ছোটো গল্প
FREE SHIPPING IN INDIA
ছোটো গল্প
সদাশিবের বক্তব্য, তার অসুস্থ বুড়ি মা নাকি চালের বস্তার মধ্যে তার গয়নার পুঁটলি রেখেছিল। দু-দিন আগে তার মা সেই গয়না গয়না করে অস্থির হয়ে উঠেছিল। নিজে বলেওছে যে গয়না সে চালের বস্তায় রেখেছে। শোনামাত্রই তো বাড়িতে হুলুস্থুল পড়ে গেছে। সদাশিব মাকে নিজে চালের বস্তাগুলোর কাছে এনে বলেছে, “বলো কোথায় রেখেছ?”
অদিতি ভট্টাচার্য
মদন মণ্ডলের চালের আড়তে আজ দারুণ গোলমাল। সারা গ্রাম ভেঙে পড়েছে দেখতে। মদন বড়ো আড়তদার, নানান জায়গা থেকে চাল আসে তার আড়তে। চকতেঁতুল গ্রামের সদাশিব ঘোষের কাছ থেকেও আসে। সাতসকালে সেই সদাশিব এসেই গোলমাল পাকিয়েছে। আর গোলমালের আঁচ পেলে ন্যাপলা কি আর চুপচাপ বসে থাকার ছেলে? খবরটা চারদিকে ছড়িয়ে দিতে ইতস্তত করেনি। মদন সেটা বুঝেছে। দাঁত কিড়মিড় করে বলেছে, “ন্যাপলা, এ তোর কাজ না হয়ে যায় না, সব একেবারে মজা দেখতে ভিড় করে এসেছে!”
ন্যাপলার ভ্রূক্ষেপ নেই। একগাল হেসে বলেছে, “এ আর নতুন কথা কী? আকাশে মেঘ করলেও ন্যাপলার দোষ, আবার রোদে কাঠ ফাটলেও ন্যাপলার দোষ! তোমরা সবাই ন্যাপলাকে যে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের চেয়েও বেশি মান্যিগণ্যি করো তা কি আমি জানি না?”
মদন ঘুসি পাকিয়ে তেড়ে এল। ন্যাপলা হাঁ হাঁ করে উঠল, “ওসব পরে হবে। ন্যাপলা তো আর পালিয়ে যাচ্ছে না। এখন ওই সদাশিববাবুকে আগে ঠান্ডা করো দেখি, কত কী যে বকে যাচ্ছে!”
তা সত্যি কথা। সক্কাল সক্কাল এসে বলে কিনা, “আমার কাছ থেকে যে চালের বস্তাগুলো এনেছেন ওগুলো একবার দেখব।”
কিন্তু দেখব বললেই কি আর দেখা যায়? মদনই-বা ছাড়ে কেন? সে নগদ পয়সা দিয়ে চাল কিনে তার আড়তে ঢুকিয়েছে, এখন ও তার জিনিস, ওরকম দেখব বলে হুজ্জুতি করলেই তো আর হল না। তবে সদাশিবের সঙ্গেও তার আজকের কারবার নয়, তাই তার পুরো কথাটা অন্তত শুনেছে, না-হলে অন্য কেউ হলে মুশকো জগাকে দিয়ে তাড়িয়ে দিত। জগার বিরাট লম্বা-চওড়া চেহারাখানার জন্যই ওর নামের আগে ওই বিশেষণ জুড়ে বসেছে।
সদাশিবের বক্তব্য, তার অসুস্থ বুড়ি মা নাকি চালের বস্তার মধ্যে তার গয়নার পুঁটলি রেখেছিল। দু-দিন আগে তার মা সেই গয়না গয়না করে অস্থির হয়ে উঠেছিল। নিজে বলেওছে যে গয়না সে চালের বস্তায় রেখেছে। শোনামাত্রই তো বাড়িতে হুলুস্থুল পড়ে গেছে। সদাশিব মাকে নিজে চালের বস্তাগুলোর কাছে এনে বলেছে, “বলো কোথায় রেখেছ?”
বুড়ি কপাল চাপড়ে কেঁদে বলেছে সেই বস্তাই নাকি নেই! হতেও পারে। সদাশিব তো আর এ-কথা জানত না, সে চাল আড়তদারকে বিক্রি করে দিয়েছে। তাও যে-ক’টা বস্তা ছিল, সব তন্নতন্ন করে খুঁজতে বাকি রাখল না। কিন্তু গয়নার গও সেখানে নেই।
গোয়ালঘর পরিষ্কার করতে করতে তরু বলে উঠল, “তাই বলি, ক’দিন আগে ঠাগমা লাঠি ঠুকঠুক করতে করতে চালের ঘরে কী করছিল! আমি তো জিজ্ঞেস করলাম, ও ঠাগমা, এখানে কী করো! ও মা, বলব কী, বুড়ির কী তেজ! আমাকে লাঠি দেখাল!”
“তুই তখনই আমাকে বলিসনি কেন?” সদাশিব তরুর দিকে তেড়ে গেল।
“আমি কী করে জানব যে ঠাগমা গয়না লুকোতে এসেছে!”
ওদিকে সদাশিবের অসুস্থ মা গয়নার শোকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ল। চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সে পৃথিবীর মায়া কাটাল। সদাশিবও আর সময় নষ্ট করেনি, পরের দিন একেবারে সক্কাল সক্কাল মদন মণ্ডলের আড়তে এসে হাজির হয়েছে।
এদিকে আড়তের সামনে গোলমাল বেড়েই চলেছে। শেষ পর্যন্ত ঠিক হল আড়ত থেকে সদাশিব নিজের বস্তাগুলো চিনিয়ে দেবে, তারপর একটা একটা করে সেগুলো বার করে এনে গ্রামের পাঁচজনের সামনে খুঁজে দেখা হবে।
“এই বেশ হল, একটা ভালো মীমাংসা হল।” ন্যাপলা বলল, “অমনি-অমনিই আমাদের আড়তদারের নামে কিছু একটা বললেই তো আর হল না।”
মদন আবার দাঁত কিড়মিড় করল, “সারা গ্রামে রাষ্ট্র করে এসে এখন আমার হয়ে ওকালতি করা হচ্ছে!”
কিন্তু ন্যাপলার কানে সে-কথা গেল না, সে তখন তদারকি করে মুশকো জগাকে দিয়ে চালের বস্তা বার করাচ্ছে।— “ওরে এইখানে রাখ, এইখানে না রাখলে পাঁচজন দেখবে কেমন করে? ব্যাপার বুঝছিস কিছু? গয়নাগাটির ব্যাপার, বুঝলি? সদাশিববাবু কীসব নাম-টাম বলল শুনিসনি? কী যেন বেশ হার! তবে যে-সে ব্যাপার নয়, রাম, লক্ষ্মণ, সীতা সব জড়িয়ে আছে!”
ন্যাপলার কথা শুনে সকলে হো হো করে হেসে উঠল, “একেবারে রাম, লক্ষ্মণ, সীতা!”
মদন মণ্ডল রেগে কাঁই।— “কাজের সময়ে যত ফালতু গোলমাল, আর উনি এদিকে রঙ্গ শুরু করেছেন!”
তবে এত কাণ্ডের ফলও কিছু হল না। দেখা গেল সবক’টা বস্তায় শুধু চালই আছে, গয়না নয়।
“বুঝলাম, সবই বুঝলাম। আমার মা তো আর মিথ্যে কথা বলেনি, এর মানে হল...”
সদাশিবের মুখের কথা মুখেই রয়ে গেল, মদন তেড়ে এল।— “আর একটা কথা বললে ফল ভালো হবে না বলছি। নেহাত এই অবস্থায় এসেছ আর তোমার সঙ্গে আমার আজকের কারবার নয়, তাই সহ্য করছি। কিন্তু তাই বলে যা খুশি বলবে! যাও, যাও বলছি! ওরে জগা, দেখ না এদিকে, হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?”
সদাশিব বুঝল কথা বাড়িয়ে কোনও লাভ নেই। সে হাঁটা লাগাল।
“যাও যাও, তোমরাও যে-যার কাজে যাও। শুধু শুধু আড়তদারকে খানিক হয়রানি করিয়ে গেল।” উপস্থিত গ্রামবাসীকে বলল ন্যাপলা। বলে নিজেও চলল।
“এই ন্যাপলা, চললি কোথায়?” মদন হাঁক দিল।— “আবার কাঁধে ওই তেলচিটে ময়লা ব্যাগটা ঝুলিয়েছিস কেন? ওর গন্ধে তো ভূত পালায়!”
ন্যাপলা দৌড়ে এল।— “আস্তে, আস্তে! অত চেঁচাও কেন? এত বড়ো আড়তদার তুমি আর এইটুকু বিবেচনা নেই? একটু খবরাখবর নিতে হবে না? সেই চকতেঁতুল থেকে সাতসকালে এসে এত কথা বলে গেল, এর পেছনে কী আছে জানতে হবে না? তা তোমার শত্তুরও তো কিছু কম নেই, সবদিক একটু দেখেশুনে না নিলে...”
“চুপ কর!” মদন এক ধমক লাগাল।— “ভারি একেবারে দেখেশুনে নেওয়ার লোক এসেছেন! যা, ভেতরে যা!”
“যতই চেঁচাও আর যাই করো, আমি এখন চল্লুম। একখানা ভালো কাজে হাত দেওয়ার জো নেই! দুগ্গা, দুগ্গা!” ন্যাপলা মদন মণ্ডলকে পাত্তাই দিল না।
তবে সেদিন আর কোথাও গেল না, পরের দিন ভোর-ভোরই বেরিয়ে পড়ল। সত্যি-সত্যিই চকতেঁতুল গ্রামে চলে এল। একে ওকে জিজ্ঞেস করে সদাশিব ঘোষের বাড়ি খুঁজে পেতেও তেমন অসুবিধে হল না।
বাড়ির সামনেই সদাশিব দাঁড়িয়ে, ন্যাপলাকে দেখে তার ভ্রূ কুঁচকে গেল।
“এই, তোকে মদন মণ্ডলের আড়তে দেখলাম না? ওই ষণ্ডাটার ওপরে খুব তম্বিতম্বা করছিলি?”
“যথার্থ বলেছেন।” ন্যাপলা বলল, “দরকারেই এলাম আপনার কাছে। এখানে কি এসব কথা বলার সুবিধে হবে, না ভেতরে...”
“তোর সঙ্গে আবার কীসের কথা?” হেঁড়ে গলায় গাঁকগাঁক করে বলল সদাশিব।
“এই দেখো, এও চেঁচায়! চালের কারবার করে করে দেখছি তোমার মেজাজখানাও একেবারে টং হয়ে থাকে, আমাদের আড়তদারের মতো। একটু মাথা ঠান্ডা করে কথাখানা শুনলে হয় না?”
“কী কথা? আর কী শোনার আছে? তোর আড়তদার তো আমাকে না-হক আপমান করে বিদেয় করল!”
ন্যাপলা সে-কথার উত্তর না দিয়ে সদাশিবের বাড়ির দিকে তাকিয়ে বলল, “এত বড়ো বাড়ি আর আপনার মা কিনা চালের বস্তায় গয়না রাখতে গেলেন! ব্যাপারটা কেমনতর ঠেকছে না? সত্যি কথাখানা কী বলেন তো?”
কাছেই একখানা চ্যালাকাঠ পড়ে ছিল, সদাশিব সেটা তুলে নিয়ে বলল, “এ তোর গ্রাম নয়, এ আমাদের চকতেঁতুল। আর একটা কথা বলবি তো এই চ্যালাকাঠ তোর পিঠে ভাঙব। যা ভাগ এখান থেকে!”
ন্যাপলা আর দাঁড়াল না, গজগজ করতে করতে সরে পড়ল।
পথচলতি মানুষের দৃষ্টি এড়ায়নি ঘটনাটা। তাদের কাছ থেকে ন্যাপলা অনেক কিছুই জানতে পারল।
“নিজের গ্রামের লোক, বলতেও খারাপ লাগে, কিন্তু সদাশিব যে লোভী মানুষ সে-কথা তো সত্যি। ওই গয়নার ওপরে বড়ো লোভ ছিল। ওদিকে বুড়ির শেষ সম্বল ওই সীতাহার আর একজোড়া দুল। সে বলত, ‘মরার আগে ও আমি কাছছাড়া করছি না। দিন ঘনিয়ে আসছে বুঝলে তার ব্যবস্থা করব।’ এ নিয়ে কম অশান্তি হয়নি। তা শুনি নাকি চালের বস্তায় রেখেছিল। বুড়ি নিজেই বলেছে।” একজন বলল।
আর একজন বলল, “আমার মার সঙ্গে সদাশিবের মা সই পাতিয়েছিল। এই সেদিন অবধি দুই বুড়ি মিলে যে কী গুজগুজ ফুসফুস করে মনের প্রাণের কথা বলত! সে গিয়ে ইস্তক আমার মা শয্যা নিয়েছে। ও-গয়না তার ছোটো ছেলেকে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল, আমার মাকে বলেছিল। কিন্তু সে-কথা একবার বলেছি কি বলিনি, সদাশিব কুরুক্ষেত্তর বাধাল। ওদের দু-ভায়ে যা ঝগড়া!”
ন্যাপলা মন দিয়ে শুনল সব, কিছু বলল না।
গ্রামের একটেরে একটা ভাঙা মন্দির, ও-পাশে মাঠ। লোকজন নেই। শেষ বিকেলের মনকেমন করা আলোয় চারদিক মাখামাখি। ন্যাপলা গিয়ে মন্দিরের সিঁড়িতে বসল। ব্যাগ থেকে মুড়ি, গুড় বার করে খেল।
“বলি এখানে বসে মুড়ি খাচ্ছ!”
ন্যাপলা তাকিয়ে দেখে সামনে এক বুড়ি দাঁড়িয়ে। হাতে জাপের মালা, গায়ে নামাবলি।
একে আগেও দেখেছে ন্যাপলা, গ্রামের পথে, তবে তখন কোনও কথা হয়নি।
“খোঁজখবর করতে এসেছি বলে কি খাব না? তোমাকে তো আগেও দেখলাম। ওই, ওইদিকের রাস্তায়।”
“খোঁজখবর করতে এসেছ বললে, তা কী খোঁজখবর করলে শুনি?” বুড়ি আবার জিজ্ঞেস করল।
“শুনলাম তো অনেক কিছুই। তবে নিরিবিলিতে দুটো দরকারি কথা বলব বলে এসেছিলাম, সে কিছুই হল না। যা মেজাজ! একেবারে চ্যালাকাঠ তুলে মারতে এল! কার কথা বলছি বুঝতে পারছ? তোমাদের গ্রামের সদাশিব ঘোষ গো, ওই যার মা নাকি চালের বস্তার ভেতরে গয়না...”
“লুকিয়ে রেখেছিল?” ন্যাপলার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলল বুড়ি, “ছোটো ছেলের বাড়ি যেতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি, শরীর ভালো ছিল না।”
“ওটা কি গয়না রাখার জায়গা? গ্রামের পাঁচজনকে ডেকে নিজের ইচ্ছের কথা বললেই তো হত।” ন্যাপলা খুব বিরক্ত।
“অত আর মাথায় আসেনি। বললাম না শরীর ভালো ছিল না! তবে যাকে দিতে চেয়েছিল তার কাছে ঠিক পৌঁছে যাবে।” বুড়ি ফিক করে হেসে বলল। তারপর মালা জপতে জপতে চলেও গেল।
ন্যাপলাও উঠে পড়ল। রাত কাটানোর একটা আস্তানা দরকার। এরকম মাঝে-মধ্যে ও বেরিয়ে পড়ে। এ-গ্রামে ও-গ্রামে ঘুরে বেড়ায়। কারও বাড়িতে, বাইরের দাওয়ায় রাতও কাটিয়ে দেয়।
“ওই হল সদাশিবের ভায়ের বাড়ি।” বুড়ি বলল। ন্যাপলা তার পেছন পেছন আসছিল।
“রাতটা কোথায় কাটাই বলতে পারো?” ন্যাপলা জিজ্ঞেস করল।
বুড়ি উত্তর দিল না, অন্য পথে চলে গেল।
‘এ-গ্রামের লোকজন যেন কেমন ধারা। একটা কথার উত্তর দিতেও যেন কত কষ্ট। যাই, এখানেই যাই। দাদাকে তো দেখলাম, দেখি ভাই কেমন লোক।’ ন্যাপলা নিজের মনেই বলল। তারপর সোজা সদাশিবের ভায়ের বাড়িতে ঢুকল।
“আপনি মদন মণ্ডলের লোক, তাই না? দাদার সঙ্গে সকালে গোলমাল হয়েছে খবর পেয়েছি। একবার ভেবেছিলাম আপনার সঙ্গে কথা বলব, কিন্তু আর ইচ্ছে করল না। ওই গয়না নিয়ে এত অশান্তি... আমার আর ভালো লাগছে না।” সহদেব, সদাশিবের ভাই বলল।— “একটা লাল সিল্কের বটুয়ায় মা গয়না রাখত। সেটাকে আবার একটা কালো-কমলা ছাপ ছাপ কাপড়ে জড়াত। কেন যে চালের বস্তার মধ্যে রাখতে গেল! কী যে হল সে গয়নার!”
“কিছুই হয়নি, ওইরকম লাল ব্যাগে কাপড়ে জড়ানোই আছে।” ন্যাপলা ব্যাগ খুলে পুঁটলি বার করে সহদেবের হাতে দিল।
সহদেব বাকশক্তিরহিত।
“ছিল চালের বস্তাতেই, তবে আমাদের আড়তদার জানে না। তা আমার অনেক বিদ্যে, বুঝলেন? এ-বিদ্যে শিখেছিলাম বঙ্কুর কাছে। ও চাল চুরি করত। আমি ওসবে নেই। তবে কিনা বস্তার মুখ বন্ধ থাকলেও তা খুলে ফেলা, কাজ সেরে আবার সেইরকম করে মুখ বন্ধ করে দেওয়া— এসব কাজকর্ম অব্যেস রাখি। কখন কোনটা কী কাজে আসে সে তো আর বলা যায় না। তাছাড়া মানুষ হল গিয়ে অব্যেসের দাস। অব্যেস না করলে কোনও বিদ্যেই আর আয়ত্তে থাকে না। তা সেই করতে গিয়েই দেখি চালের ফাঁকে কাপড় উঁকি দেয়। টেনে বার করে দেখি গয়নার পুঁটলি! তবে বলতে নেই, আমার মাথা খুব ঠান্ডা আর আমি খুব সাহসীও। ভয়ডরের বালাই নেই, তাই পুঁটলি নিজের কাছেই রাখলাম। আড়তদার কি অন্য কারও হাতে পড়লে কী হয় ঠিক নেই। ভেবেছিলাম একটু বাজিয়ে নিয়ে আপনার দাদাকেই দেব, কিন্তু নানান কথা শুনে আর দিলাম না। তারপরে ওই বুড়ি...”
“বুড়ি?”
“হ্যাঁ। নামাবলি পরা বুড়ি, হাতে জপের মালা— সেও একই কথাই বলল। বেশি লোক যা বলে তাই শোনাই ভালো, তাই...”
“গায়ে নামাবলি? নাকের ওপর আঁচিল আছে?”
“আছে, এই এত্ত বড়ো।”
“মা!” সহদেবের গলা কেঁপে গেল।
“আপনার মা? কিন্তু তিনি তো মারা...” সাহসী ন্যাপলা আর কথা শেষ করতে পারল না, সেখানেই ভিরমি খেল।
কিশোর ঘোষাল ▪ পুষ্পেন মণ্ডল ▪ রঞ্জন দাশগুপ্ত ▪ শাশ্বত কর
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য ▪ মৌসুমী রায় ▪ অদিতি ভট্টাচার্য ▪ অভিষেক ঘোষ ▪ সুস্মিতা কুণ্ডু ▪ সবিতা বিশ্বাস ▪ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪ শংকর লাল সরকার ▪ বাণীব্রত গোস্বামী ▪ সহেলী রায় ▪ অমিয় আদক ▪ সিদ্ধার্থ দাশগুপ্ত ▪ সুতপা সোহহং
বদ্রীনাথ পাল ▪ শ্যামাচরণ কর্মকার ▪ দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী ▪ স্বপন কুমার বিজলী ▪ সুব্রত দাস ▪ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪ মধুমিতা ভট্টাচার্য ▪ কণিকা দাস ▪ সৌমেন দাস ▪ নীলেশ নন্দী
রম্যাণী গোস্বামী ▪ দীপঙ্কর চৌধুরী ▪ বিশ্বদীপ সেনশর্মা ▪ রণিত ভৌমিক
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ অরিন্দম দেবনাথ ▪ গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় ▪ কমলবিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ সুশান্ত কুমার রায় ▪ ড. উৎপল অধিকারী
অলংকরণ
মায়াসখা নন্দী ▪ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ▪ একপর্ণিকা ক্রিয়েটিভস