লোককাহিনি
15% OFF * FREE SHIPPING
লোককাহিনি
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়
একদিন ছিল, যখন জঙ্গলে সব পশু মিলেমিশে একসঙ্গে বাস করত। তাদের মধ্যে সখ্য ছিল, পরস্পরের মধ্যে ছিল বোঝাপড়া, ছিল একে অন্যের প্রতি সহানুভূতি। কিন্তু একদিন সেই বন্ধুত্বে ছেদ পড়ল চিরতরে। এর আগে শুধু পেট ভরাতে যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটাই শিকার ধরত সব প্রাণীরা। কিন্তু কেউ কাউকে হিংসে করত না।
একটা দিন সবকিছু বদলে দিল। সেদিন আকাশ থেকে বাজ পড়ে জঙ্গলে লাগল আগুন। তখন গরমকাল। গাছের ডালপালা ছিল শুকনো। ভীষণ গরমে আগুন লেগে দাউদাউ করে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ল জঙ্গলের এককোণ থেকে আর এককোণে। পশুরা সব ভয়ে পালাতে লাগল আগুন দেখে। আগুন নেভানোর উপায় তাদের জানা ছিল না। পালিয়ে প্রাণ বাঁচানো ছাড়া আর কোনও পথ খোলা ছিল না তাদের। পালাতে পালাতে সবাই জড়ো হল নদীর ধারে। বিশাল সেই নদী। যদিও গরমে সেই নদীতে জলের স্রোত ছিল কম। কিন্তু নদীর অপর দিকে আগুন যে পার হতে পারবে না, সেটা সবাই ঠিক বুঝে গিয়েছিল। সবাই নদী পার হতে চাইল।
সব পশুরা নদীতে সাঁতরাতে পারে না, কেউ কেউ পারে। সিংহ, হাতি, চিতা, কুকুর—এরা সবাই সাঁতার কাটতে পারে। কিন্তু বাঁদর, শজারু, খরগোশরা জলে নামতে ভয় পায়, সাঁতার তো দূরের কথা। যারা সাঁতার জানে না, তারা যারা সাঁতার জানে, তাদের পায়ে পড়ে কান্নাকাটি করতে লাগল পিঠে করে নদী পার করে দেবার জন্য। মরণ যখন শিয়রে দাঁড়িয়ে, তখন প্রাণ বাঁচানোই একমাত্র তাগিদ হয়ে ওঠে। বড়ো বড়ো যেসব প্রাণী সাঁতার জানত, তারা নিজেদের পিঠে চাপিয়ে নিল ছোটো ছোটো প্রাণীদের। এমনকি যে বাঁদরদের বাঁদরামোর জন্য কেউ তাদের দু-চক্ষে দেখতে পারে না, বিপদের সময় তারাও বিনা বাধায় চড়ে বসল হাতি, সিংহ আর চিতার পিঠে। একে একে বড়ো বড়ো প্রাণীরা নদী পার হতে লাগল সন্তর্পণে।
কিন্তু এক খরগোশকে কেউ পিঠে চাপাতে রাজি হল না। নদীর ধার দিয়ে খরগোশ দৌড়ে দৌড়ে এক-একজনের কাছে যায়, আর মিনতি করে তাকে পিঠে বসিয়ে নেবার জন্য। হাতির কাছে যেতেই খরগোশকে দেখে সে বিশ্রীভাবে খেঁকিয়ে উঠল—“যা ভাগ, অল্পপেয়ে কোথাকার! সবসময় তোর মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি ঘোরে, কারও ভালো দেখতে পারিস না। একা একা থাকিস। তুই কার কোন উপকারে লাগবি? পুড়ে মর গে যা।”
মনের দুঃখে খরগোশ কুকুরের কাছে এসে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলে, “ভাই, তুমি আমাকে ফেলে রেখে যেও না। বাঁচাও ভাই। তোমার উপকারে আসব, দেখে নিও।”
কুকুরের পিঠে বসে বাঁদর তখন লেজ দিয়ে তার গায়ে সুড়সুড়ি দিচ্ছে। সে খেঁকিয়ে উঠতেই কুকুর খরগোশকে দেখতে পেয়ে তার দিকে ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে গিয়ে বলল, “আমার বাসার সব খাবার চুরি করে খেয়ে যাস রোজ! লজ্জা করে না? জঙ্গলের আগুন থেকে দেখি কে বাঁচায় তোকে। যা, আমাদের যেতে দে এখন।”
বাঁদর কুকুরের কথা শুনে ফ্যাসফ্যাস করে হাসতে হাসতে বলে, “দোস্ত, পা চালাও। এই আহাম্মকটার সঙ্গে কথা বাড়ালে আমাদেরই বিপদ বাড়বে।”
কুকুর এক লাফে জলে ঝাঁপ দেয়। বাঁদর শক্ত করে কুকুরের দুই কান চেপে ধরে এমন ভাব করে, যেন সেই-ই চালনা করছে কুকুরকে। খরগোশ অগত্যা হাতির কাছে যায়। হাতির বিশাল পিঠের উপর তখন গাদা গাদা নানাধরনের প্রাণী জায়গা দখল করেছে। খরগোশ কাছে গিয়ে কান্না জুড়তেই হাতি শুঁড় দিয়ে এক ঝটকায় তাকে সরিয়ে দিয়ে নেমে যায় জলে। খরগোশ আবার ছোটে বাহকের খোঁজে। কিন্তু একে একে চিতা, হরিণ, জেব্রা—সবাই তাকে ফিরিয়ে দেয়।
জঙ্গলের আগুন বাড়তে থাকে। গাছের ডালে আগুন ধরে মড়মড় শব্দে সব ভেঙে পড়ে। আগুনের তাপে নদীর ধারে দাঁড়ানো দায়। খরগোশ দিশেহারা হয়ে নদীর পাড় ধরে আবার ছুটতে থাকে ছোটো ছোটো চার পায়ে। হঠাৎ তার নজরে পড়ে একটা ছোট্ট নৌকো। নদীর পাড়ে সেটা বাঁধা দড়ি দিয়ে। আর কোনও উপায়ন্তর নেই। প্রাণ বাঁচাতে সেই নৌকোয় ঝাঁপিয়ে পড়ে খরগোশ। একবার চেষ্টা করে দাঁত দিয়ে দড়ি কেটে জলে নৌকো ভাসাতে। কিন্তু দড়িটা এত মজবুত, দাঁতে কাটতে অনেক সময় লেগে যাবে। ততক্ষণে নদীর ধারের গাছে আগুন প্রায় ধরে যায় আর কি! খরগোশ প্রাণ ভয়ে নৌকোর খলুইয়ের মধ্যে নিজেকে সেঁধিয়ে দিয়ে তিরতির করে কাঁপতে থাকে। নদীর জলে ঝুঁকে পড়া গাছটাই তখনও আগুনের হাত থেকে বাঁচতে চাইছে যেন। কিন্তু কতক্ষণ আর? খরগোশ চোখ বন্ধ করে। আর তখুনি একজোড়া নারীপুরুষ দুড়দাড়িয়ে নৌকোতে উঠে পড়ে।
তারা নৌকোর দড়ি খুলে দিতে নৌকো নদীর জলে ভাসে। পুরুষটি নৌকো বায়। নারীটি কাঁদতে কাঁদতে বলে, “বাড়িঘর সব পুড়ে শেষ। এবার কোথায় গিয়ে ঘর বাঁধব?”
পুরুষ দাঁড় টানতে টানতে বলে, “চিন্তা করিস না। প্রাণে তো বেঁচে গেলাম। প্রতিবেশীদের জানি না কী হল। তারা বোধহয় এতক্ষণে...”
নদীর অন্য পাড়ে নৌকো থামতেই এক লাফে জঙ্গলে হারিয়ে যায় খরগোশ।
বেশ কিছুদিন কেটে যায়। জঙ্গলের পশুরা আবার নতুন করে বাসা খুঁজে নিয়ে গুছিয়ে ঘরকন্না করতে থাকে। তবে মাঝে-মধ্যে নদীর পাড়ে এসে তারা অপর পাড়ে তাদের পুড়ে যাওয়া বহুকালের বাসার কথা ভেবে দু-ফোঁটা চোখের জল ফেলে যেত বিমর্ষ হয়ে। তবে সবাই শোকদুঃখই সবাই ভুলে যায় একদিন। দৈনন্দিন কাজের মধ্যে আস্তে আস্তে হারিয়ে যায় দুঃখের স্মৃতি।
কিছুদিন পর নিস্তরঙ্গ নিরুপদ্রব জীবন ভালো লাগল না খরগোশের। সে একদিন সিংহের নতুন গুহার কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, “কেমন দিন কাটছে চাচা? নতুন বাসায় অসুবিধা হচ্ছে না তো?”
সিংহ হেসে বলে, “খোঁজ করতে এসেছ বাছা, সে ভালো কথা। তা মন্দ লাগছে না এখানে। তবে পুরোনো গুহাটাতে সব সাজানো গোছানো ছিল, এখানে ঠিকমতো ঘুম আসে না।”
“অগোছালো তো হবেই। এই তো সেদিন বাদাম কুড়োতে এসে দেখি, হাতিখুড়ো তোমার বাসায় ঢুকে সব তছনছ করছে। মাংস তো আর সে খায় না। জানি না বাপু কীসের আক্রোশ!”
মুখ ঘুরিয়ে চোখ পিটপিট করে হাসে খরগোশ, কিন্তু সিংহের সেদিকে নজর পড়ে না। সে গর্জে ওঠে—“আচ্ছা! এই ব্যাপার? তাই তো ভাবি, শিকার করে ফিরে এসে ঘরদোর দেখি কেমন অগোছালো। দাঁড়াও, হচ্ছে ওর। বের করছি ওর মোটা শরীরের তেল। জানে তো না, সিংহের দাঁত গলায় ফুটে গেলে যম পর্যন্ত ওকে বাঁচাতে পারবে না।”
কাজ সারা হয়েছে বুঝে খরগোশ সেখান থেকে ছুটে যায় হাতিকে খুঁজতে। হাতি একটা বিশাল গাছের তলায় দাঁড়িয়ে শুঁড় দিয়ে জড়িয়ে মুখে একগাদা পাতা পুরে খাওয়ার জোগাড় করছিল। খরগোশকে দেখে থেমে গিয়ে সে বলে, “কী ব্যাপার, তুমি এখানে? ও-পাড় থেকে কে তোমায় বাঁচাল আগুন থেকে?”
খরগোশ হাতির কথা পাত্তা না দিয়ে বলল, “সে-সব ছাড়ো খুড়ো। একা একা খারাপ দিন কাটছে নিশ্চয়ই তোমার?”
খরগোশের কথায় ভুলে বোকা হাতি বলে, “খারাপ কাটবে কেন? এখানে ডালপালার কোনও অভাব তো নেই। দু-বেলা পেট ভরে খেয়েদেয়ে খুব ভালো আছি হে। গাছপালা খেয়ে এসে এই গাছের নীচেই লম্বা ঘুম দিই।”
“আচ্ছা, তাই সেদিন রাস্তায় দেখা হতে চিতা বলল সে নাকি জুতসই গাছ পাচ্ছে না, যার ডালে উঠে সে নিশ্চিন্তে ঘুম দেবে। আসলে সে নাকি এই বড়ো গাছের উপর একদিন ভোরবেলা শুতে এসেছিল। বলে, ঘুমনোর জো আছে? গাছের নীচে হাতিটা যা জোরে নাক ডাকাচ্ছিল! এই গাছটাই তার আবার পছন্দ। আহা, না ঘুমিয়ে বেচারার লাল চোখ-বেগুনি হয়ে গেছে। যাই আমি এবার, অনেক কাজ পড়ে আছে।”
এই বলে দৌড় দেয় খরগোশ। গোবদা হাতি তখন রেগে গিয়ে শুঁড় দিয়ে গরম গরম নিশ্বাস ফেলছে জোরে জোরে। খরগোশ দৌড়োয় চিতাকে তাতাতে। হাতি তখন রাগের চোটে পারলে বিশাল গাছটাকেই পারলে উপড়ে ফেলে।
চিতার দেখা পেতেই খরগোশ জিজ্ঞেস করে, “চিতাভাই, কেমন আছেন? সব ঠিক তো? একটু খোঁজখবর করতে এলাম।”
চিতা বলে, “আছি তো ভালোই, কিন্তু এদিকে তেমন শিকার পাই না। জঙ্গলটাও নতুন। শিকারের চেনা জায়গাটা হারিয়ে গেল। একটু সময় লাগবে সব খুঁজে নিতে। তা তুমি কী করে নদী পার হলে ভায়া?”
“সব ঠাকুরের কৃপা, আপনার আশীর্বাদ—হে হে। তা শিকার পাবেন কী করে? কুকুর নাকি সব হরিণ-টরিন তাড়িয়ে দিচ্ছে এই তল্লাট থেকে! শুনে এলাম সিংহচাচার মুখে। সে বলে, কুকুর নাকি বড়ো শিকার ধরতে পারে না, তাই আপনাকে হিংসে করে। পিছনে লাগা আর কি! ভাববেন না ভাই, ও ঠিক উচিত শিক্ষা পাবে। হিংসের ফল ভালো হয় না।”
চিতা রেগে গিয়ে ভয়ংকর দাঁত বার করে গজরাতে গজরাতে বলে, “চিন্তা করিস না। দেখে নে শুধু, কেমন উচিত শিক্ষা হাতেনাতে তাকে আমি দিই!”
এই বলে চিতা লম্বা ঠ্যাং ফেলে বিদ্যুৎগতিতে কুকুরের গায়ের গন্ধ শুঁকে তাকে তাড়া করতে ছোটে। খরগোশ ঝোপের মধ্যে দিয়ে লাফাতে লাফাতে চুপিসারে হাতির গাছের নীচে এসে দেখে হাতি আর সিংহে তুমুল লড়াই চলছে। একটা বড়ো কচুগাছের পিছনে লুকিয়ে খরগোশ দেখে সিংহ হাতির গলায় দাঁত বসাতে চাইছে, আর হাতি শুঁড়ে পেঁচিয়ে ওকে শূন্যে তুলে আছাড় মারার জোগাড় করছে। ভয়ানক দৃশ্য দেখার আগে সেখান থেকে চুপ করে সরে পড়ে খরগোশ। চোখে পড়ে, নদীর ধারে কুকুরের পিছনে তাড়া করেছে চিতা।
সবার মধ্যে লড়াই বাধিয়ে মনের আনন্দে জঙ্গলের আর এক প্রান্তে চলে যায় খরগোশ। সেইদিন থেকে জঙ্গলের পশুদের মধ্যে আর সখ্য দেখেনি কেউ।
উত্তরমেরুর দুর্গম তুষার-মরুতে জীবন যুদ্ধে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে লোকমুখে গড়ে উঠেছিল নানা রূপকথা। মেরু অঞ্চলের অধিবাসীরা পৃথিবীর বাকি অংশ থেকে ছিল বিচ্ছিন্ন। সম্পূর্ণ অচেনা সেই দেশের লোকসংস্কৃতি, আচার ব্যবহার, মনস্তত্ত্বের সাক্ষ্য রেখে গেছে এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্মে বাহিত গল্প-গাথা, যার রূপরেখা ফুটে উঠেছে কুড়িটি লোককাহিনির সংকলন 'তুষারদেশের রূপকথারা' বইটিতে।
কুড়ি জন দিকপাল বিজ্ঞানীর অসাধারণ কর্মকাণ্ড আর জীবনের গল্প। যে বিজ্ঞানীদের হাত ধরে সভ্যতা এগিয়ে গিয়েছে, কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাসের ঢাকনা খুলে অনাবৃত হয়েছে বিজ্ঞানের সৌন্দর্য, যাঁদের আপসহীন জীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বিজ্ঞানের জয়ধ্বজা উড়েছে, তাঁদের জীবনের অন্যান্য দিকগুলোও তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে।
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪️ অংশু পাণিগ্রাহী ▪️ রম্যাণী গোস্বামী ▪️ অরিন্দম দেবনাথ ▪️ সুব্রত দাস ▪️ বাণীব্রত গোস্বামী ▪️ এণাক্ষী কয়াল মণ্ডল ▪️ কিশোর ঘোষাল ▪️ মঞ্জুশ্রী ভাদুড়ি ▪️ সায়ন্তনী পলমল ঘোষ ▪️ সংঘমিত্রা রায়
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ অমিত চট্টোপাধ্যায় ▪️ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪️ বদ্রীনাথ পাল ▪️ স্বপনকুমার বিজলী ▪️ বসন্ত পরামাণিক ▪️ মলয় সরকার ▪️ মানস চক্রবর্তী ▪️ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪️ নীলেশ নন্দী ▪️ পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ রানা জামান ▪️ রূপসা ব্যানার্জী ▪️ সজল বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ শক্তিপদ পণ্ডিত ▪️ সৌমেন দাস ▪️ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪️ সুমিত্রা পাল ▪️ তাপস বাগ ▪️ আলমগীর কবির ▪️ রমিত চট্টোপাধ্যায়
বুমা ব্যানার্জী দাস ▪️ মেঘনা নাথ ▪️ শাশ্বত কর ▪️ সুমন সেন ▪️ রণিত ভৌমিক
অরিন্দম ঘোষ ▪️ অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ রাখি পুরকায়স্থ
কেয়া চ্যাটার্জী ▪️ দীপক দাস ▪️ ড. উৎপল অধিকারী ▪️ সুদীপ ঘোষাল
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ
বিশ্বদীপ পাল ▪️ অঙ্কিতা নন্দী ▪️ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪️ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪️ পুণ্ডরীক গুপ্ত ▪️ স্রবন্তী চট্টোপাধ্যায় ▪️ প্রবাহনীল দাস ▪️ সায়ন্তনী পলমল ঘোষ ▪️ সুমন দাস ▪️ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী