ছোটো গল্প
15% OFF * FREE SHIPPING
ছোটো গল্প
সংঘমিত্রা রায়
১
লোকটা হন্তদন্ত হয়ে এসেই বলল, “চৌধুরীবাড়িতে তোমারে যাইতে হইব গদাচরণ।”
গদাচরণ ঢাকটা ঠিক করছিল। মাথা তুলে বলল, “ক্যান যাইতে হইব?”
“তোমার যা কাজ তাই করতে!”
“ঢাক বাজাইতে হইব? কোনও পূজা নাকি?”
“হুম, কালীপূজা। তোমারে বায়না করতে আইলাম।”
“আরও ঢাকি থাকতে আমারে ক্যান, ওগোরে কইতে পারো!”
“না, ওগোর দ্বারা চৌধুরীবাড়ির ঢাক বাজানো হইব না। বাবুর হুকুম, তোমারেই যাইতে হইব। পাঁচশো টাকা বায়না দিতে কইছেন।”
ঢাক বাজানোর বায়না এলে গদাচরণ মনে মনে খুশি হয়। তালতলি-সহ আশেপাশের কয়েকটা গ্রামে তার মতো ঢাকি আর নাই। তার ঢাক বাজানোর স্টাইল আলাদা। অনেকে তার কাছে শিখেছে—তার দুই ছেলেও তার কাছে তালিম নিয়েছে, কিন্তু তার একটা তার স্পেশাল বোল আছে। এটা কেউ এখনও আয়ত্ত করতে পারেনি। গদাচরণ তার ছেলেদের বলে, “তোরা আইজও বোলখান শিখতে পারলি না? আমি মইরা গেলে মনে হয় আমার লগে বোলখানও চইলা যাইব।”
“না না বাবা, যাইব না, আমি শিখ্যা নিমু।” তার ছোটো ছেলে বলে।
গদাচরণের এই একটা দোষ হল নিজের দাম বাড়ানো। প্রায় কুড়ি বছর হল সে চৌধুরীবাড়ির কালীপূজায় ঢাক বাজায়, তবুও প্রতিবার যখন তাকে বায়না করতে আসে তখন তার একই কথা—‘আরও তো ঢাকি আছে, তাগোরে নিলে পারতা।’ তার উত্তরে—‘বাবুর হুকুম, তোমারেই যাইতে হইব।’ কথাগুলো শুনতে তার বড়ো ভালো লাগে।
গদাচরণ একসময় চারপাশে দাপিয়ে বেরিয়েছে। শহরেও তার বেশ নামডাক ছিল। এখন তার বয়স সত্তরের কাছাকাছি হবে। ছেলেমেয়েরা এখন বাইরে যেতে মানা করে। তার দুই ছেলে ঢাক বাজায়, অন্য সময় দিনমজুরি খাটে আর তার মেয়ে অন্য ক’জন মেয়েদের নিয়ে একটা ঢাক বাজানোর দল তৈরি করেছে। তারা শহরেও যায়। গদাচরণ বাড়িতে থাকে। আশেপাশের গ্রাম থেকে বায়না এলে সে খুশি হয়, যেতে তার ভালোই লাগে।
চৌধুরীবাড়ির পাঠানো লোকটার কাছ থেকে হাত বাড়িয়ে পাঁচশো টাকা নিয়ে গদাচরণ বলল, “বাবু যখন ডাইকা পাঠাইছেন তাইলে মানা করি ক্যামনে? পূজা কোনদিন?”
“পরশু শনিবার, অমাবস্যা। তুমি সইন্ধার মধ্যেই চইলা যাইও।”
“ঠিক আছে।”
চৌধুরীবাড়ির বাৎসরিক কালীপূজা হয় আষাঢ় মাসের অমাবস্যায়। এটা কয়েক পুরুষ ধরে চলে আসছে ওঁদের। গদাচরণের গ্রাম আর চৌধুরীবাড়ির মাঝখানে ছোটো একটা নদী, ওটা পেরিয়েই যেতে হয় ওই গ্রামে। আষাঢ় মাসে নদী ভরতি থাকে আর গদাচরণ সন্ধ্যার আগেই নৌকাতে নদী পেরিয়ে চলে যায় চৌধুরীবাড়ি। পরদিন সকালে পুজো মিটে গেলে প্রসাদ খেয়ে বাড়ি চলে আসত। কিন্তু এ-বছর বাড়িতে কেউ নেই, শুধু গদাচরণ আর তার স্ত্রী। গদাচরণের স্ত্রীর জ্বর ক’দিন থেকে। ঘরের কাজ, বাইরের কাজ সব তাকেই করতে হচ্ছে। তার দুই ছেলে বউদের নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গেছে বাচ্চাদের ক’দিন স্কুল বন্ধ হয়েছে তাই।
শনিবার সকাল থেকেই রোদের তেজ খুব প্রখর। গরম এত যেন গা জ্বলে যাচ্ছে। গদাচরণ একা একা বকবক করতে রান্না করে; অসুস্থ স্ত্রীকে খেতে দেয়; সব সামলে স্ত্রীর জন্য রাতের রান্না সেরে সেজেগুজে বের হবে। বিকেল হয়ে গেছে। সারাদিনের এত গরমের পর ঠিক তখনই বৃষ্টি নামল। যাই হোক, গদাচরণ বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। সন্ধের মধ্যেই তাকে চৌধুরীবাড়ি যেতে হবে।
গদাচরণ নদীর ঘাটে এল। ভরা নদী। না, একটাও নৌকা নেই। বৃষ্টি পড়ছে। আশেপাশে কোনও লোকজন নেই। সন্ধ্যা নেমে আসছে। গদাচরণ দাঁড়িয়ে রইল। কিন্তু না, কেউ নেই। অমাবস্যার রাত্রি, তার উপর বৃষ্টি। সন্ধ্যা হতেই চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার। নদীর পাড়ে বাড়িঘর তেমন নেই। গদাচরণ ভেবে পাচ্ছে না কী করে পৌঁছবে।
ভাবতে ভাবতে গদাচরণ আর একটা রাস্তা খুঁজে পেল। নদীর পাড় ধরে দক্ষিণদিকে আধ-কিলোমিটার হাঁটলে নদী অন্যদিকে ঘুরে গেছে। ওদিকে নদীর পাড় ঘেঁষে একটা বড়ো মাঠ। ওই মাঠ পেরিয়ে একটু গেলেই চৌধুরীবাড়ি। ওদিকে গেলে নদী পেরোতে হবে না। তবে লোকে বলে, ওই মাঠে নাকি তেনাদের বাস। রাতের বেলা অনেককেই বিপদে ফেলেছে তারা। তাই লোকজন রাতের বেলা খুব একটা ওদিকে যায় না। গদাচরণ অবশ্য কোনোদিন রাতের বেলা যায়নি ওদিকে। যা শুনেছে, লোকের মুখেই শুনেছে। যাই হোক, এখন তো আর কোনও উপায় নেই ওই পথ ছাড়া। সময়মতো না পৌঁছতে পারলে চৌধুরীমশাই খুব রাগ করবেন।
২
বৃষ্টি থেমে গেছে, কিন্তু প্যাচপ্যাচে গরম ঠিক রয়েছে। গদাচরণের পরনে হাঁটু অবধি ধুতি আর ফতুয়া। খালি পা। পুজো-বাড়িতে যেতে কি আর চটি পরে যাওয়া যায়? গদাচরণের সঙ্গে একটা টর্চ ছিল। ওটার উপর ভরসা করেই যেতে থাকে মাঠের দিকে।
মাঠটা বেশ বড়ো। চারপাশে বেশ কিছু গাছগাছালি রয়েছে। তার মধ্যে বটগাছ, শ্যাওড়াগাছও রয়েছে। ওখানে সত্যি সত্যি তেনাদের বাস। মাঠের পাশে একটা ডোবাও রয়েছে। আজ শনিবার। তার উপর অমাবস্যা। মাঠে যেন আজ উৎসব শুরু হয়েছে। এই মাঠে কানাভুলো, দেও, নিশি, মামদো ভূত, গেছো ভূত, স্কন্ধকাটা, শাঁকচুন্নি, পেত্নী, ব্রহ্মদৈত্য সবারই বাস। সবারই নিজের নিজের একটা অংশ রয়েছে। ঝগড়া, বিবাদ, হাসি-তামাশা সবই হয়, কিন্তু আজ সবাই মিলে বসেছে মাঠের মাঝখানে। বিরাট আয়োজন তাদের। হাড়ের তৈরি টেবিলে বসেছে সবাই মিলে। তাদের কাঁচা মাছ-মাংস পরিবেশন করছে শাঁকচুন্নি-পেত্নীরা।
গদাচরণ মাঠে ঢুকতেই কানাভুলোর নজর পড়ল তার উপর।—“আরে দেখো মামদোভাই, কতদিন পর একটা মানুষ আইছে। তারে নিয়া একটু খেলি। এখন তো আর কেউ এদিকে আইতেই চায় না।”
“হুম। তুই আগে খেইলা নে কানা, তারপর আমরা খেলুম।”
কানাভুলো এগিয়ে যায়। মানুষের মতো গলা করে বলে, “কই যাইবেন ভাই?”
গদাচরণ মুখ তুলে তাকায়। বুঝল, লম্বাচওড়া একজন তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। শরীর দেখা যাচ্ছে না। সে টর্চের আলোতে শুধু মুখ দেখল। দাঁত বের করে হাসছে একজন। বলল, “আজ্ঞে চৌধুরীবাড়ি যামু।”
“রাস্তা চেনো নাকি? চলো আমার সঙ্গে।”
গদাচরণ যেতে থাকে। কিন্তু কই, সে যেদিকে যাচ্ছে, তার মনে হচ্ছে সে ঘুরে ঘুরে একই জায়গায় আসছে। বেশ কিছুক্ষণ গেল তার এভাবে। কানাভুলো ওকে নাচাচ্ছে আর বাকিরা হাসছে। খুব মজা পাচ্ছে সবাই।
একটু পরে গেছো ভূত বলল, “কানা রে, এইবার ওরে ছাইড়া দে। আমি একটু খেইলা লই।”
গদাচরণ তখন একটা গাছের নীচে ছিল। গেছো ভূত লাফ দিয়ে তার ঘাড়ের উপর উঠে বসে। বলে, “নে গদাচরণ, আমারে একটু কাঁধে নিয়া ঘুরা তো দেখি। তাইলেই তোরে যাইতে দিমু।”
গদাচরণের কাঁধে ঢাক; বয়স সত্তর। এত ওজন সে সইতে পারছে না। আবার কিছু বলতেও পারছে না। একই জায়গায় ঘুরছে গেছো ভূতকে কাঁধে নিয়ে। সে মাঠের মধ্যে কাউকে দেখতে পাচ্ছে না, কিন্তু বুঝতে পারছে এখানে কেউ কেউ আছে। ঘটর ঘটর শব্দ, হাসির শব্দ—কখনও ফিসফিস করে, কখনও বেশ জোরে জোরে, কখনও জোরে হাওয়া বইছে, কখনও হালকা হাওয়া। সবই বুঝতে পারছে গদাচরণ, কিন্তু কিছু করতে পারছে না। ভয়ে তার গলা শুকিয়ে গেছে। পা দুটো আড়ষ্ট হয়ে আসছে।
***
রাত ক্রমশ বাড়ছে। তাকে নিয়ে ভূতদের খেলাও বাড়ছে। চৌধুরীবাড়িতে সবাই অপেক্ষারত, পুজো শুরু হবে, কিন্তু ঢাকির পাত্তা নেই। চৌধুরীমশাই বয়স্ক মানুষ। রেগে অস্থির হয়ে গেছেন। যে বায়না করতে গেছিল তাকে বলছেন, “ঠিকঠাক বায়না করে এসেছিস তো? গদাচরণ তো এমন ভুল করে না!”
“কর্তামশাই, বায়না তো ঠিকঠাক করলাম, কিন্তু গদাচরণ কেন আইল না বুঝতে পারছি না।”
***
এরপর দেও বলল, “দে, এইবার ওরে আমার হাতে ছাইড়া দে গেছো, একটু খেইলা লই।” বলে গদাচরণকে নিয়ে ডোবার ডিকে যাচ্ছিল ওকে জলে ডোবাবে বলে।
ব্রহ্মদৈত্য এতক্ষণ ধরে এদের কাণ্ড কারখানা দেখছিল। তার এসব ভালো লাগছিল না। সে খুব দয়ালু। দেও গদাচরণকে জলে ডুবিয়ে মেরে ফেলবে দেখে ব্রহ্মদৈত্য বলে উঠল, “এই গদাচরণ, এখন তো শেষ হয়ে যাবি। তোর কাছে তো বাদ্যযন্ত্র আছে। বাজা, বন্ধ করিস না। ভোর অবধি বাজা, নইলে তুই মরে যাবি।”
গদাচরণ এতক্ষণ যন্ত্রের মতো চলছিল। প্রায় ডোবার পাশে চলে এসেছে। তার হুঁশ ফিরে এল ব্রহ্মদৈত্যর কথায়। ঢাকের কাঠি নিয়ে ঢাক বাজাতে থাকে ডোবার পাড়ে দাঁড়িয়ে। তার পা দুটো চলছিল না।
এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সারারাত ঢাক বাজিয়েছে গদাচরণ। তার ঢাকের শব্দে ভূত-পেত্নীরা সবাই ছুটে পালিয়েছে। কেউ আর তাকে সারারাত বিরক্ত করেনি।
***
চৌধুরীবাড়ি মাঠ থেকে খুব একটা দূরে নয়। পুজো শুরু হয়ে গেছে। তখন থেকেই ঢাকের শব্দ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কে বাজাচ্ছে, কোথায় বাজাচ্ছে কেউ বুঝতে পারছে না।
চৌধুরীমশাই গদাচরণ না আসাতে খুব রেগে ছিলেন। কিন্তু ঢাকের শব্দ পেয়ে তাঁর মেজাজ একটু ঠান্ডা হয়েছে। ঠাকুরঘরের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে থাকেন, “ও-ব্যাটা গদাচরণ না এলে কী হবে, মা কালী ঠিক একজন ঢাকি জোগাড় করে ফেলেছেন। আরে ঢাক ছাড়া কি মা কালীর পূজা হয়? শুধু ঢাকিটা আমার বাড়ির উঠোনে এসে বাজালে ভালো হত।”
“ঠিক বলেছেন কর্তামশাই। গদাচরণের বড়ো দেমাক। নেশা-ভাঙ করে কোথায় পড়ে আছে কে জানে!”
