না-মানুষের পাঁচালি
15% OFF * FREE SHIPPING
না-মানুষের পাঁচালি
যূথিকা আচার্য্য
কল্পবিজ্ঞানের বহু গল্পে আমরা পড়েছি মানুষের অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ঘটনা। এমনকি তোমাদের মধ্যে যারা জে. কে. রাওলিং-এর লেখা ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড প্রিজনার অফ আজকাবান’ বইটি পড়েছ, তারাও জানো যে invisibility cloak-এর সাহায্যে হ্যারি ও তার বন্ধুরা একের পর এক কত আসাধ্যসাধন করেছিল। ব্যাপারটা কিন্তু দারুণ মজার। জাদুকরের এই ছিল, এই নেই গোছের খেলার মতো। তবে এর চাইতেও বেশি আশ্চর্যের ব্যাপার হল এই যে নিজের পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে মিশে গিয়ে অদৃশ্য হওয়ার বিদ্যে নিয়ে মানুষ এখনও নাকানিচোবানি খেলেও প্রকৃতির অসংখ্য দক্ষ জাদুকরেরা কিন্তু এই ব্যাপারে একদম যাকে বলে ভানুমতীর খেল দেখাতে পারে। অদৃশ্য হওয়া ছাড়াও ইচ্ছেমতো গায়ের রঙ বদলে ফেলতে পারে তারা, এমনকি প্রয়োজনে অন্য পশু বা বস্তুর মতো রূপ ধারণ করতেও তারা পিছপা হয় না।
বেঁচে থাকা বা আত্মরক্ষার জন্য এই লুকোচুরি বা ভোল বদলের ব্যাপারটাকেই বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ক্যামোফ্লাজ।
জীবজন্তুদের মধ্যে আবার অ্যাক্টিভ আর ইন্যাক্টিভ—এই দুই রকমের ক্যামোফ্লাজ দেখা যায়।
অ্যাক্টিভ (active) মানে যেখানে ইচ্ছেমতো গায়ের রঙ পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে তারা গা-ঢাকা দেয়। যেমন অক্টোপাসকেই দেখো না। ছদ্মবেশ ধারণ করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। এদের চামড়ার মধ্যে থাকে বায়োক্রোম নামের অতিক্ষুদ্র রঙের পিগমেন্ট। প্রয়োজনমতো নিজেদের ত্বকের উপর এই রঙের পিগমেন্ট বা কণিকাগুলোকে মিলিয়ে মিশিয়ে তারা সবুজ, বেগুনি, গোলাপি, লাল, কমলার মতো অসংখ্য রঙ তৈরি করে পরিবেশের সঙ্গে মিলেমিশে যায়।
আবার দেখো প্যাসিফিক আর আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে পাওয়া যায় পিকক ফ্লাউন্ডার (peacock flounder) নামের একরকমের চ্যাপটা মাছ। অক্টোপাসের মতো এরাও নিজের আশেপাশের পরিবেশের সঙ্গে মিলেমিশে নিজেদের গা-ঢাকা দিতে বড়ো ওস্তাদ।
এমনকি এ ব্যাপারে স্তন্যপায়ী প্রাণীরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। আর্কটিক বা সুমেরু অঞ্চলের শেয়াল এবং খরগোশদের দেখা গেছে যে শীতকালে আশেপাশের বরফের সঙ্গে মিলিয়ে এদের পশমের রঙ হয় ধবধবে সাদা। আবার গরমের সময় সবুজ গাছ আর মাটির মধ্যে যাতে তারা লুকিয়ে থাকতে পারে সেজন্য তাদের পশমের রঙ হয়ে যায় কালচে খয়েরি।
এবার তোমরা নিশ্চয় বলবে যে অক্টোপাস আর ময়ূর মাছের কথাই যখন বললাম তখন আমাদের গিরগিটিমশাইয়ের নামই-বা বাদ যায় কেন। ইচ্ছেমতো রঙ বদল করার ব্যাপারে তো তাঁরাও কিছু কম যান না। তবে ব্যাপারটা হল এই যে, সরীসৃপ গোত্রের প্রাণীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে সেক্ষেত্রে আত্মরক্ষা নয় বরং নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করাটাই সেখানে রঙ বদলের মূল উদ্দেশ্য। যেমন মনে করো, রেগে গেলে হয়তো এক শ্রেণির গিরগিটি গায়ের রঙ হবে টকটকে লাল। আবার বান্ধবীকে ‘কী গো সুন্দরী, কেমন আছো’ বলার সময় তাদের গায়ের রঙ হতে পারে মোলায়েম সবুজ বা মিষ্টি গোলাপি গোছের অন্য কিছু। সবটাই নির্ভর করছে তাদের মেজাজ-মর্জির উপরে। তাই গিরগিটি এবং তার ভাইবোনদের রঙ বদলটাকে ঠিক ক্যামোফ্লাজ বলা যায় না।
এবার চল ইন-অ্যাক্টিভ (inactive) ক্যামোফ্লাজ, অর্থাৎ যেসব পশুপাখিরা ইচ্ছেমতো রঙবদল না করেও মানানসই পরিবেশে নিজেকে লুকিয়ে রাখে তাদের দিকে দেখা যাক।
ক্যাঙ্গারু, কাঠিপোকা, গঙ্গাফড়িং, প্রজাপতি এরা সবাই অনিচ্ছুক ক্যামোফ্লাজের উদাহরণ। অদৃশ্য করার কাজটা এখানে প্রকৃতি মা নিজেই করে ফেলেছেন। যে যেখানে থাকে সেখানকার পরিবেশ অনুযায়ী গায়ের রঙ বা শরীরের গঠন তৈরি হয়েছে তাদের।
যেমন মনে করো, ক্যাঙ্গারু থাকে অস্ট্রেলিয়ার শুকনো তৃণভূমিতে। অতএব তাদের গায়ের রঙ হয়েছে শুকনো ঘাসের মতো পাঁশুটে। পোকামাকড় খায় এমন পাখিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য কাঠিপোকার শরীরের গঠন হয়েছে শুকনো কাঠির মতো। খুব কাছ থেকে দেখলেও মনে হয় যে তারা গাছের শরীরের মরা অংশ। মনোযোগ দিয়ে দেখলে তবেই বোঝা যায় যে তারা আসলে জীবন্ত প্রাণী। আমাদের প্রজাপতির এমন রঙবাহারি ডানার পিছনেও তো কারণ ওই একই। ফুটফুটে সুন্দর ফুলের উপর বসে মধু খাওয়ার সময় যাতে তাদের অসুবিধে না হয় সেজন্য প্রকৃতি মা আগে থেকেই ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
আবার অপেক্ষাকৃত নিরীহ জীবজন্তুদের জন্যও রয়েছে অন্য ধরনের ক্যামোফ্লাজ, যেখানে লুকিয়ে থাকা নয় বরং প্রতিপক্ষকে ভয় পাইয়ে দেওয়াই হল মূল উদ্দেশ্য। এইধরনের ক্যামোফ্লাজকে বলা হয় মিমিক্রি।
দেখো, প্রকৃতির নিয়ম হল এই যে বেশিরভাগ বিষাক্ত প্রাণীদের গায়ের রঙ সাধারণত বেশ উজ্জ্বল হয়। উদ্ভিদদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। জঙ্গলের পশুপাখিরাও এই ব্যাপারটা জানে। তাই তারা এইধরনের প্রাণী বা উদ্ভিদদের এড়িয়ে চলে এবং পারতপক্ষে তাদের ধারেকাছেও ঘেঁষে না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের শত্রুর সংখ্যাও এই কারণে অত্যন্ত কম। জঙ্গলের অন্যান্য পশুপাখিরাও এই ব্যাপারটাকে লক্ষ করে এবং একই কায়দা অনুসরণ করে তারা নিজেরাও শত্রুদের হাত থেকে বাঁচতে চায়। ফলে নির্বিষ এবং নিতান্ত গোবেচারা হলেও তারা বিষাক্ত ও তাদের চাইতে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী প্রাণীর মতো রূপধারণ করতে চায়।
মোনার্ক প্রজাপতির উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা আরও ভালো করে বুঝবে। মোনার্ক প্রজাপতির ডানার রঙ ঝলমলে হলুদ। কিন্তু তাদের খেতে অত্যন্ত বিশ্রী এবং তারা বিষাক্তও বটে। তাদের ছোটোবেলায় অর্থাৎ লার্ভা অবস্থায় তারা মিল্কউইড নামের একটি গাছের রস খায় বলে তাদের শরীরে কার্ডেনোলাইড নামের এই তীব্র বিষটি তৈরি হয়। এই কারণে যারা পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে সেইসব প্রাণীরা মোনার্ক প্রজাপতির বুটিদার হলুদ ও কালো পাখা দেখলেই দূরে পালায়। এই ব্যাপারখানা দেখে অন্য অনেক প্রজাপতি যেমন ভাইসেরয়, কুইন বা পেইন্টেড লেডির মতো বিষাক্ত নয় এমন প্রজাপতিরাও ধীরে ধীরে হাজার হাজার বছর ধরে নিজেদের পাখাকে মোনার্ক প্রজাপতির মতোই রাঙিয়ে তুলেছে। তাদের মতলবখানা এই যে বিষাক্ত মোনার্কের মতো সাজুগুজু করলে পাখি, ব্যাঙ বা গিরগিটির মতো প্রাণীরা তাদের ধারেকাছে ঘেঁষবে না।
এখানে ভয়ংকর বিষাক্ত কোরাল সাপ ও নির্বিষ স্কারলেট কিং সাপের কথাও তোমাদের জানানো উচিত। নইলে ভয়ানক অন্যায় হবে। কোরাল সাপ আর স্কারলেট কিং সাপের গায়ের রঙের মধ্যে এতটাই বেশি মিল রয়েছে যে খুব অভিজ্ঞ চোখে না দেখলে তাদের আলাদা করে চেনা প্রায় অসম্ভব। এই দুটি সাপকে ঠিক করে চেনার জন্য ইংরেজি ভাষায় একটা দিব্যি সুন্দর ছড়াও আছে।
Red touching black, safe for Jack.
Red touching yellow, kill a fellow.
বাংলায় অনুবাদ করলে ছড়াটার অর্থ হবে এইরকম—
লাল যদি ছোঁয় কালো, কোনও চিন্তা নয়।
লালের পাশে হলুদ, মৃত্যু তো নিশ্চয়!
ছড়ার লাইন দুটো পড়ে নীচে সাপ দুটির ছবির দিকে তাকাও, তাহলে পার্থক্যটা পরিষ্কার বুঝতে পারবে।
তোমরা লক্ষ করলে দেখতে পাবে যে মানুষের সব আবিষ্কারের পিছনেই কিন্তু অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন প্রকৃতি মা। পাখিকে দেখে আমরা ওড়ার কথা ভেবেছি। তিমি মাছের চলাফেরা দেখে সাবমেরিনের আইডিয়া এসেছিল বিজ্ঞানীদের মাথায়। হাঁস বা অন্যান্য জলচর প্রাণীদের চ্যাপ্টা ওয়েবড ফুট বা লিপ্তপদ দেখে নৌকোর দাঁড় তৈরি করেছি আমরা। তাহলে ক্যামোফ্লাজের মতো এমন চমৎকার একখানা ব্যাপার দেখে মানুষ যে অনুপ্রাণিত হবে এ তো জানা কথাই। তাই সেই আইডিয়াকে কাজে লাগিয়েই আধুনিক সেনাবাহিনীর সদস্যদের ইউনিফর্ম তৈরি করা হয়। শত্রুপক্ষের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য খাকি রঙের ক্যামোফ্লাজ পোশাকের ব্যবহার পৃথিবীর প্রায় সব সেনাবাহিনীর সদস্যেরা করে থাকেন। পোশাকি ভাষায় সেনাবাহিনীর এই ইউনিফর্মকে বলা হয় কমব্যাট ইউনিফর্ম অর্থাৎ যুদ্ধের পোশাক।
তবে তোমরা কি জানো যে, সেনাবাহিনীর জন্য এই ক্যামোফ্লাজ পোশাকের ব্যবহার শুরু হয়েছিল আমাদের দেশ ভারতবর্ষের মাটিতেই? চলো এই খাকি পোশাকের গল্প শুনিয়েই আজকের মতো ক্যামোফ্লাজ পর্ব শেষ করি।
এইটিনথ সেঞ্চুরি অবধি পৃথিবীর সব সেনাবাহিনীর সদস্যরা উজ্জ্বল লাল, নীল ও সাদা রঙের পোশাক পরত। সে-সব পোশাকের উপর থাকতো ঝকমকে সোনালি বা সাদা রঙের সুতোর কাজ। সেই সময় ভারতের মাটি ছিল তখন ইংরেজ সরকারের অধীনে। ব্রিটিশ সেনাদের যুদ্ধের পোশাক তখন ছিল রক্তরঙা লাল জ্যাকেট ও টুপি এবং ধবধবে সাদা প্যান্ট। সেনাবাহিনীর পোশাকের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়াটাই ছিল তখন মূল উদ্দেশ্য। তারপর ১৮৫০ সালে ভারতবর্ষে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হওয়ার পর ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের সম্পর্কে তাদের মনোভাব পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।
প্রবল পরাক্রমী ভারতীয় বিপ্লবীদের হাতে নাস্তানাবুদ হয়ে ব্রিটিশ সরকার তাদের সেনাবাহিনীর পোশাকের রঙ পরিবর্তন করে। তখন লাল-সাদা রঙ বদলে ধুলোমাটির রঙে রাঙানো হয় ইংরেজ সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম।
ভয় দেখানো নয়, বরং ভয় পেয়ে লুকিয়ে লড়াই করতে পারাই হয়ে দাঁড়ায় তাদের লক্ষ্য। মাটির মতো রঙ হওয়ায় ভারতীয় ভূখণ্ডের সঙ্গে মিলেমিশে লড়াই করতে সুবিধে হত তাদের।
উর্দু ভাষায় ধূলো, মাটি বা ছাই বোঝাতে ‘খাক্’ শব্দের ব্যবহার করা হয়। তাই কালক্রমে ধুলোর রঙে রাঙানো এই মোটা সুতির পোশাকের নাম হয়ে দাঁড়ায় খাকি। পরবর্তীতে পুরো পৃথিবীর অন্যান্য সেনাবাহিনীগুলির সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই রঙ আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা লাভ করে।
ব্যস, আজকে থাকুক এইটুকুই। খুব শিগগিরই আবার দেখা হবে তোমাদের সঙ্গে। দুর্গাপুজো সবাই খুব আনন্দে কাটাও। সায়োনারা, চিয়াও!
ওস্তাদ বহুরূপী অক্টোপাস
সমুদ্রের তলদেশে পিকক ফ্লাউন্ডার মাছ
অস্ট্রেলিয়ার তৃণভূমিতে ক্যাঙ্গারু
গাছের গায়ে কাঠিপোকা
বিষাক্ত মোনার্ক প্রজাপতি
নির্বিষ ভাইসেরয় প্রজাপতি
বিষাক্ত কোরাল সাপের পাশে নির্বিষ স্কারলেট কিং সাপ
অষ্টাদশ শতকে সৈনিকদের ইউনিফর্ম (ফ্রেঞ্চ)
অষ্টাদশ শতকে সৈনিকদের ইউনিফর্ম (ব্রিটিশ)
আধুনিক সেনাবাহিনীর যুদ্ধের পোশাক
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪️ অংশু পাণিগ্রাহী ▪️ রম্যাণী গোস্বামী ▪️ অরিন্দম দেবনাথ ▪️ সুব্রত দাস ▪️ বাণীব্রত গোস্বামী ▪️ এণাক্ষী কয়াল মণ্ডল ▪️ কিশোর ঘোষাল ▪️ মঞ্জুশ্রী ভাদুড়ি ▪️ সায়ন্তনী পলমল ঘোষ ▪️ সংঘমিত্রা রায়
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ অমিত চট্টোপাধ্যায় ▪️ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪️ বদ্রীনাথ পাল ▪️ স্বপনকুমার বিজলী ▪️ বসন্ত পরামাণিক ▪️ মলয় সরকার ▪️ মানস চক্রবর্তী ▪️ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪️ নীলেশ নন্দী ▪️ পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ রানা জামান ▪️ রূপসা ব্যানার্জী ▪️ সজল বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ শক্তিপদ পণ্ডিত ▪️ সৌমেন দাস ▪️ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪️ সুমিত্রা পাল ▪️ তাপস বাগ ▪️ আলমগীর কবির ▪️ রমিত চট্টোপাধ্যায়
বুমা ব্যানার্জী দাস ▪️ মেঘনা নাথ ▪️ শাশ্বত কর ▪️ সুমন সেন ▪️ রণিত ভৌমিক
অরিন্দম ঘোষ ▪️ অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ রাখি পুরকায়স্থ
কেয়া চ্যাটার্জী ▪️ দীপক দাস ▪️ ড. উৎপল অধিকারী ▪️ সুদীপ ঘোষাল
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ
বিশ্বদীপ পাল ▪️ অঙ্কিতা নন্দী ▪️ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪️ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪️ পুণ্ডরীক গুপ্ত ▪️ স্রবন্তী চট্টোপাধ্যায় ▪️ প্রবাহনীল দাস ▪️ সায়ন্তনী পলমল ঘোষ ▪️ সুমন দাস ▪️ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী