোর গল্প সংকলন।