ছোটো গল্প
FREE SHIPPING IN INDIA
ছোটো গল্প
‘ভূমিকম্প, ভূমিকম্প’ বলে সব ক্লাস-রুম থেকে হুড়মুড়িয়ে ছাত্ররা বেরিয়ে আসতে লাগল। একটা দক্ষযজ্ঞ লেগে গেল। কে আগে বেরোবে সেই হুড়োহুড়িতে আরও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হল। ততক্ষণে রিক দেখতে পেল ওর চারপাশের মাটি ফেটে গেছে। ওর হাতের ঘড়িটা আর একবার খুব জোরে ভোঁ করে ভাইব্রেট করল। আর সঙ্গে-সঙ্গেই ওকে সুদ্ধ ওর চারপাশের মাটি ধসে পড়ল কয়েক হাজার ফিট নীচে। সেই অতল কালো গহ্বরে পড়ার আগে এক ঝলকের জন্য রিক দেখতে পেল, ঘড়ির স্ক্রিনটা জ্বলে উঠেছে আর টিভিতে দেখা রোবটের মতো একটা মুখ যেন তাতে ভেসে উঠেছে। মুখটা ওর খুব চেনা চেনা মনে হল।
সুতপা সোঽহং
“এই এই, এই ছেলে! এই সবুজ সোয়েটার! হাঁ করে বাইরে তাকিয়ে দেখছিস কী? বল তো মাইটোকন্ড্রিয়া কী?”
স্যারের চিল চিৎকারে রিকের সংবিৎ ফেরে। ও হতভম্ব হয়ে তাকাতেই স্যারের বাজখাঁই গলা আবার চিৎকার করে ওঠে, “কী হল? মাইটোকন্ড্রিয়া কী বল! না পারলে বাইরে গিয়ে কান ধরে দাঁড়া।”
রিক গুটি গুটি পায়ে ক্লাস-রুমের বাইরে বের হয়ে যাবার সময় স্যার আবার আটকান।— “হাতে ওটা কী পরেছিস? স্মার্টওয়াচ! এদিকে পড়াশোনায় লবডঙ্কা, বাবু আবার স্মার্টওয়াচ পরেন!”
একটা হাসির রোল উঠল। ফার্স্ট বয় অনীক পাশ থেকে টিপ্পনি কাটল, “স্যার, নিশ্চয়ই চুরি করেছে। ওর বাবা তো লটারির টিকিট বিক্রি করে আমাদের বাড়ির সামনে। ওরা ঠিক করে খেতেই পায় না। ওরা যেমন গরিব, স্মার্টওয়াচ কিনবে কোথা থেকে?”
অনীকের পাশে বসে থাকা কৌশিক বলে ওঠে, “তুই জানলি কী করে যে ওরা ঠিক করে খেতে পায় না?”
অনীক মুখ বাঁকিয়ে বলে, “ওর মা মাঝে মাঝে আমার মায়ের কাছে টাকা ধার চাইতে আসে। তখন টাকা নেওয়ার ধান্দায় আমার মায়ের কাছে খালি কাঁদুনি গায়। আমার মা দেয় না যদিও। আমার তো মনে হয় ওর মাটাই টাকা ধার চাইতে গিয়ে কোত্থেকে ওটা চুরি করে এনেছে।”
‘চোর, চোর’ কয়েকটা গলা আশপাশ থেকে ফিসফিস করে ওঠে।
স্যার চেঁচিয়ে ওঠেন, “সাইলেন্স! সাইলেন্স! এই সবুজ সোয়েটার, দাঁড়িয়ে থাকলি কেন? যা, বাইরে গিয়ে কান ধর গে’।”
রিকের পা চলতে চায় না। সে চোর, তাও সহ্য হচ্ছিল। কিন্তু তার মাকে ওরা চোর বলছে! ওর দু-চোখ ফেটে জল আসছে। অতিকষ্টে সে কান্না আটকাল। ক্লাস এইটে পড়ে সে। মা বলে, ক্লাস ফাইভে উঠলেই নাকি সবাই বড়ো হয়ে যায়। আর বড়ো ছেলেদের কাঁদতে নেই। রিক হাতের তেলোয় চোখের জল মুছল। আর সে-সময়ে নজরে পড়ল হাতের স্মার্টওয়াচটার ওপরে। যত নষ্টের গোড়া এটাই। এটার কথা ভাবতে-ভাবতেই বায়োলজির ক্লাসে সে অন্যমনস্ক হয়ে গেছিল। আর অন্যমনস্ক হবে নাই-বা কেন! আজ স্কুলে আসার পথে এমন ঝাঁ-চকচকে জিনিসটা রাস্তায় পড়ে ছিল। তাও আবার ওদের বস্তির মতো জায়গায়। দেখেই বুঝেছিল জিনিসটা অনেক দামি হবে। এর আগে স্কুলের কয়েকজন বন্ধু, বড়ো ক্লাসের দাদাদের হাতে দেখেছে জিনিসটা। এটা নাকি শুধু সময় দেখায় তা নয়, চাইলে মোবাইলে কল এলে সেটাও ধরা যায়, হৃৎস্পন্দন, রক্তের চাপও মাপা হয়। সবই বন্ধুদের মুখে শোনা। এহেন জিনিসটা একটু ছোঁয়ার ইচ্ছে বহুদিন ধরেই ছিল। তাই আজ যখন সেই আকাশের চাঁদ মাটিতে ধরা দিল, রিক আর নিজেকে আটকাতে পারেনি। জিনিসটা সোজা ছোঁ মেরে তুলে নিয়েছে। তারপর একটু এদিক-ওদিক দেখে ঘড়িটা পরেও নিয়েছে। মাঝখানে বেশ কয়েকবার স্মার্টওয়াচটার গায়ে হাত বুলিয়েছে, পাশের বোতামগুলো টিপেছে। কিন্তু ঘড়িটা শুধু ভোঁ ভোঁ করে ভাইব্রেট করে থেমে গেছে। না হৃৎস্পন্দন মাপতে পেরেছে, না রক্তচাপ। ঘড়িটা কি নষ্ট? হয়তো সেই জন্যই কেউ জিনিসটা ফেলে দিয়েছে। স্ক্রিনটা পর্যন্ত অন হয় না। শুধু মাঝে মাঝে দু-তিনবার ভাইব্রেট করে। তার মানে একেবারে ডেডও হয়নি। রিক ভেবে রেখেছিল ক্লাস শেষ হলেই ঘড়িটাকে চার্জ দেবে। চার্জারের ফুটো দেখেই বুঝেছে মোবাইলের চার্জার দিয়েই হয়ে যাবে। কিন্তু এখন ঘড়িটাকে ওর ছুড়ে মারতে ইচ্ছে করছে। এই নষ্ট ঘড়িটার জন্যই আজ নিজের আর মায়ের নামে এত অপমান শুনতে হল। গোটা ক্লাসের কাছে টিটকিরি আর হাসির পাত্র হয়ে গেল।
রিক হাতের তেলোয় আর এক ফোঁটা চোখের জল মুছতে গেল। কিন্তু সেটা মোছার আগেই জলের ফোঁটাটা পড়ল ঘড়িটার ওপরে। আর সঙ্গে সঙ্গে ঘড়িটা খুব জোরে জোরে ভোঁ ভোঁ করে কেঁপে উঠল। কম্পনটা এত জোরে হল যে রিকের মনে হল পায়ের তলার মাটি কেঁপে উঠল।
‘ভূমিকম্প, ভূমিকম্প’ বলে সব ক্লাস-রুম থেকে হুড়মুড়িয়ে ছাত্ররা বেরিয়ে আসতে লাগল। একটা দক্ষযজ্ঞ লেগে গেল। কে আগে বেরোবে সেই হুড়োহুড়িতে আরও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হল। ততক্ষণে রিক দেখতে পেল ওর চারপাশের মাটি ফেটে গেছে। ওর হাতের ঘড়িটা আর একবার খুব জোরে ভোঁ করে ভাইব্রেট করল। আর সঙ্গে-সঙ্গেই ওকে সুদ্ধ ওর চারপাশের মাটি ধসে পড়ল কয়েক হাজার ফিট নীচে। সেই অতল কালো গহ্বরে পড়ার আগে এক ঝলকের জন্য রিক দেখতে পেল, ঘড়ির স্ক্রিনটা জ্বলে উঠেছে আর টিভিতে দেখা রোবটের মতো একটা মুখ যেন তাতে ভেসে উঠেছে। মুখটা ওর খুব চেনা চেনা মনে হল। জ্ঞান হারাবার আগে এটুকু বুঝল, মুখটা ওর খুব পরিচিত আপনজনের। কিন্তু কার? তারপরে ওর আর কিছু মনে নেই।
যখন জ্ঞান ফিরল, দেখে বড়ো একটা আলোকিত জায়গায় শুয়ে আছে সে। চারপাশে বড়ো বড়ো নানারকম যন্ত্র। সেগুলোতে লাল-নীল নানারকম সুইচ। সে উঠে বসার চেষ্টা করতেই একটা ধূসর রঙের রোবট এগিয়ে এল। একদম মানুষের মতোই হেঁটে এল। এতটুকু অস্বাভাবিকতা নেই। সে তো কতবার টিভিতে দেখেছে খেলনা রোবট। কতবার বন্ধুদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেছে। কিন্তু সেগুলোর হাঁটাচলা, কাজকর্ম সবই যান্ত্রিক। অথচ যে রোবটটা এখন তার মুখের উপর ঝুঁকে আছে, সেটার তাকানোটা পর্যন্ত একদম মানুষের মতো। দেখে মনে হবে কোনও মানুষ রোবটের পোশাক পরে আছে। তবু কিছু একটার কমতি তো আছেই রোবটটার মধ্যে। না-হলে রিকের কেন মনে হল, এটা রোবটই, কোনও মানুষ নয়? শুধু মানুষের মতো অবিকল হাঁটাচলা, ভাবভঙ্গি। রিক আর একটু ভালো করে রোবটটাকে দেখতে চাইল, কিন্তু চোখের ওপর এমন হাজার ওয়াটের আলো জ্বালিয়ে রাখলে চোখে ধাঁধা লেগে যায়।
রোবটটা যান্ত্রিক স্বরে বলে উঠল, “রি-২২৩, তুমি ঠিক আছ?”
রিক একটু ভাবল, ‘রি-২২৩’-টা আবার কে? রোবটটা তো তার দিকে তাকিয়েই জিজ্ঞেস করছে। তবে কি এটা ওর নাম? এমন বিদঘুটে নাম তো বাপের জন্মে শোনেনি। এই রোবটও সে আগে কখনও দেখেনি। অথচ রোবটটার ভাবভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে রোবটটা তাকে চেনে। শুধু চেনেই না, এই নামে সে বরাবরই তাকে ডাকে। রিকের মাথাটা একটু আউলে গেল। ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা সে মনে করার চেষ্টা করল। স্কুলে কান ধরে দাঁড়িয়ে ছিল, সে-সময় ভূমিকম্পে মাটিতে ধস নেমে সে মাটির অনেক নীচে পড়ে গেছিল। সেখান থেকে এখানে কীভাবে এল তা ওর বোধগম্য হল না।
রিককে চুপ করে থাকতে দেখে রোবটটা আবার বলে উঠল, “রি-২২৩, তুমি কি কিছুই মনে করতে পারছ না? আমাকে কি চিনতে পারছ না?”
রিক না-সূচক মাথা নাড়াল।
রোবটটা তার যান্ত্রিক স্বর পালটে একদম মানুষের মতো গলায় বলে উঠল, “রি-২২৩, আমাদের এই রোবট জগতের নিয়ম অনুসারে তোমাকে যে তথ্যগুলো দিতে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ তা হল:
১) এই নিয়ে তুমি ১০৩৬ বার মানুষের রাজ্য থেকে ঘুরে এসেছ।
২) প্রত্যেকবারই তুমি তোমার রোবট সত্তাকে ভুলে গেছ এবং মানুষের মতো আচার আচরণ করেছ।
৩) আমাদের রোবট দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ ও প্রায় নিখুঁত রোবটটা হলে তুমি।
৪) তোমার আইপি অ্যাড্রেস হল ৩৪৫ঙ৪ৎড়৬ঔ।”
রিক হাঁ করে শুনছিল। এসব কী বলছে রোবটটা! মাথা নেই, মুণ্ডু নেই। সে কেন, কখন, কীভাবে ১০৩৬ বার মানুষের রাজ্যে যাবে? আর কেনই-বা রোবট হতে যাবে? সে তো রক্তমাংসের মানুষ যার সুখ আছে, দুঃখ আছে, অপমানবোধ আছে।
রিক চেঁচিয়ে উঠল, “চুপ করো! সব মিথ্যে। আমি মার কাছে যাব। ভূমিকম্পের খবর শুনে মা নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তা করছে। আমাকে বাড়ি ফিরতে হবে।”
রোবটটা আবার যান্ত্রিক স্বরে বলে উঠল, “রি-২২৩, তুমি আবার নিজেকে মানুষ ভাবছ। শোনো, রোবটের কোনও বাবা-মা নেই। রোবটের সুখ, দুঃখ কিছুর অনুভূতি থাকে না। তোমার স্মৃতি আমি নষ্ট করে দিচ্ছি।”
রোবটটার একটা হাত ওর মাথার কাছে নেমে এল। রিক তড়াক করে নিজেকে সরিয়ে নিল। এখান থেকে তাকে পালাতে হবে। যে-করেই হোক মার কাছে ফিরতে হবে। মা তাকে দেখতে না পেলে দুশ্চিন্তা করবে, কাঁদবে।
ওর পিছন পিছন রোবটটাও দৌড়তে শুরু করেছে। বড়ো বড়ো পা ফেলে তার দিকে এগিয়ে আসছে। রিক বুঝল, এভাবে দৌড়ে লাভ নেই। তাকে লুকিয়ে পড়তে হবে। কিছু দূর যেতেই সামনে একটা দরজা দেখতে পেল সে। কোনও কিছু ভাবনা-চিন্তা না করেই দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিল। ও-পাশ থেকে রোবটটা দরজায় বারে বারে ঘা দিতে লাগল।
রিক এতটা দৌড়ে হাঁপিয়ে গিয়েছিল। এবার একটু দম নিল। ঘরটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। চোখটা একটু সয়ে আসতেই দেখতে পেল এদিকে সেদিকে নানা রোবট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। রিক দেখেই বুঝল এগুলো সব নষ্ট রোবট। খারাপ হয়ে গেলে এখানে ফেলে দেয়। রিক হাঁটতে লাগল। জায়গায় জায়গায় রোবটের যন্ত্রাংশ স্তূপ করে জড়ো করা। রিক বুঝতে পারল না এখান থেকে সে কী উপায়ে বের হবে আর কীভাবেই-বা মার কাছে ফেরত যাবে। ওর কান্না পেল খুব। হঠাৎ ওর মনে হল, কেউ যেন ওকে ঘাড়ে স্পর্শ করছে। রিক চমকে উঠে দেখল, একটা গোলাপি রঙয়ের রোবট। ওর মনে পড়ল, ধসে নীচে পড়ার আগে স্মার্টওয়াচের স্ক্রিনে যে রোবটের মুখটা দেখেছিল, সেটাই এটা। একটা চেনা চেনা মুখ। কার যেন মুখের মতো দেখতে ভাবতে ভাবতে ওর বিদ্যুৎ ঝলকের মতো মনে পড়ল, আরে! এটা তো মায়ের মতো দেখতে। কী আশ্চর্য!
হঠাৎ গোলাপি রোবটটা বলে উঠল, “এখান থেকে বেরোনোর রাস্তা একটাই। যেভাবে এসেছ, সেভাবেই ফেরত যেতে হবে।”
রিক ভাবল, সে তো এই রোবটকে কিছুই বলেনি। তবে এই রোবটটা তার মনের কথা জানল কী করে!
গোলাপি রোবটটা মানুষের গলায় বলে উঠল। “মায়েরা এমনিই হয়। তারা এমনিতেই সন্তানের মন বোঝে।”
রিক একটু চমকাল। এ তো রোবট, মা নয়। রিকের সবকিছুই এলোমেলো লাগল। কোনটা যে রোবট আর কোনটা যে মানুষ, সেটাও যেন ঠিক বুঝতে পারছে না। তবু রিকের মার জন্য বুকটা আর একবার আনচান করে উঠল। এক ফোঁটা জল চোখের কোনা বেয়ে গড়িয়ে এল। গোলাপি রোবটটা চট করে রিকের স্মার্টওয়াচটা নীচে ধরল। ফোঁটাটা সেখানে পড়তেই ঘড়িটা ভোঁ ভোঁ করে তীব্রভাবে কাঁপতে শুরু করল আবার। আর রিক কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটা জোরে ভূমিকম্প হল আর দেখে সে শুয়ে আছে মায়ের কোলে মাথা রেখে। ওর খুব ক্লান্ত লাগছে এবারে। তবু যেন শান্তি। ঘুমে দু-চোখ বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে সে শুনতে পেল তার মা খুব আস্তে ঠোঁট নেড়ে বলছে, “রোবট নং রি-২২৩ আরও একবার মানুষের দুনিয়ায় এসেছে মানুষের আকুলতা ও ভালোবাসার অনুভূতি নিয়ে। এটা তার ১০৩৭তম যাত্রা। যাত্রা ও অভিজ্ঞতা শুভ হোক।”
কিশোর ঘোষাল ▪ পুষ্পেন মণ্ডল ▪ রঞ্জন দাশগুপ্ত ▪ শাশ্বত কর
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য ▪ মৌসুমী রায় ▪ অদিতি ভট্টাচার্য ▪ অভিষেক ঘোষ ▪ সুস্মিতা কুণ্ডু ▪ সবিতা বিশ্বাস ▪ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪ শংকর লাল সরকার ▪ বাণীব্রত গোস্বামী ▪ সহেলী রায় ▪ অমিয় আদক ▪ সিদ্ধার্থ দাশগুপ্ত ▪ সুতপা সোহহং
বদ্রীনাথ পাল ▪ শ্যামাচরণ কর্মকার ▪ দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী ▪ স্বপন কুমার বিজলী ▪ সুব্রত দাস ▪ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪ মধুমিতা ভট্টাচার্য ▪ কণিকা দাস ▪ সৌমেন দাস ▪ নীলেশ নন্দী
রম্যাণী গোস্বামী ▪ দীপঙ্কর চৌধুরী ▪ বিশ্বদীপ সেনশর্মা ▪ রণিত ভৌমিক
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ অরিন্দম দেবনাথ ▪ গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় ▪ কমলবিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪ সুশান্ত কুমার রায় ▪ ড. উৎপল অধিকারী
অলংকরণ
মায়াসখা নন্দী ▪ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ▪ একপর্ণিকা ক্রিয়েটিভস
বহু কলমের গল্পে, প্রবন্ধে, সত্যি ঘটনায়, তথ্যে, গ্রাফিক নভেলে প্রাইমেটদের হাজারো কাণ্ড।
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্যের অসামান্য লেখায় ও আঁকায় কিশোর গল্প সংকলন।