“নেশাও করে নাকি?”
“সবই করে।”
***
সারারাত ঢাক বাজিয়ে ভোরের আলো ফুটতেই গদাচরণ দেখল তার পায়ে এখন আর সে আড়ষ্টতা নেই। সে আস্তে আস্তে চৌধুরীবাড়ি গেল। তাকে দেখেই চৌধুরীমশাই রেগে গেলেন।—“এই তোমার আসার সময় হল গদাচরণ? সারারাত কোথায় ছিলে?”
“আজ্ঞে কর্তা, মাঠে দাঁড়াইয়া সারা রাইত ঢাক বাজাইলাম।”
“মাঠে কেন? তাহলে কি তোমার ঢাকের শব্দই আমরা শুনতে পেয়েছি!”
“হ, আমার ঢাকেরই শব্দ শুনতে পাইছেন।”
“কী হয়েছিল খুলে বলো তো?”
গদাচরণ সব কথা খুলে বলল। আশেপাশে যারা ছিল, তার কথা শুনে ভয়ে কেঁপে উঠল।
সব শুনে চৌধুরীমশাই বললেন, “ভাগ্যিস ঢাকটা সঙ্গে ছিল। ওটাই তোমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে গদাচরণ। নইলে যে কী হত কে জানে! মা কালী তোমাকে রক্ষা করেছেন। অ্যাই, ওকে প্রসাদ খেতে দাও আর ওর বায়নার বাকি টাকাটাও দিয়ে দিও। বেচারা অনেক কষ্ট করেছে সারারাত।”
চৌধুরীমশাইয়ের কথা শুনে গদাচরণ মনে মনে খুব খুশি হয়। সে সাষ্টাঙ্গে মা কালীকে প্রণাম করে, প্রসাদ খেয়ে, বাকি টাকাটা নিয়ে মনের আনন্দে বাড়ি ফিরল।
ছবি - সুমন দাস
শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য ▪️ অংশু পাণিগ্রাহী ▪️ রম্যাণী গোস্বামী ▪️ অরিন্দম দেবনাথ ▪️ সুব্রত দাস ▪️ বাণীব্রত গোস্বামী ▪️ এণাক্ষী কয়াল মণ্ডল ▪️ কিশোর ঘোষাল ▪️ মঞ্জুশ্রী ভাদুড়ি ▪️ সায়ন্তনী পলমল ঘোষ ▪️ সংঘমিত্রা রায়
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ অমিত চট্টোপাধ্যায় ▪️ অর্ণব ভট্টাচার্য ▪️ বদ্রীনাথ পাল ▪️ স্বপনকুমার বিজলী ▪️ বসন্ত পরামাণিক ▪️ মলয় সরকার ▪️ মানস চক্রবর্তী ▪️ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস ▪️ নীলেশ নন্দী ▪️ পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ রানা জামান ▪️ রূপসা ব্যানার্জী ▪️ সজল বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ শক্তিপদ পণ্ডিত ▪️ সৌমেন দাস ▪️ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪️ সুমিত্রা পাল ▪️ তাপস বাগ ▪️ আলমগীর কবির ▪️ রমিত চট্টোপাধ্যায়
বুমা ব্যানার্জী দাস ▪️ মেঘনা নাথ ▪️ শাশ্বত কর ▪️ সুমন সেন ▪️ রণিত ভৌমিক
অরিন্দম ঘোষ ▪️ অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ▪️ রাখি পুরকায়স্থ
কেয়া চ্যাটার্জী ▪️ দীপক দাস ▪️ ড. উৎপল অধিকারী ▪️ সুদীপ ঘোষাল
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ
বিশ্বদীপ পাল ▪️ অঙ্কিতা নন্দী ▪️ সুজাতা চ্যাটার্জী ▪️ বুমা ব্যানার্জী দাস ▪️ পুণ্ডরীক গুপ্ত ▪️ স্রবন্তী চট্টোপাধ্যায় ▪️ প্রবাহনীল দাস ▪️ সায়ন্তনী পলমল ঘোষ ▪️ সুমন দাস ▪️ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী