15% OFF * FREE SHIPPING
প্রবাহনীল দাস (১৫)
সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগের আদিম মানুষ থেকে আজকের সভ্য মানুষের স্তরে উপনীত হতে মানবজাতি সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল হয়েছে বিজ্ঞানের উপর। ভারতের সমগ্র উন্নতিতেও তাই বিজ্ঞান তথা বিজ্ঞানীদের অবদানও অনস্বীকার্য।
আমাদের দেশের বিজ্ঞানচর্চাকে অতি প্রাচীন আখ্যা দিলেও ভুল হবে না। খ্রিস্টপূর্বাব্দ ১৪০০ থেকেই গণিতবিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিদ্যায় ভারতীয় বিজ্ঞানীরা অসামান্য পারদর্শীতা দেখিয়েছিলেন। আর্যভট্ট, ব্রহ্মগুপ্ত এবং ভাস্করের মতো ভারতীয়রা একই সঙ্গে গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যায় এমন কিছু তত্ত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন, যা পরবর্তীকালে সত্য প্রমাণিত হয়ে ভারতের মুখ বহুগুণে উজ্জ্বল করেছিল। আর্যভট্টের শূন্য আবিষ্কার, অথবা ভাস্করের বীজগাণিতিক সূত্র শুধু যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা কাজ সফল করেছে তাই নয়, বিশ্ববাসীকে ভারতের বিজ্ঞানের প্রতি বার বার মাথা নত করিয়েছে। প্রাচীন ভারতের এইসব কর্মমুখর মানুষ ধর্মকর্মের বাইরে এসে আশেপাশের ঘটনাগুলির ব্যাখ্যা খুঁজতে প্রাণপাত করেছিলেন। আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র-তারা দেখে সময়, দিন-মাস-বছরের হিসাব এবং ঋতুচক্র বোঝার চেষ্টায় এঁরা যথেষ্ট সফল হয়েছিলেন। সেই সময় এঁদের নিখুঁত হিসাবের ফলে বীজ বপনের সঠিক সময় বা বর্ষার পূর্বাভাস জানতে পেরে সাধারণ মানুষ বহুগুণে উপকৃত হত।
সময়ের নদী পেরিয়ে ভারতে ঘটেছে শাসকের পালাবদল, কিন্তু বিজ্ঞানচর্চা থেকেছে সমাদৃত। ১৮০০ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যখন সারা বিশ্বে শুরু হয়েছে নানারকম বিপ্লব, তখন ভারত কিন্তু পিছপা হয়নি এতটুকু। ভারতের দ্বিতীয় নোবেল পুরস্কার প্রাপক সি. ভি. রামন ছিলেন একজন দিকগজ বৈজ্ঞানিক। তাঁর গবেষণা রামন প্রভাব বা রামন বিক্ষেপণ বিজ্ঞানের শাখায় ভারতকে প্রথম নোবেল এনে দেয়। এরপর যে বিজ্ঞানীর নাম না নিলেই নয়, তিনি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু। উদ্ভিদরাও যে উদ্দীপনায় সাড়া দেয়, তাঁর এই তত্ত্ব সারা দুনিয়ায় সাড়া ফেলেছিল বইকি। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর উদ্যোগে স্থাপিত হয় বসু বিজ্ঞান মন্দির, যা আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠেছিল ভারতের বিজ্ঞানচর্চার সাধনপীঠ। মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং প্রশান্তচন্দ্র মহালনবিশের মতো বিজ্ঞানের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কেরা এই বসু বিজ্ঞান মন্দিরেই নিজেদের জ্ঞান আহরণ শুরু করেছিলেন।
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর সমসাময়িক বিজ্ঞানের অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিকপাল ছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। দেশের সার্বিক উন্নয়নে ইনি এক বিরাট ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রচলিত অন্ধবিশ্বাসের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে ছাত্রদের মনে বিজ্ঞানের শিকড় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রমাণিত সত্য অস্বীকার করে লোকমুখে প্রচারিত কুসংস্কার মেনে নেওয়ার মানুষ তিনি ছিলেন না। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সমস্ত সমস্যার বিশ্লেষণকে ছাত্রদের মনে প্রশ্রয় দিয়ে তৎকালীন পরাধীন ভারতের সমগ্র ছাত্রসমাজকে বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলেছিলেন।
এই সময়েরই অপর যে বিজ্ঞানীর কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী। ইউরিয়া স্টিবামিন নামক রাসায়নিক আবিষ্কার করে তিনি সমগ্র দেশকে কালাজ্বরের কালো প্রকোপ থেকে রক্ষা করেছিলেন। এঁর উদ্যোগে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতের প্রথম ব্লাড ব্যাংক তৈরি হয় কলকাতায়। চিকিৎসাশাস্ত্রে উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী এক চিরস্মরণীয় নাম হয়ে থাকবেন।
তৎকালীন বৈজ্ঞানিক মহলের সবচেয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন জার্মান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। তাঁর আপেক্ষিক তত্ত্বের রিসার্চ পেপার অনুবাদ করে ভারতের বৈজ্ঞানিকদের সমৃদ্ধ করেছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। আইনস্টাইনের সঙ্গে ওঁর নিয়মিত পত্রালাপের ফলে ভারতের বিজ্ঞান সমৃদ্ধ হয়েছিল আরও। সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে আইনস্টাইনের চিন্তাভাবনার মিলনের ফলেই আবিষ্কার হয়েছিল উপপারমাণবিক বোসন কণা, যা পরবর্তী প্রজন্মের বিজ্ঞানচর্চায় পাথেয় হয়ে ওঠে। তাঁর সতীর্থ প্রশান্তচন্দ্র মহালনবিশ পরিসংখ্যান তত্ত্বে উজ্জ্বল অবদান রেখেছিলেন, যা দেশের পরিসংখ্যানবিদ্যাকে বহুগুণ নিখুঁত করেছিল। ‘ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউট’-এ তাঁর গবেষণা দেশের জরিপের কাজকে করে তুলেছিল আরও নিখুঁতভাবে কার্যকর। এঁদের অন্য সহপাঠী মেঘনাদ সাহার কাজও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বর্ষায় দামোদর নদের বিধ্বংসী কার্যকলাপ রুখতে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন গঠিত হয় এবং নদের উপর তৈরি হয় বাঁধ। এই বাঁধের নির্ভুল কার্যকরী নকশা তৈরি করেছিলেন বৈজ্ঞানিক মেঘনাদ সাহা। হাজারো মানুষের শস্য, পশুসম্পত্তি এবং প্রাণকে বিপদমুক্ত করে দেশকে উন্নতির পথে আরও এক পা এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়াও ভাকরা নাঙ্গাল বাঁধ এবং তেনুঘাট বাঁধের উপকারিতা বিশেষভাবে দ্রষ্টব্য। তৎকালীন ভারতীয় বিজ্ঞানীদের নিরলস গবেষণা ও মাপজোকের ফল এই বাঁধগুলি। শতদ্রু নদীর উপর গড়া ভাকরা নাঙ্গাল বাঁধের জল খালপথে পৌঁছে যায় গুজরাত এবং রাজস্থানের শুষ্ক অঞ্চলে। অন্যদিকে দামোদর নদের উপরেই অবস্থিত তেনুঘাট বাঁধের জল ও জলবিদ্যুৎ বোকারো ও সংলগ্ন এলাকাগুলির ইস্পাতশিল্পের শিরদাঁড়া।
আধুনিক ভারত শুধু গুরুগম্ভীর তত্ত্ব এবং হিসাবের বেড়াজালে আটকে থাকেনি, নিজের বিজ্ঞানপ্রেমী নাগরিকদের কাজে লাগিয়ে পারমাণবিক বিজ্ঞান এবং উৎক্ষেপণ-বিদ্যাতেও যথেষ্ট উন্নতি করেছে। হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা, কিংবা এ. পি. জে. আব্দুল কালামের মতো বিজ্ঞানীদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র; মহাকাশেও পাড়ি দিয়েছে ভারতের প্রথম রকেট। স্বনির্ভর হওয়ার পথে তৎকালীন সদ্য স্বাধীন ভারতে এইসব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার নবজাগরণ ঘটিয়েছিল। এছাড়াও ভাবা, কালাম বা বিক্রম সারাভাই-এর মতো বিজ্ঞানীদের উদ্যোগে সারাদেশে স্থাপিত হয়েছে ‘টাটা ইন্সটিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ’ অথবা ‘ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার’-এর মতো উন্নত গবেষণাকেন্দ্রগুলি। দেশের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান করেছে এই প্রতিষ্ঠানগুলি।
ভারতের সার্বিক অগ্রগতিতে বিজ্ঞানের অবদান সবচেয়ে উজ্জ্বল ‘সবুজ বিপ্লব’ এবং ‘অপারেশন ফ্লাড’-এর পরিপ্রেক্ষিতে। স্বাধীনতার পর ভারত যখন নাগরিকদের খাদ্যসংস্থান করতে নাজেহাল, তখন আমেরিকান কৃষিবিদ নর্মান বোরলাগের পদচিহ্ন অনুসরণ করে এম. এস. স্বামীনাথন তাঁর যুগান্তকারী আবিষ্কারের মাধ্যমে ভারতের কৃষি উৎপাদন এক ধাক্কায় অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। উন্নত মানের বীজ তৈরি করে তিনি শুধু চাষের সুবিধেই করেননি, চাষের জলের সমস্যাও কিছু অংশে দূরীভূত করেছিলেন। ভারতের কৃষি উৎপাদনের এই আচমকা বৃদ্ধির ফলে সেই শস্য রফতানি করেও ভারত যথেষ্ট লাভবান হয়। অসংখ্য দরিদ্র চাষিদের জীবন এবং ভারতীয় গ্রামগুলির জীবনযাত্রায় এম. এস. স্বামীনাথন গুরুতর প্রভাব ফেলেছিলেন। সঠিক সারের ব্যবহার এবং প্রয়োজন অনুযায়ী জলের খরচ সদ্য স্বাধীন অগোছালো এবং দূষিত ভারতের মাটিকে অনেকটাই শুদ্ধ এবং উর্বর করে তুলেছিল।
এ তো গেল খাদ্যের কথা। ভারতের অন্যতম সম্পদ হল পশুসম্পত্তি—মূলত দুধেল পশুপ্রাণী। সারা ভারত জুড়ে ইতিউতি দুধের উৎপাদনকে অপারেশন ফ্লাড এক ছাতার তলায় আনতে সক্ষম হয়েছিল। আমুলের কর্ণধার ভারঘিস কুরিয়েন এবং তাঁর সহপাঠী এইচ. এম. দলায়া ভারতের দুগ্ধ উৎপাদনকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ভারতে গোরুর চাইতে মোষের দুধ অনেক বেশি সহজলভ্য এবং এর ফলে ভরা মরশুমে প্রচুর মোষের দুধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। ভারঘিস কুরিয়েন ও এইচ. এম. দলায়া এই সমস্যার একটি সমাধান বার করেন। গুঁড়ো দুধ এবং কনডেন্সড মিল্ক তৈরি করার প্রণালী আবিষ্কার করে তাঁরা এই সংকট থেকে দেশকে মুক্ত করেন। এই তিন বিজ্ঞানীর অবদানে ভারত কৃষি এবং দুগ্ধ উৎপাদনে সারা বিশ্বে নিজের স্থানকে শীর্ষের কাছাকাছি আনতে সক্ষম হয়েছিল।
বিজ্ঞানের নানা শাখায় ভারতীয় বিজ্ঞানীদের নিরন্তর গবেষণা চলছে, চলবে। বিজ্ঞানের মূল লক্ষ্যই হল মানবজাতিকে উন্নতির পথে অগ্রসর করে তোলা। বিজ্ঞানের শাখায় ভারতের উজ্জ্বল ইতিহাসকে স্মরণ করে তাই আজ বর্তমানের যুব সমাজ, অর্থাৎ আমাদেরকেও বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করেই দেশের উন্নতিসাধনে ব্রতী হতে হবে। নিত্যনতুন উদ্ভাবনার জোরে দেশের মানুষকে করে তুলতে হবে কর্মমুখর, গড়ে তুলতে হবে এক স্বনির্ভর দেশ।
কুড়ি জন দিকপাল বিজ্ঞানীর অসাধারণ কর্মকাণ্ড আর জীবনের গল্প। যে বিজ্ঞানীদের হাত ধরে সভ্যতা এগিয়ে গিয়েছে, কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাসের ঢাকনা খুলে অনাবৃত হয়েছে বিজ্ঞানের সৌন্দর্য, যাঁদের আপসহীন জীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বিজ্ঞানের জয়ধ্বজা উড়েছে, তাঁদের জীবনের অন্যান্য দিকগুলোও তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে।
জনা দশেকের একটা মিষ্টিখোরের দল। না, সেই অর্থে ফুড ব্লগার নন তাঁরা। তাঁদের নেশা দিন-পেশা সামলে যত হারিয়ে যাওয়া বা প্রাচীন মিষ্টির রসাস্বাদন করা। রাজ্যের আনাচেকানাচে তাঁদের অবাধ বিচরণ। তেমন খবর এলে প্রতিবেশী রাজ্যেও হানা দেন সেখানকার প্রাচীন মিষ্টির সন্ধানে। যোগ্য কারিগর পেলে অনুরোধ-উপরোধ করে হারিয়ে যাওয়া মিষ্টি আবার তৈরি করিয়ে কিনে আনেন। চিনে জোঁকের মতো লেগে থেকে সংগ্রহ করেন সেসব মিষ্টির পাকপ্রণালী, ইতিহাস ও মিথ। প্রচলিত মিষ্টির ভিয়েন ঘরেও উঁকি দেন তাঁরা।
পেশায় জার্নালিস্ট দীপক দাস এই দলের অন্যতম সদস্য। এই বইয়ে তেমনই প্রাচীন ও হারিয়ে যাওয়া মিষ্টির উৎপত্তির ইতিহাস, মিথ ও পাকপ্রণালীর গল্প বলেছেন তিনি।
আমরা ভারতবাসী কাব্য-মহাকাব্য লিখেছি। লিখেছি পুরাণের নামে কিছু অলীক গল্পকথা। কিন্তু ইতিহাস লিখতে শিখিনি। তার প্রয়োজনীয়তাও বোধ করিনি। তাই ঐশ্বর্যময় গরিমা সত্ত্বেও আমরা আমাদের উত্তরসূরিদের জন্য কিছুই রেখে যাইনি।
গিরিব্রজসিংহ এমনই এক অকথিত ঐতিহাসিক উপাখ্যান।
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪️ অংশু পাণিগ্রাহী ▪️ রম্যাণী গোস্বামী ▪️ অরিন্দম দেবনাথ ▪️ সুব্রত দাস ▪️ বাণীব্রত গোস্বামী ▪️ এণাক্ষী কয়াল মণ্ডল ▪️ কিশোর ঘোষাল ▪️ মঞ্জুশ্রী ভাদুড়ি ▪️ সায়ন্তনী পলমল ঘোষ ▪️ সংঘমিত্রা রায়
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ অমিত চট্টোপাধ্যায় ▪️ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪️ বদ্রীনাথ পাল ▪️ স্বপনকুমার বিজলী ▪️ বসন্ত পরামাণিক ▪️ মলয় সরকার ▪️ মানস চক্রবর্তী ▪️ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪️ নীলেশ নন্দী ▪️ পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ রানা জামান ▪️ রূপসা ব্যানার্জী ▪️ সজল বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ শক্তিপদ পণ্ডিত ▪️ সৌমেন দাস ▪️ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪️ সুমিত্রা পাল ▪️ তাপস বাগ ▪️ আলমগীর কবির ▪️ রমিত চট্টোপাধ্যায়
বুমা ব্যানার্জী দাস ▪️ মেঘনা নাথ ▪️ শাশ্বত কর ▪️ সুমন সেন ▪️ রণিত ভৌমিক
অরিন্দম ঘোষ ▪️ অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ রাখি পুরকায়স্থ
কেয়া চ্যাটার্জী ▪️ দীপক দাস ▪️ ড. উৎপল অধিকারী ▪️ সুদীপ ঘোষাল
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ
বিশ্বদীপ পাল ▪️ অঙ্কিতা নন্দী ▪️ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪️ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪️ পুণ্ডরীক গুপ্ত ▪️ স্রবন্তী চট্টোপাধ্যায় ▪️ প্রবাহনীল দাস ▪️ সায়ন্তনী পলমল ঘোষ ▪️ সুমন দাস ▪️ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী